খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

‘মেঘলা আকাশের নিচে আমি’

মাহমুদুল হাসান
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম
‘মেঘলা আকাশের নিচে আমি’

এমন মেঘলা আকাশ আমি বহুবার দেখেছি। ছায়া ঘেরা, রঙহীন, নিঃশব্দ—যেন নিজের মধ্যে ডুবে থাকা কোনো বিষণ্ণ মানুষ। জানি না কেন, যখনই এমন আকাশ দেখি, মনে হয় ওটা আমারই প্রতিচ্ছবি। আমি যেমন হাসি লুকিয়ে রাখি মনের অন্ধকারে, তেমনি সে আকাশও সূর্যকে ঢেকে রাখে বুকের গোপন কষ্টে। যেন আমরা দুজন—আমি আর মেঘলা আকাশ—একই রকমের নিরবতা নিয়ে বেঁচে আছি।

ছোটবেলাতেই মেঘলাকে আপন করে নিয়েছিলাম। কারণ আমি কখনোই রঙিন সকাল কিংবা রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরের মানুষ ছিলাম না। আমার ভেতরেও বরাবরই একটা ঘন সাদা-কালো ভাব, যেটা বৃষ্টি নামার আগে আকাশে দেখা যায়। আশেপাশের মানুষজন যখন ঝলমলে দিনকে ভালোবেসে গান গায়, তখন আমি একা বসে থাকি জানালার ধারে—মেঘের দিকে তাকিয়ে। মেঘের মধ্যে কী আছে, জানি না। শুধু জানি, ওখানে কোথাও আমার মন লুকিয়ে আছে।

প্রতিবারই মনে হয়, আজ হয়তো আকাশ কেঁদে ফেলবে। আমিও তো কেঁদে ফেলতে চাই—অকারণে, অজুহাতহীন, শব্দহীন এক কান্না। কিন্তু পারি না। কারণ আমাকে শক্ত থাকতে হয়। আমার কান্না কেউ বোঝে না, কেউ দেখতে চায় না। তাই হয়তো আকাশও নিজেকে ধরে রাখে। তার বুকভরা জলের ভার, আর আমার বুকভরা হাহাকার—দুটোই যেন জমে থাকে এক জায়গায়, ফেটে না পড়ে কোনোদিন।

মেঘলা আকাশ এক রকমের প্রতারণাও করে। সে বলে, “আমি আসছি, তোমার মন ভালো করতে।” কিন্তু শেষে করে কী? আলো ঢেকে দেয়, বাতাস ভারি করে তোলে, চারপাশে এক ধরণের বিষণ্নতা ছড়িয়ে দেয়। ঠিক যেমন আমার জীবনের মানুষগুলো করেছে। তারা বলেছে—”ভালোবাসবো”, “সাথে থাকবো”, “তোমাকে বোঝার চেষ্টা করবো”—কিন্তু শেষে কি তা করেছে? করেছে ঠিক উল্টোটা। যেমন আকাশ, তেমনি তারাও।

আমি ভেবেছি, এই আকাশের নিচেই আমি হেঁটে যাবো অনেক দূর। একদিন কেউ বুঝবে আমার পথচলার ক্লান্তি। কেউ হয়তো ধরে ফেলবে, এই গাঢ় মেঘের ভেতর কতটা অসহ্য বিষণ্নতা জমে আছে। কিন্তু কেউ বোঝেনি। সবাই ব্যস্ত নিজের গল্পে, নিজের রোদে, নিজের সুখে। আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম একা, একদম একা, এক আকাশ-ভর্তি অনিশ্চয়তার সামনে।

আমার জীবনের প্রতিটি বড় মুহূর্তেই যেন এই মেঘলা আকাশ ছিল। পরীক্ষার খারাপ ফল, প্রথম প্রেমে ধোঁকা খাওয়া, বাবার অসুস্থতা, বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতা—সব কিছুর পেছনে ছিল এক ছায়াঘেরা আকাশ। যেন সৃষ্টিকর্তা আমায় বলেনি, “সব ঠিক হবে”—বরং বলেনি, “তোমার কষ্টটাই হবে তোমার পরিচয়।”

তবু আশ্চর্যের কথা, আমি এই আকাশকে ঘৃণা করতে পারিনি। বরং ভালোবেসেছি। কারণ আমি জানি, যেমন করে সে আলো ঢেকে রাখে, তেমনি আমিও হাসির আড়ালে কান্না ঢেকে রাখি। সে যেমন গর্জন করে—তেমনি আমিও গর্জন করতে চাই, কিন্তু পারি না। আমি তো মানুষ, আর মানুষ চুপ থাকে—বুকের সব আগুন নিয়েই।

