খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে স্কুল শিক্ষক অপহরণ কান্ডের নেপথ্যে যা পাওয়া গেল!

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:২৩ পিএম
ফরিদপুরে স্কুল শিক্ষক অপহরণ কান্ডের নেপথ্যে যা পাওয়া গেল!
ফরিদপুরে শংকর বৈরাগী (৪৫) নামে এক স্কুল শিক্ষক অপহরণের তুলকালাম কান্ডের তথ্যা খুঁজতে গিয়ে নেপথ্যে বেরিয়ে এসেছে তার সাথে একাধিক ছাত্রীর অশ্লীলতার ঘটনা। এ ঘটনায় এক ছাত্রীর সাথে অশ্লীল ছবি আদান-প্রদান, কথাবার্তার তথ্য বের হয়েছে। শিক্ষকের সাথে ওই ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে অপহরণের ঘটনায় কোতয়ালী থানায় গতকাল রোববার মামলা দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক শংকর বৈরাগী। আজ সোমবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান।
জানা যায়, শংকর বৈরাগী শহরের ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ওই স্কুলের নবম-দশম শ্রেণিতে গণিতের ক্লাস নিতেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলের সামনে থেকে একটি রিক্সা যোগে কয়েক যুবকের সাথে চলে যায়। এরপর আধাঘন্টার মধ্যে তার স্ত্রী কোতয়ালী থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন এবং তাঁর স্বামী অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশকে জানান।
ওই শিক্ষকের স্ত্রীর কথামত কোতয়ালী থানা পুলিশ ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার দিকে ফরিদপুর শহরের আদমপুর মোল্যাডাঙ্গীর কালাম মোল্যার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে শিক্ষক শংকর বৈরাগীকে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অপহরণ মামলা করেছেন। মামলায় শহরের গুহলক্ষীপুরের সেকেন্দার আলী মোল্যার ছেলে আশিকুজ্জামান সানিমকে (২৮) একমাত্র আসামী করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বিদ্যালয়টি দুইজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর (ক ও খ) সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই শিক্ষক তার বাসায় ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। সেই সুবাদে ছাত্রীদের পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের আশ্বস্ত করে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন। রাজি না হলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিত শিক্ষখ। এই সুযোগে এক ছাত্রীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে (শিক্ষক)। পরে ওই ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি তারা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শামসুন নাহারকে গত তিন মাস আগে অবগত করেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেন এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ওই শিক্ষক।
এ ব্যাপারে ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুন নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সবকিছুর উর্ধ্বে শিক্ষক অপহরণের বিচারের দাবি করেন। এ ঘটনায় কিছু অভিযোগ পাওয়ার পরও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি আজ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি এবং অশ্লীল কিছু দেখিনি। তারপরও মৌখিকভাবে আমাকে জানালে, আমি ওই শিক্ষককে নবম-দশম শ্রেণির ক্লাস নিতে নিষেধ করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী (ক) জানান, স্যারের (শংকর বৈরাগী) একাধিক ছাত্রীর সাথে কুকর্ম রয়েছে। কিছুদিন আগে স্কুল থেকে স্যার আমাকে ডেকে শারিরীক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় এবং টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। আমি রাজি না হওয়ায় পরীক্ষা দিতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। স্যারের অনেক বড় আপুদের সাথেও এরকম ঘটনা এর আগে ঘটিয়েছে। আমার এক বান্ধবীর (গ) সাথেও শারিরীক সম্পর্ক করেছে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে বললে তিনি চুপ থাকার কথা বলেন। বিষয়টি জানাজানি করলে পরীক্ষা দিতে দিবে না বলে ম্যাডামও হুমকি দেন। তখন আমার পরিবারকে জানাই। পরে এলাকার বড় ভাইদের ঘটনাটি জানানো হয়। বর্তমানে আমি স্কুলেও যেতে পারতেছি না।
