খুঁজুন
রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩২

বসন্তের নানা আয়োজনে রঙিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৩৪ পিএম
বসন্তের নানা আয়োজনে রঙিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকৃতির মাঝে বেজে উঠল বসন্তের সুর। বসন্তকে বরণ করে নিতে রাজধানীতে রয়েছে নানা আয়োজন।

এর অংশ হিসেবেই ভোরের আলো ফুটতেই সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা ভিড় জমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 

বসন্তকে বরণ করে নিতে ভোর ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। বসন্ত উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ শেষ হয় দুপুর ১২টায়। সমবেত বাদ্যযন্ত্রের মধ্য দিয়ে উৎসবটি শুরু হয়।

পরে দেশের অগ্রগণ্য নৃত্য ও সঙ্গীতের দল, বরেণ্য শিল্পীদের একক গান, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনার সঙ্গে বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময়সহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

বসন্ত-রঙিন শাড়ি, খোঁপায় ফুল জড়িয়ে চারুকলায় আসেন তরুণীরা। তরুণেরা জড়ান পাঞ্জাবি।

বসন্তকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অনুষ্ঠিত হয় বসন্তবন্দনা উৎসব। ‘পৃথিবীর নদ, বন  কিংবা পাহাড়, মানুষ মালিক নয়, বন্ধু তাহার’ এই আহ্বানে এবারের আয়োজনটি হয়েছে। বটতলায় গান, দলীয় নাচ, কবিতার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় ঋতুরাজ বসন্তকে।

চারুকলার বকুলতলায় আসা শিল্পী সমর বড়ুয়া বলেন, দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত বসন্ত উৎসব। এ দেশের অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি আর ঋতু বৈচিত্র্যকে ধারণ করে এ উৎসব। বাঙালি জাতির জীবনে যেকোনো উৎসবের চেয়ে এ উৎসবের তাৎপর্য কোনো অংশে কম নয়।

অংশ নেন শিল্পী শ্যামলী বড়ুয়াও। তিনি বলেন, বসন্ত উৎসব একটি মিলনমেলা। ধর্ম-বর্ণ-মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে বসন্ত উৎসবের আনন্দ। জীবনের অনেকটা সময় ধরে আমরা নানা ঝামেলা নিয়ে থাকি। সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে বসন্তের এই রঙিন মেলায় একত্রিত হই। এই রং আমাদের মনকে ভালো করে দেয়। এই যে এতগুলো মানুষের চোখেমুখে আনন্দ, এই আনন্দ জীবনের সব ক্লান্তি দূর করে দেয়।

বটতলায় বসন্তবন্দনায় সমগীত শ্রদ্ধার্ঘ্য নেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সমগীতের এই আয়োজনে গান পরিবেশন করেন শিল্পী কফিল আহমেদ, লীলা, কৃষ্ণকলি, সায়ান,  আদিবাসী ব্যান্ড রেরে, সুডোস অন আ রং রুট, অমৌলিক ও গঙ্গাফড়িং। এ ছাড়া নৃত্য পরিবেশন করেন আকরামুল হিজড়া ও সাচিং মং মারমা।

আয়োজন নিয়ে সমগীতের সভাপতি কমল আকাশ বলেন, দেশের সব সংস্কৃতির মিলনমেলা ঘটে আমাদের এই আয়োজনে। এ উৎসব আমাদের প্রকৃতির প্রাণ উপলব্ধি করতে শেখায়। আজকাল আমরা বৈচিত্র্যময় ছয় ঋতুকে অনুভব করতে ভুলে যাই। সবচেয়ে রঙিন ঋতু বসন্তকে উপলব্ধির মাধ্যমে আমাদের সেই সংকট কাটাতে চাই। প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হওয়ার এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করার প্রতি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।

ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আলোচনা সভা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৪:০০ পিএম
ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আলোচনা সভা
ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও তথ্য সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ মে) ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ হলরুমে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা বসুন্ধরা শুভ সংঘ।
বসুন্ধরা শুভ সংঘের ফরিদপুর জেলা সভাপতি তন্ময় রায়ের সভাপতিত্বে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও তথ্য সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ও শুভ সংঘের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর এস এম আব্দুল হালিম।
ফরিদপুর জেলা শুভ সংঘের দপ্তর সম্পাদক তিহান আহমেদের পরিচালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম, উপদেষ্টা ও বাংলানিউজ২৪.কম-এর ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট হারুন-অর-রশীদ, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. নুর ইসলাম, জেলা বসুন্ধরা শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক সোনীয়া সুলতানা, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস, কার্যনিবাহী সদস্য সনত চক্রবর্তী, শিক্ষার্থী অর্ঘ্য শিকদার ও ফয়সাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দিন দিন ই-মেইলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার অপরাদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ জড়িয়ে পড়ছে। যেকোন ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা সাইবার অ্যাটকের শিকার হতে পারি। তাই এসব বিষয়ে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। আমরা ভালকাজের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করবো। কেউ বুলিং বা হয়রানির শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার কথা জানানো হয় আলোচনা সভায়।

সালথায় ধর্ষণ মামলা তুলতে চাপ প্রয়োগ, প্রাণ দিল স্কুল শিক্ষার্থী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ১০:২৮ এএম
সালথায় ধর্ষণ মামলা তুলতে চাপ প্রয়োগ, প্রাণ দিল স্কুল শিক্ষার্থী
ফরিদপুরের সালথায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল ইতি ইসলাম (১৩) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ।
পরে বুধবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ইতি উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন সিংহপ্রতাপ গ্রামের মো. সিদ্দিক আলীর মেয়ে ও স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, একটি ধর্ষণ মামলা তুলতে ইতিকে মোবাইল ফোনে বারবার চাপ দেওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে বাড়ির সবাই কাজে গেলে সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুল দেন ইতি। পরে স্থানীয়রা তাকে ঘরের আড়া থেকে নামালে ডাক্তার এসে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, বিয়ের প্রলোভনে ইতিকে কয়েবার ধর্ষণ করে ফরিদপুর সদরের প্রতাবপুর এলাকার সোহেল (২২) নামের এক বখাটে। এ ঘটনায় সম্প্রতি সালথা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা সোহেলের বিরুদ্ধে। অতঃপর গত ১৪ মার্চ র‌্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে সোহেলকে। এ ঘটনার পর থেকে মামলা তুলতে বারবার ইতি ও তার পরিবারকে বারবার চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছিল সোহেলের পরিবার। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে ইতি আত্মহত্যা করেছে।
তবে এব্যাপারে সোহেলের পরিবার পলাতক থাকায় তার পরিবারের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ওই স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ১০:২৬ এএম
ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৭ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত নুর আলম ওরফে হুমায়ুন(৩৪) মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামের মোঃ শহীদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় নুর আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারীর বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে। মেয়ে হত্যার দায়ে তার পিতা কুতুব উদ্দিন মোল্লা গত ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত পৌনে একটার সময় আমার মেয়ের স্বামীর বাড়ি উপজেলার গোপালদী গ্রামে তার পরিবারের লোকজন যোগসাজশে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে তাদের নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর আমার মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। এ বিষয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের কাউকে কিছু জানান না তার স্বামীর বাড়ির লোকজন। পরদিন ২৪ অক্টোবর ভোর ছয়টার সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ফোনে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারে কোন লোকজনকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, মামলাটিতে মোট ১২ জন সাক্ষী দেন। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন।