খুঁজুন
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২

বেসরকারি শিক্ষকদের সুখবর দিলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ৭:১২ পিএম
বেসরকারি শিক্ষকদের সুখবর দিলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে বিদায় এবং নতুন উপদেষ্টা সিআর আবরারের যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

 

 

বিদায়ী উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমি আশ্বাস দিয়েছিলাম এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটে যতটুকু অর্থ সংকুলান করা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমরা যতদূর পারি চেষ্টা করব দাবিগুলো মেটাতে। কিন্তু ১৫-২০ বছরের বঞ্চনা দুয়েক বছরের বাজেট দিয়ে তো মেটানো যায় না। এক বছরের বাজেট দিয়ে কীভাবে ১৫ বছরের বৈষম্য ঠিক করা যায়? কিন্তু শুরুটা করা দরকার। সেই শুরুটা আমরা করে দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা- এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেট থেকে অন্তত কিছু বাড়াতে পারবো। আমি জানি সেটুকু বাজেটের মধ্যে এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটের মধ্যে প্রভিশন রাখা হচ্ছে।

ফরিদপুরে ‘বিক্রি হওয়া’ সেই শিশু উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১০:৩০ এএম
ফরিদপুরে ‘বিক্রি হওয়া’ সেই শিশু উদ্ধার

ফরিদপুরে দেড় লাখ টাকায় অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়া ১৪ মাসের কন্যাশিশু তানহা আক্তারকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার।

 

শিশু তানহাকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে তার মা পপি বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তানহাকে উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটিকে নগরকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

 

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের পপি বেগমের সঙ্গে তালাক হলে তার সাবেক স্বামী মো. কাইয়ুম বিশ্বাস তাদের শিশুকন্যা তানহাকে জোর করে রেখে দেন। পরে পপি মেয়েকে আনতে গেলে সাবেক স্বামী এতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় পপি গত বছরের ডিসেম্বরে ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এতে সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকলেও জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। পরে আদালত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য ২৮ এপ্রিল নগরকান্দা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

 

নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইরানুল ইসলাম জানান, র‌্যাবের মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হান্নান সরদারের মেয়ে পপির সঙ্গে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামপাশা গ্রামের কাইয়ুম বিশ্বাসের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে পাঁচ মাস আগে তাদের তালাক হয়।

ফরিদপুরে আ.লীগ নেতার নামে সুইসাইড নোট লিখে ঠিকাদারের আত্মহত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১০:২৩ এএম
ফরিদপুরে আ.লীগ নেতার নামে সুইসাইড নোট লিখে ঠিকাদারের আত্মহত্যা
ফরিদপুরে নুরুজ্জামান বুলবুল (৪৮) নামে এক তরুণ ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ মে) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি গ্রামে পৈত্রিক বাসভবনের ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এসময় তার ওই কক্ষ থেকে মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া একাধিক সুইসিডাল নোট তথা চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এর একটিতে লেখা ছিলো- “বিল্লাল ভাই আমাকে আর বাঁচতে দিলেন না।” ধারণা করা হচ্ছে- ব্যবসায়ীক বিরোধ ও পারিবারিক ঝামেলার কারণে বুলবুল আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত নুরুজ্জামান বুলবুল কৈজুরীর বাসিন্দা মরহুম মোজাফফর হোসেন রাঙা মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র। তার বাবা ফরিদপুরের মুন্সিবাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। রাঙা মিয়া চার বছর আগে মারা যান। এরপর গত বছর বুলবুলের মা’ও মারা যান। স্ত্রী ও ৩ মেয়ে রয়েছে তার। তাদের নিয়ে কৈজুরিতে পৈত্রিক বাসভবনে বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানান, নুরুজ্জামান বুলবুল আগেরদিন রোববার দুপুরের দিকে তাদের তিনতলা বাসভবনের দোতলার ওই কক্ষটিতে প্রবেশ করেন। এরপর আর তার কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় সোমবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বুলবুলের মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওসি বলেন, এটি আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তার মৃত্যুর কারণ।
প্রসঙ্গত, গত বছর নুরুজ্জামান বুলবুলের মায়ের মৃত্যুর পর তাঁকে কৈজুরি ইউনিয়নের মামুদপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়।

ফরিদপুর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি-সম্পাদক পদ শূন্য ঘোষণা, নতুন দায়িত্ব প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৪:৩৫ পিএম
ফরিদপুর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি-সম্পাদক পদ শূন্য ঘোষণা, নতুন দায়িত্ব প্রদান
ফরিদপুরে পনের বছর আগে ঘোষিত জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আওয়ামী লীগের যোগদান করায় এবং সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুবরণ করায় প্রধান এ দুটি পদ শূণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে সভাপতি হিসেবে সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শামসুল হক সরদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। দলটির সাংগঠনিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে জেলা শহরের গোয়ালচামটস্থ দলটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় দলটির বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মো. শামসুল হক সরদার।
তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১০ সালে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিশ্চুপ ছিলেন তাঁরা। এরমধ্যে ২০১৮ সালে কমিটির সভাপতি শেখ মোজাফফর আলী মুসা আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। সাধারন সম্পাদক মো. অলিয়ার রহমানও আওয়ামীলীগে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে মারা যান। এছাড়া বিভিন্ন সময় ১৩ জন সদস্য মৃতু্যবরণ করেন। এমতাবস্থায় গত ৪ এপ্রিল দলটির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ২১ জন সদস্যের সম্মতিক্রমে এসব পদ শূণ্য ঘোষণা করে নতুন নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সহসভাপতি মো. শামসুল হক সরদার এবং সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানা। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি হতে মোজাফফর আলী মুসার সভাপতি হিসেবে সকল কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া নতুন দায়িত্ব পাওয়া সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপজেলা এবং পৌর কমিটি নতুনভাবে গঠন করা হবে। যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১০ সালে কমিটি ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন সময় অনেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এতে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। বিষয়টি একাধিকবার কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া আওয়ামী লীগের ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
এ সময় সংগঠনটির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, আ.ক.ম নুরুন্নবী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন মামুন, সহ সম্পাদক মো. রউফুল আলম লিমন, মো. জাহিদ হোসেন, মো. জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এ মজিদ সহ ২১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মহানগর কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন, সহ-সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান লিটু, কোতয়ালী থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ. সত্তার জোয়ারদার উপস্থিত ছিলেন।