‘ক’ ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, একই ‘গ’ ছাত্রীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হয় ওই শিক্ষকের। তাকে পড়ালেখার বিভিন্ন খরচের জন্য টাকাও দিতেন এবং প্রাইভেট পড়ানোর নামে বাসায় ডেকে নিতেন। তাঁদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ে অশ্লীল কথাবার্তা হয়। এমন কয়েকটি স্ক্রিনশর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, ওই ছাত্রী একাধিক স্পর্শকাতর ছবি তুলে দেন। শিক্ষকও অশ্লীল কথাবার্তা আদান প্রদান করেন।
বিষয়টি নিয়ে ‘গ’ ছাত্রীর সাথে যোগাযোগের পর তিনি জানান, এই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ার সুবাদে তাকে পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের এবং চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুপ্রস্তাবে রাজি হতে বলতেন। এভাবে একদিন সকাল ৯ টায় প্রাইভেট পড়ানো হবে বলে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানান। পরে সেখানে গেলে অন্য কাউকে দেখতে পায়নি ওই ছাত্রী। তখন তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ে অশ্লীল ছবি দেওয়ার বিষয়ে জানান, টেষ্ট পরীক্ষায় ফেলের ভয় দেখিয়ে তার অশ্লীল ছবি নিতেন শিক্ষক শংকর বৈরাগী।
অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, এসব ঘটনার কয়েকটি স্ক্রিনশর্ট ও ছবি ওই ছাত্রীর মোবাইল থেকে গোপনে নিয়ে নেন আরেক বান্ধবী ‘খ’ (শহরের আদমপুরের বাসিন্দা)। পরে তার বান্ধবীর মাধ্যমে ওই ছবি চলে যায় শিক্ষকের (শংকর বৈরাগী) করা মামলার আসামি আশিকুজ্জামান সানিমের কাছে। এই ছবিগুলো নিয়ে শিক্ষক শংকর বৈরাগীর সাথে তারা যোগাযোগ করেন। এমনকি পূর্বে সানিম এ ঘটনায় টাকাও নিয়েছে বলে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ইংরেজী শিক্ষক মো. রেজভী জানান।
ঘটনার দিন শংকর বৈরাগীর সাথে হাটাহাটি করছিলে শিক্ষক মো. রেজভী। রেজভী বলেন, ১০ মিনিট কোচিংয়ে পড়ানোর কথা বলে মোবাইলের মাধ্যমে আমাদের এক ব্যক্তি স্প্রিং হিল হাসপাতালের পাশে যেতে বলেন। আমরা তিনজন শিক্ষক হেঁটেই ওই এলাকায় যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সানিমসহ কয়েকজন এসে শংকর স্যারকে রিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে যান। স্যারও কোনো ধস্তাধস্তি না করে তাদের সাথে চলে যায়। পরে তার স্ত্রীকে ঘটনাটি আমরা জানাই।
বিষয়গুলো নিয়ে আরো জানতে যোগাযোগ করা হয় আশিকুজ্জামান সানিমের সাথে। তিনি ছাত্রীকে এলাকার ছোটবোন দাবি করে বলেন, শংকর বৈরাগী স্যার ব্ল্যাকমেইল করে আমার এলাকার ছোট বোনকে ধর্ষণ করছে বলে জানতে পারি। এমনকি আমরা প্রমাণও পাই। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য স্যার নামে এক ধর্ষনকারীকে আমরা ধরে নিয়ে আসছিলাম। এটা যদি আমাদের অপরাধ হয়ে থাকে এবং আমরা যদি অপহরণ করে থাকি তাহলে শাস্তি মাথা পেতে নেব। এ ঘটনার পেছনে তথ্যগুলো তদন্ত করে ওই শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তবে শিক্ষক শংকর বৈরাগী অপহরণের বিষয়টি দাবি করে বলেন, ছাত্রীদের সাথে যৌন হয়রানির বিষয়টি মিথ্যা। অপহরণের পর আমাকে মারধর করেন চক্রটি। আমাদেরকে (হাটাহাটি করা তিন শিক্ষক) মিথ্যা কথা বলে ওই চক্রের সদস্যরা অম্বিকার পাশে নিয়ে বলে এক ছাত্রীর সাথে আপনার সম্পর্ক আছে। ওই ছাত্রীর ভাই আপনাকে মারবে। আপনি এখান থেকে দ্রুত চলে যান। এ সময় রিক্সায় উঠে যেতে গেলে সানিম আমার রিক্সায় উঠে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। আমার পরিবার পুলিশকে বিষয়টি জানালে আমাকো উদ্ধার করে।
ওই ছাত্রীদের সাথে আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবী জানিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় শিক্ষক শংকর বৈরাগী থানায় অপহরণের এজাহার দেওয়ায় আমরা মামলা নিয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ওই শিক্ষকের বিচারের দাবী জানিয়ে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী পুলিশ সুপার স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। ওই অভিযোগটিও আমার কাছে এসেছে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তার কাছে দিয়েছি।

অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২২ পিএম
অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ এবং ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ফাতিমা তাসনিম।

এদিকে রাতে নিজেদের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

ওই পোস্টে বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’

এ ছাড়া ওসমান হাদির ফেসবুক পেজেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

আলফাডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত

মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:১০ পিএম
আলফাডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত

“দক্ষতা নিয়ে যাবে বিদেশ রেমিট্যান্স দিয়ে গড়বো স্বদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও আলফাডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আয়োজনে এ বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অুনষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে.এম রায়হানুর রহমান।

আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলামের সভাপতিত্বে ও টিটিসির প্রশিক্ষক মিজানুর রহমানের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এম এম মজিবুর রহমান।

এসময় বক্তব্য প্রদান করেন, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল প্রতিনিধি মো.ইকবাল হোসেন, প্রশিক্ষক আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে কম্পিউটার বিভাগের প্রশিক্ষক খালেদ আল আরাফাত ও ইজাজ আহম্মেদ রাজকে সেরা প্রশিক্ষক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন উপস্থিতি অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এখান থেকে স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এলাকার শত শত বেকার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। অনেকে বিদেশ গিয়ে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে আছে।’

তিনি আরও জানান, এখন বিদেশে পাঠানোর নাম করে দালালের খপ্পরে পড়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তিনি বিদেশ গামীদের ভিসা যাচাই-বাছাই করে বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং দেশ থেকে বিভিন্ন কাজ শিখে নিজেকে দক্ষ করে বিদেশ গেলে কাউকে বসে থাকতে হবে না। তারা সহজেই তাদের ভাগ্য পাল্টাতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম।

ফরিদপুরে মাদ্রাসায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৭ পিএম
ফরিদপুরে মাদ্রাসায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় শাগীর শাহ্ দেওয়ান দাখিল মাদ্রাসায় চলমান পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে যোগ্য প্রার্থীদের উপেক্ষা করে অদক্ষ প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জমা দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে পরীক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন যে, বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়াটি প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের পরিপন্থী এবং এতে অনৈতিকভাবে অর্থ লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী রিয়াজুল, হাসিব খাঁন, আশিক মৃধা, আজিজুর রহমান ও নাঈম ইসলাম মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিবেশ ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ নিয়োগ দানে চলমান নিয়োগ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, উপজেলার কাটাগড় গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার ছেলে রাকিব মোল্যাকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিতে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন করেছেন মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট। বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অন্যান্য নিয়োগ প্রত্যাশীরা। আবেদনের সাথে তারা নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও বিজ্ঞপ্তির কপি সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসাটির সুপার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও অর্থ লেনদেনের বিষয়টি সঠিক নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সকলের উপস্থিতিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে।

মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাওলানা ফরিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাছাড়া অর্থ লেনদেনের কোনো প্রশ্নই উঠে না। নিয়োগ প্রার্থীদের মধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যে প্রথম হবে তাকেই নিয়োগ প্রদান করা হবে।

বোয়ালমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দীন বলেন, অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আমি একজন সদস্য মাত্র। পরীক্ষা বন্ধ করার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। আমার হাতে নিয়োগ বন্ধ করার ক্ষমতা থাকলে নিয়োগ বন্ধ করে দিতাম। তাছাড়া আমার স্ত্রী অসুস্থ এ কারনে নিয়োগ পরীক্ষায় আমি উপস্থিত থাকতে পারবোনা। আমার একজন প্রতিনিধি থাকবেন।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম রকিবুল হাসান বলেন, আমি নির্বাচনী ট্রেনিংয়ে গত দুই দিন ঢাকায় অবস্থান করছি। যার কারণে অভিযোগ সম্পর্কে জানা নেই। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে অবশ্যই অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।