খুঁজুন
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ সরঞ্জাম উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫, ৩:৩০ পিএম
ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ সরঞ্জাম উদ্ধার
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে অস্ত্র, মাদক ও বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
এর আগে বুধবার দিবাগত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত বোয়ালমারী সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে পৌরসদরের ওয়াবদা মোড়ে কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে যৌথবাহিনীর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সের ভবনের ৩য় ও ৬ষ্ট তলায় তল্লাশি চালিয়ে, অস্ত্র, মাদক ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে। সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবনের দুইজন কর্মচারীকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র ওয়াবদা মোড় সংলগ্ন কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় থানা পুলিশ। অভিযানে ভবনটির তৃতীয় তলার পুলক্লাবের একটি গোপন লকার থেকে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি ওয়াকি টকি সেট ও একটি ট্যাক্টিকাল দূরবীনসহ নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। পরে একই ভবনের ৬ তলায় ভবন মালিকের ছেলে কাজী আব্দুল্লাহ আল রশিদের একটি কক্ষ থেকে একটি এয়ারগানসহ কিছু পরিমান গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানকালে কাজী আব্দুল্লাহকে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে তিনি মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি পলাতক থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার দুই কর্মচারী আকিদুল ইসলাম এবং ভবনের তিনতলায় অবস্থিত রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার কাজী মুশফিককে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্স ভবনটি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলামের ভাই ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী হারুন অর রশিদের মালিকানাধীন। তবে ভবনটি পরিচালনা করেন কাজী হারুন অর রশিদের বড় ছেলে কাজী আব্দুল্লাহ আল রশিদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্স থেকে অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে । এ সময় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। যৌথবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:৪৯ পিএম
ফরিদপুরে ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা

ফরিদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজ শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শরীফ ওসমান হাদীর এ গায়েবানা জানাজার নামাজে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে এক ‌সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শরীফ ওসমান হাদীর ‌জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় ওসমান হাদীর খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয় এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

সদরপুরের রাস্তার ঢালে পড়েছিল নারীর হাত বাঁধা মরদেহ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:২৫ পিএম
সদরপুরের রাস্তার ঢালে পড়েছিল নারীর হাত বাঁধা মরদেহ

ফরিদপুরের সদরপুরে রাস্তার পাশে থেকে ২৪ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারীর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পাশের একটি রাস্তার ঢাল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নারীর মরদেহের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে এক নারী রাস্তার পাশে ওই অজ্ঞাত নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে সদরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের মুখে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আল মামুন শাহ বলেন, ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

হাদি হত্যার বিচার চেয়ে ফরিদপুরের এসপি অফিসের সামনে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:১৮ পিএম
হাদি হত্যার বিচার চেয়ে ফরিদপুরের এসপি অফিসের সামনে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার বিচারের দাবিতে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও এখনো প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। এতে করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও উৎসাহিত হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন। দ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন। “ওসমান হাদির হত্যার বিচার চাই”, “খুনিদের গ্রেপ্তার কর”, “বিচারহীনতা মানি না”—এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুলিশ সুপার কার্যালয় এলাকা।

এ সময় তারা বলেন, ‘অবিলম্বে ওসমান হাদীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তা-না হলে ‌ আরো ব্যাপক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে ‌ কর্মসূচি থেকে জানানো হয়। এর পূর্বে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতেও ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অনুরূপ কর্মসূচি ‌ পালন করে তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির ‌ (এনসিপি) ফরিদপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব ‌ সাইফ খান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‌ আহ্বায়ক ‌কাজী রিয়াজ, সদস্য সচিব সোহেল রানা, জুলাই যোদ্ধা ‌জনি বিশ্বাস, শাহ মো. আরাফাত, আবরার নাদিম ইতু, নিরব ইমতিয়াজ শান্ত ‌সহ সামাজিক সংগঠনের কর্মী ও ‌বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‌শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে এবং তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ছাত্র-জনতা স্পষ্ট করে জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।