খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদপুর জেলা আইনজীবি সমিতি নির্বাচনে সভাপতি পিলু-সম্পাদক জসিম

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫, ৪:৫০ পিএম
ফরিদপুর জেলা আইনজীবি সমিতি নির্বাচনে সভাপতি পিলু-সম্পাদক জসিম
ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৫-২৬ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে অ্যাড. খন্দকার লুৎফর রহমান পিলু (বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায়) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাড. মো. জসিমউদ্দিন মৃধা জসিম নির্বাচিত হয়েছেন। তারা দুইজনেই বিএনপি সমর্থিত।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী প্রধান নির্বাচন কমিশন গাজী শাহিদুজ্জামান লিটন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে রাত ৯টায় ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। সমিতির ৩৫২ সদস্যের মধ্যে ৩৩৫জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এ নির্বাচনে সহ-সভাপতি দুইপদে জয়ী হয়েছেন জামায়াত ইসলামী সমর্থিত মতিউর রহমান নিজামী পেয়েছেন ২২৭ ভোট, বিএনপি সমর্থিত তারেক আইয়ুব খান পেয়েছেন ১৯৯ ভোট। তাদের নিকটতম হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮৫ ভোট।
বিএনপি সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জসিমউদ্দিন (জসিম) মৃধা পেয়েছেন ১৮১ ভোট, নিকটতম প্রার্থী পেয়েছেন আব্দুল কাদের মিয়া ১১৫ ভোট। সহ-সাধারন সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জামায়াত ইসলামী সমর্থিত রেজাউল করিম শামীম ১৬৯ ভোট, নিকটতম প্রার্থী আলমগীর কবির ভূইয়া ১৪০ ভোট। সম্পাদক অডিট পদে জামায়াত ইসলামী সমর্থিত সরোয়ার হোসেন ১৯১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রার্থী সেলিমুজ্জান রুকু পেয়েছেন ১৩২ ভোট। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন রেজাউল করিম রেজা ১৪১ ভোট, নিকটতম প্রার্থী পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ১০৬ ভোট। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জামায়াত সমর্থিত মিজানুর রহমান সিনহা ২১৪ ভোট, নিকটতম প্রার্থী পেয়েছেন মো. রেজাউদ্দিন ১০০ ভোট।
এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন অর্থ সম্পাদক আবু নাঈম জুয়েল, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান হাবিব শেখ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস, মিজানুর রহমান, মো. খসরুল আলম, মো. মুরাদ হোসেন ও গোলাম মনসুর নান্নু।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার দ্বীনেশ চন্দ্র দাস, সহকারী প্রধান নির্বাচন কমিশন আনিসুল হাসান রেজা ও গাজী শাহিদুজ্জামান লিটন।
জানা যায়, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী, সহ-সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম শামীম, সম্পাদক অডিট সরোয়ার হোসেন ও তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মিজানুর রহমান সিনহা জামায়াত ইসলামী সমর্থিত এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বাকিরা সকলেই বিএনপি সমর্থিতরা জয়ী হয়েছেন। তবে আওয়ামী আইনজীবিরা কেউ ওইভাবে নির্বাচনে আসেননি। ১০টি পদের মধ্যে ৪জন জামায়াত এবং ৬টি পদে বিএনপি।

ফরিদপুরে ‘বিক্রি হওয়া’ সেই শিশু উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১০:৩০ এএম
ফরিদপুরে ‘বিক্রি হওয়া’ সেই শিশু উদ্ধার

ফরিদপুরে দেড় লাখ টাকায় অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়া ১৪ মাসের কন্যাশিশু তানহা আক্তারকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার।

 

শিশু তানহাকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে তার মা পপি বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তানহাকে উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটিকে নগরকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

 

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের পপি বেগমের সঙ্গে তালাক হলে তার সাবেক স্বামী মো. কাইয়ুম বিশ্বাস তাদের শিশুকন্যা তানহাকে জোর করে রেখে দেন। পরে পপি মেয়েকে আনতে গেলে সাবেক স্বামী এতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় পপি গত বছরের ডিসেম্বরে ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এতে সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকলেও জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। পরে আদালত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য ২৮ এপ্রিল নগরকান্দা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

 

নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইরানুল ইসলাম জানান, র‌্যাবের মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হান্নান সরদারের মেয়ে পপির সঙ্গে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামপাশা গ্রামের কাইয়ুম বিশ্বাসের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে পাঁচ মাস আগে তাদের তালাক হয়।

ফরিদপুরে আ.লীগ নেতার নামে সুইসাইড নোট লিখে ঠিকাদারের আত্মহত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১০:২৩ এএম
ফরিদপুরে আ.লীগ নেতার নামে সুইসাইড নোট লিখে ঠিকাদারের আত্মহত্যা
ফরিদপুরে নুরুজ্জামান বুলবুল (৪৮) নামে এক তরুণ ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ মে) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি গ্রামে পৈত্রিক বাসভবনের ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এসময় তার ওই কক্ষ থেকে মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া একাধিক সুইসিডাল নোট তথা চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এর একটিতে লেখা ছিলো- “বিল্লাল ভাই আমাকে আর বাঁচতে দিলেন না।” ধারণা করা হচ্ছে- ব্যবসায়ীক বিরোধ ও পারিবারিক ঝামেলার কারণে বুলবুল আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত নুরুজ্জামান বুলবুল কৈজুরীর বাসিন্দা মরহুম মোজাফফর হোসেন রাঙা মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র। তার বাবা ফরিদপুরের মুন্সিবাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। রাঙা মিয়া চার বছর আগে মারা যান। এরপর গত বছর বুলবুলের মা’ও মারা যান। স্ত্রী ও ৩ মেয়ে রয়েছে তার। তাদের নিয়ে কৈজুরিতে পৈত্রিক বাসভবনে বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানান, নুরুজ্জামান বুলবুল আগেরদিন রোববার দুপুরের দিকে তাদের তিনতলা বাসভবনের দোতলার ওই কক্ষটিতে প্রবেশ করেন। এরপর আর তার কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় সোমবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বুলবুলের মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওসি বলেন, এটি আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তার মৃত্যুর কারণ।
প্রসঙ্গত, গত বছর নুরুজ্জামান বুলবুলের মায়ের মৃত্যুর পর তাঁকে কৈজুরি ইউনিয়নের মামুদপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়।

ফরিদপুর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি-সম্পাদক পদ শূন্য ঘোষণা, নতুন দায়িত্ব প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৪:৩৫ পিএম
ফরিদপুর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি-সম্পাদক পদ শূন্য ঘোষণা, নতুন দায়িত্ব প্রদান
ফরিদপুরে পনের বছর আগে ঘোষিত জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আওয়ামী লীগের যোগদান করায় এবং সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুবরণ করায় প্রধান এ দুটি পদ শূণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে সভাপতি হিসেবে সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শামসুল হক সরদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। দলটির সাংগঠনিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে জেলা শহরের গোয়ালচামটস্থ দলটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় দলটির বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মো. শামসুল হক সরদার।
তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১০ সালে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিশ্চুপ ছিলেন তাঁরা। এরমধ্যে ২০১৮ সালে কমিটির সভাপতি শেখ মোজাফফর আলী মুসা আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। সাধারন সম্পাদক মো. অলিয়ার রহমানও আওয়ামীলীগে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে মারা যান। এছাড়া বিভিন্ন সময় ১৩ জন সদস্য মৃতু্যবরণ করেন। এমতাবস্থায় গত ৪ এপ্রিল দলটির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ২১ জন সদস্যের সম্মতিক্রমে এসব পদ শূণ্য ঘোষণা করে নতুন নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সহসভাপতি মো. শামসুল হক সরদার এবং সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানা। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি হতে মোজাফফর আলী মুসার সভাপতি হিসেবে সকল কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া নতুন দায়িত্ব পাওয়া সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপজেলা এবং পৌর কমিটি নতুনভাবে গঠন করা হবে। যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১০ সালে কমিটি ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন সময় অনেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এতে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। বিষয়টি একাধিকবার কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া আওয়ামী লীগের ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
এ সময় সংগঠনটির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, আ.ক.ম নুরুন্নবী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন মামুন, সহ সম্পাদক মো. রউফুল আলম লিমন, মো. জাহিদ হোসেন, মো. জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এ মজিদ সহ ২১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মহানগর কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন, সহ-সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান লিটু, কোতয়ালী থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ. সত্তার জোয়ারদার উপস্থিত ছিলেন।