একবার এক ভোরে, খুব তীব্র মেঘলা দিনে আমি রাস্তায় হাঁটছিলাম। চারপাশে লোকজন ছাতা হাতে ছুটছে, বৃষ্টি আসবে বলে। আমি দাঁড়িয়ে রইলাম, যেন বৃষ্টির অপেক্ষায় না—বরং সেই মুহূর্তের সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকতে চাইছিলাম। হঠাৎ মনে হলো, এই আকাশ আমাকে জানে, আমার কষ্ট চেনে। এমনকি সে আমায় বলতে চাইছে—”আমি আছি, তুই একা না।” অদ্ভুত এক শান্তি এসেছিল সেদিন। যেন কারো কোলে মাথা রাখা, কোনো উত্তরহীন প্রশ্নের ছোট্ট একটা সমাধান।

এই আকাশ মাঝে মাঝে আমায় শেখায়, ভেঙে যাওয়ারও এক ধরনের সৌন্দর্য আছে। তুমুল বৃষ্টির পর যেমন আকাশ পরিষ্কার হয়, তেমনি হৃদয়ের কষ্ট সাফ করতে কষ্টের প্রয়োজন হয়। আমি ভেঙেছি, গুঁড়িয়ে গেছি, বারবার। কিন্তু প্রতিবারই উঠে দাঁড়িয়েছি। হয়তো আকাশও তাই করে—বৃষ্টির পরে আবার সেজে ওঠে নতুন করে, রংধনু আঁকে, সূর্যকে ডাক দেয়।

তবে আমার মনে হয়, মেঘলা আকাশই আমার আসল রূপ। অন্যরা হয়তো একদিন রোদ চাইবে, আলো চাইবে, পরিষ্কার আকাশ চাইবে। কিন্তু আমি চাই একটানা এক মেঘলা বিকেল—যেখানে কোনো শব্দ নেই, মানুষ নেই, কেবল আমি আর আমার নিরবতা। এই নিরবতাই তো আমার আত্মা, আমার শেকড়, আমার সত্য।

আমার জীবন কখনো সহজ ছিল না। ছোট ছোট ভালোবাসা পেয়েছি, বড় বড় ভুল করেছি, গভীর গভীর শূন্যতায় ডুবে গেছি। সেই শূন্যতা অনেকটা মেঘের মতো—দেখতে ভারি, কিন্তু ধরতে গেলে ফাঁকা। মানুষ যেমন আমার মনের ভেতরটা বুঝতে পারেনি, তেমনি তারা মেঘের ওজনও বোঝে না। কেবল দেখে, “আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি আসবে”, কিন্তু বোঝে না, সেই মেঘে কতটা না বলা কথা জমে আছে।

আমার ভিতরে যে কষ্ট, তা আমি কাউকে দেখাই না। কারণ জানি, সবাই শুধু নিজের গল্প বোঝে। কেউ আমার আকাশের দিকে তাকায় না, কেউ আমার মেঘের ওজন মাপতে চায় না। তাই আমি চুপচাপ হাঁটি, মাথার উপর এক বিস্তীর্ণ মেঘলা আকাশ নিয়ে। সে আকাশই আমার সঙ্গী, আমার প্রতিচ্ছবি।

জীবনে কিছু কিছু মানুষ এসেছে, যারা বলেছে, “তুই খুব গভীর”। আমি হেসেছি। তারা জানে না, এই গভীরতা কোনো গৌরব নয়, একটা অভিশাপ। গভীরতা মানে একা হয়ে যাওয়া। গভীরতা মানে, কিছুই আর হালকা করে বলা যায় না, সব কিছুই বোঝানোর জন্য সময় লাগে, শব্দ লাগে, হৃদয় লাগে। তাই হয়তো আকাশও কিছু বলে না—সে শুধু থাকে, তার নিজের ছায়া নিয়ে।

আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় সময়গুলো ছিল তখনই, যখন বৃষ্টি নামছিল, কেউ ছিল না আশেপাশে, আর আমি একা দাঁড়িয়ে ছিলাম জানালার ধারে। সেই সময়গুলোতে মনে হতো, আমি নিজের কাছে ফিরে এসেছি। কেউ নেই আমাকে বদলাতে, কেউ নেই আমায় বোঝাতে—আমি কেবল আমি, একা, নিঃশব্দ, মেঘলা।

