খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

ভালো ঘুমের জন্য চাই আরামদায়ক বিছানা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৩ পিএম
ভালো ঘুমের জন্য চাই আরামদায়ক বিছানা

সুস্থ জীবনের জন্য প্রতিটি মানুষের ভালো ঘুম অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন।

ভালো ঘুমের জন্য চাই আমাদের আরামদায়ক বিছানা, বালিশ আর শান্ত পরিবেশ। বিশেষ করে বালিশ ঠিকঠাক না হলে অনেকেই শান্তিতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারেন না। বিছানা খুব বেশি নরম কিংবা খুব বেশি শক্ত হওয়া যাবে না।

 

তোশক ও জাজিম একসঙ্গে ব্যবহার না করাই ভালো। তবে খাট বা বিছানার ওপর ভিত্তি করে দুটিই ব্যবহার করা যেতে পারে যদি সেটা সঠিক উপায়ে বানানো যায়। প্রথমে জাজিম বিছিয়ে তার ওপর শক্ত কাঠ বা হার্ডবোর্ড দিয়ে এর ওপর তোশক পাততে হবে।  তোশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো মানের তুলা ব্যবহার করা উচিত। শিমুল তুলা ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। দামে অন্যান্য তুলার চেয়ে একটু বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ভালো সিদ্ধান্ত হয় শিমুল তুলা ব্যবহার করলে।

জাজিম সাধারণত পাঁচ-সাত ইঞ্চি এবং তোশক তিন-পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার বানানো ভালো। ম্যাট্রেসের ক্ষেত্রে একটু শক্ত প্রকৃতির কেনাই উত্তম। বেশি নরম ম্যাট্রেস মেরুদণ্ডের হাড়ের গঠনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, এর ফলে পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শোয়ার সময় বিছানার কোনো অংশ যেন দেবে না যায় সেটা নিশ্চিত করে বিছানা কিনুন।

বালিশ কেমন হলে ঘুম ভালো হয়

* বালিশের উপকরণ প্রাকৃতিক হওয়া উত্তম।
* ফোম বা কৃত্রিম ফাইবারের বালিশ নরম হলেও ঘুমের জন্য একদমই আরামদায়ক নয়।
* তুলার তৈরি বালিশ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* বেশি উঁচু বা নিচু বালিশ ব্যবহার করা উচিত নয়।
* বালিশের উচ্চতা এমন হবে যেন যাতে ঘাড় ও পিঠ সমান্তরালভাবে থাকে।
* তিন-পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার বালিশ সাধারণত আদর্শ উচ্চতা হিসেবে ধরা হয়।
* বালিশের মাপ খুব বেশি ছোট না হওয়াই ভালো। যেমন কুশন।
*  বালিশের কভার বেশি খসখসে হওয়া যাবে না।

আরও যা মাথায় রাখতে হবে

* মেঝে বা সোফায় শোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
* বিছানার আয়তন এমন হতে হবে যেন আরাম করে হাত-পা স্বাচ্ছন্দ্যে রেখে ঘুমানো যায়।
* একপাশ হয়ে ঘুমানো ভালো, তবে শরীর কুঁকড়ে না ঘুমানোই উত্তম।
* কোলবালিশের আয়তন এমন হওয়া যাবে না যাতে ঘুমাতে গেলে বেগ পেতে হয়।
* বিছানায় সুতির চাদর ব্যবহার করুন।
* ২/৩ বছর অন্তর অন্তর বালিশ এবং বিছানা পরিবর্তন করুন।
* ঘুমের সময় নাক ডাকা বা নিশ্বাস নিতে সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাজানোর জন্য যা ব্যবহার করতে পারেন

* আরামের ঘুমের জন্য যেমন বিছানা বালিশ সঠিক হতে হয় তেমনি তার সাজানোর ধরনের উপরও নির্ভর করে রুচিশীলতা।

* সুন্দর করে সাজানো বিছানা মনের মধ্যে এক ধরনের ভালো লাগা সৃষ্টি করে যা ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

* বিছানার চাদর এবং বালিশের এক রংয়ের কভার কিংবা বিপরীত রংয়ের ব্যবহার করুন।
* বিছানা সাজানোর জন্য বালিশের পাশাপাশি বিভিন্ন আকারের কুশন ব্যবহার করতে পারেন।
* বিছানার এক পাশে সুন্দর নকশার কমফর্টার রাখতে পারেন।
* বিছানা জানালার পাশে হলে কার্টেইন বা পর্দা উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার করতে পারেন

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হেলেনা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগকৃত কর্মচারী না হয়েও রোগীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন হেলেনা আক্তার। হাসপাতালের আইডি কার্ড ব্যবহার করে রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা হেলেনা আক্তারকে হাতে নাতে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ কান্তি বিশ্বাস জানান, হাসপাতালের কর্মচারী না হয়েও দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিল হেলেনা আক্তার। এমন অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ওই নারীকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হেলেনা আক্তারের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও
ফরিদপুরের সদরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে ৫টি দোকান ঘর ভাঙ্গা ছাড়াও সদর বাজারের একটি শেড ঘর দখলমুক্ত করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও জাকিয়া সুলতানা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধবাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছিল কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে দোকানঘর সরিয়ে নিতে বার বার নোটিশ দেওয়া হলেও ওই ব্যবসায়ীরা তা কর্নপাত করেনি। এ সময় ৫টি দোকানঘর উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করে আসছিল কতিপয় ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে এর আগে দোকান সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা ভেঙ্গে না নেওয়ায় অভিযান চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাজারের একটি শেড ঘরও দখলমুক্ত করা হয়। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বদিউজ্জামান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ এলাকায় ঘারুয়া টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। বদিউজ্জামান আব্দুল হক ব্যপারীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া বাজার টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কের শরীবাদ স্কুল মোড় ব্রিজের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশ দখল করে বাড়ির ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বড় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনা, ব্যঘাত সৃষ্টিসহ ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণেও নানা ব্যাঘাত পোহাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি রাস্তা ঘেঁষে বিশাল দেয়াল নির্মাণ করার কারণে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। রাস্তা প্রশস্ত করার পথও বন্ধ করে দিচ্ছে বদিউজ্জামান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিষয়ে বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের প্রশ্নই আসে না। আমার জায়গায় রাস্তা। আমি জায়গা না দিলে রাস্তা হতো না। আমার জায়গায় আমি বাড়ির দেয়াল নির্মাণ করছি। আমাকে আপনাদের চেয়ে বড় এসিল্যান্ড ইউএনও জায়গা বুঝিয়ে দিছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।