খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২

বায়ুদূষণে এবার ঢাকার অবস্থান শীর্ষ চারে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:২১ পিএম
বায়ুদূষণে এবার ঢাকার অবস্থান শীর্ষ চারে

শীত শেষ হতে না হতেই রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বিশ্বের ১২৪ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষ ৪ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১২ টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার সূচক থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আইকিউএয়ার বাতাসের মান নিয়ে তাৎক্ষণিক সূচক প্রকাশ করে, যা একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়ার পাশাপাশি সতর্কও করে দেয়। সোমবার আইকিউএয়ার সূচকে সবার ওপরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ২৬৭। বাতাসের এই মান নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ২ নম্বরে অবস্থান করছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ২২১। এই মানও নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। ২০৪ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষ ৩ নম্বরে আছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। এরপরই ঢাকার অবস্থান। ঢাকার বাতাসের মানের স্কোর ১৯১।

বাতাসের এই মানও নাগরিকদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই অবস্থায় রাজধানীবাসীদের জানালা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে ধরা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সালথায় যুবলীগ নেতার ভাইকে গ্রেপ্তার করায় বিএনপি নেতার ভাইকে হাতুড়িপেটা

সালথা (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
সালথায় যুবলীগ নেতার ভাইকে গ্রেপ্তার করায় বিএনপি নেতার ভাইকে হাতুড়িপেটা
ফরিদপুরের সালথায় মো. কবির মোল্যা (৩৮) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের একঘণ্টা পর তার সমর্থকরা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বড় ভাই মো. বাবলু মাতুব্বরকে (৫৫) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (০৭ মে) সকালে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (০৬ মে) বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত বাবলু মাঝারদিয়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা সলেমান মাতুব্বরের ছেলে ও উপজেলা স্বোচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. হারুন মাতুব্বরের বড় ভাই। এর আগে একইদিন বিকাল ৩টার দিকে ইউপি সদস্য কবির মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কবির মাঝারদিয়া গ্রামের আইজদ্দী মোল্যার ছেলে ও  মাঝারদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুরাদ মোল্যার ছোট ভাই।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. হারুন মাতুব্ব বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে যুবলীগ নেতা মুরাদের ভাই মাঝারদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কবির মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ১০-১২ টি মামলা রয়েছে। ওয়ারেন্টও আছে। যে কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। কবিরকে গ্রেপ্তারের বিষয় আমার ভাই বাবলু কিছুই জানে না। অথচ কবিরকে গ্রেপ্তার করায় তার সমর্থকরা আমার নিরহ ভাইকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।  আমি এর সঠিক বিচার চাই।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য কবির মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর হামলার বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরে শিশু মেয়েকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দিলেন বাবা!

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
ফরিদপুরে শিশু মেয়েকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দিলেন বাবা!
ফরিদপুরের নগরকান্দায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে নির্যাতন করে মৌখিকভাবে তালাক দেয়ার পর ৮ মাস বয়সী শিশু মেয়েকে ছিনিয়ে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর মা পপি বেগম থানা পুলিশ থেকে শুরু করে আদালতে গিয়েছেন নিজের মেয়েকে ফিরে পেতে। আদালত শিশুটিকে খুঁজে দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতী  ইউনিয়নের রামপাশা গ্রামে।
শিশুটিকে ফিরে পেতে ফরিদপুরের এক নম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন শিশুর মা পপি বেগম। ওই মামলায়- স্বামী কাইয়ুম বিশ্বাস (৪০), তাঁর তিন বোন মিতা আক্তার, বুলি বেগম, সাগরী আক্তারসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালত গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য প্রতিবেদনসহ নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)র বরাবর সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।
জানা যায়, তিন বছর আগে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভাবড়াশুড় ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের হান্নান সরদারের মেয়ে পপি বেগমের সাথে পাশের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতি ইউনিয়নের রামপাশা গ্রামের মানিক বিশ্বাসের ছেলে কাইয়ুম বিশ্বাসের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর মাঝে তাদের একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়। গত পাঁচ মাস আগে কলহের জের ধরে তালাক হয়।
ভুক্তভোগী পপি বেগম জানান- তালাকের সময় জোর করে তার শিশু তানহাকে রেখে দেয় তার স্বামী। পরে শিশুকে একই উপজেলার শাখরাইল গ্রামের কুবাদ শেখের মেয়ে কহিনুর বেগমের নিকট দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেন। আর এই বিক্রির মধ্যস্থতা করেন নগরকান্দার দলিল লেখক আলমগীর তালুকদার।
পপি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাঁচ্চাডারে দেখবার জন্য রাতে ঘুম হয় না, খাবার পারিনা। আমার কলিজাডা শুকায় গেছে। যার কাছে বাঁচ্চা বিক্রি করা হয়েছে তাঁর মায়ের পা পর্যন্ত জড়ায় ধরছি, তবুও দেখতে দেয় নাই।
তবে এ সংক্রান্ত মামলা হওয়ার পর পপি বেগমের স্বামী কাইয়ুম বিশ্বাস আত্মগোপন করেন। তবে কাইয়ুম বিশ্বাসের বোন মিতা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল করলে একজন পুরুষ ব্যক্তি কলটি ধরে  মিতার স্বামী পরিচয় দেন এবং ব্যস্ত আছেন বলে কেটে দেন।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সফর আলী জানান, আদালত আমাদের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে, সে অনুযায়ী কাজ চলছে। কিন্তু অভিযোগে বাঁচ্চাটি বিক্রির যে ঠিকানা দেয়া হয়েছে, সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটিকে খুঁজে পেলে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সালথায় আমগাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৩:৩৯ পিএম
সালথায় আমগাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ
ফরিদপুরের সালথায় হাফিজুল রহমান মোল্লা (৩০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৬ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরাটিয়া গ্রামে একটি আম গাছের ডাল থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সালথা থানা পুলিশ। হাফিজুল ওই গ্রামের ওমর আলী মোল্যার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর পরিবারের অজান্তে বাড়ি থেকে বের হয় হাফিজুল। রাতভর তাকে খোঁজাখুঁজির পরও পায়নি তার পরিবার। মঙ্গলবার সকালে মুরাটিয়া গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বরের পরিত্যক্ত বাগানের আম গাছের ডালের সাথে হাফিজুল রহমানের মরদেহ দেখতে পায় এক কৃষক। পরে সংবাদ পেয়ে সালথা থানা পুলিশ হাফিজুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত হাফিজুল মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানান তারা।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে হাফিজুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।