জানি না, এই আকাশ আর কতবার এমন করে ফিরে আসবে। জানি না, আমি আর কতবার নিজের ছায়া খুঁজে পাব মেঘের ভেতর। তবে এটুকু জানি—আকাশ যেমন তার রঙ বদলায়, আমিও একদিন বদলে যাব। হয়তো পুরোপুরি ভেঙে গিয়ে আবার নতুন করে গড়ে উঠব। হয়তো একদিন সূর্য উঠবে, কিন্তু আমি তবু তাকিয়ে থাকব মেঘের দিকে—কারণ সেখানে লুকানো আমার হৃদয়, আমার যন্ত্রণা, আমার আমি।

শেষে শুধু এটুকু বলি- যখনই কেউ বলবে, “আজ আকাশটা অনেক বিষণ্ন”—তখন আমি মনে মনে বলব, “না, আজ আকাশটা আমার মতো হয়েছে।”

কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য
কচুলতায় এসেছে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনের বার্তা। দেড়শ বিঘা দিগন্তজুড়ে কচুর লতার সফল চাষ মৌলভীবাজার জেলায় সৃষ্টি করেছে নতুন সম্ভাবনা। তুলনামূলক কম খরচ, কম পরিশ্রম এবং বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুর লতা চাষে এক ধরনের কৃষি বিপ্লব দেখা যাচ্ছে এ জেলায়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা প্রচলিত অনেক ফসলের তুলনায় বেশি আয়ের আশায় কচুর লতি চাষে ঝুঁকছেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মৌলভীবাজার থেকে প্রতিদিনই লতি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা এবং কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর গ্রামে।

গিয়াসনগর এলাকায় দেখা গেছে, পুরো গ্রামজুড়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে লতি চাষ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কয়েক বছর আগেও দুই-তিন বিঘা জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে লতি চাষ হলেও বর্তমানে তা ব্যাপক বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। শুধু গিয়াসনগর এলাকাতেই মৌসুমে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে লতির চাষ হচ্ছে।

গিয়াসনগর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ২১ শতাংশ জমিতে লতিরাজ বারি কচু–১ রোপণ করেছেন। প্রায় এক মাস ধরে তিনি লতি তুলছেন। প্রতি সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ কেজি লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মৌসুম যত এগোচ্ছে, দামও বাড়ছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি এক কিয়ার জমিতে লতি চাষ করেছেন এবং আরও জমিতে চারা রোপণের পরিকল্পনা করছেন। কৃষক মিলন, কাজিম ও আফাই মিয়াসহ অনেকেই বড় পরিসরে লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলায় কচুর লতি চাষে সফল হয়েছেন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে তার উদ্যোগে লতি চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার দেখাদেখি স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা গ্রামের এংরাজ মিয়া, রোকন মিয়া, আব্দুল মজিদ ও ইউনুস মিয়া বাণিজ্যিকভাবে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরোজ কান্তি রায় বলেন, গিয়াসনগর গ্রামে লতি এখন একটি সমৃদ্ধ ফসলে পরিণত হয়েছে। চার-পাঁচ বছর আগে যেখানে দুই-তিন বিঘা জমিতে লতি চাষ হতো, এখন সেখানে মৌসুমে ১৫০ বিঘা জমিতে লতির আবাদ হচ্ছে। সারা বছর ৫০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে লতি চাষ হয়। লতি অত্যন্ত লাভজনক ফসল এবং এতে রোগবালাই তুলনামূলক কম। গ্রামটি যেন এখন ‘লতার গ্রাম’ হয়ে উঠছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, কচুর লতি এ অঞ্চলে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও লাভজনক ফসল। অল্প খরচে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। লতি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।

সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুরের সালথায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে খোরশেদ খান (৪৫) নামে এক কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী কৃষকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোরশেদ খান গট্টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ওই গ্রামের উচমান খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে যায় একদল পুলিশ। এ সময় ওই আসামীকে ধরতে বাধা দেন কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে খোরশেদ খান বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৩ পিএম
মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মহান বিজয় দিবসে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চরভদ্রাসন সরকারী কলেজ মাঠে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল উদ্দিন।

সভার শুরুতে উপজেলার প্রায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ইউএনও জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যায়েদ হোছাইন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।