খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

লোভে পড়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে বেশি সময় খেলা চালিয়েছিলেন রেফারি

খেলা ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৬ পিএম
লোভে পড়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে বেশি সময় খেলা চালিয়েছিলেন রেফারি

পিয়েরলুইজি কোলিনা—ফুটবলপ্রেমীদের কাছে নামটা চেনা চেনাই লাগার কথা। তাঁর চেহারাটাও হয়তো অনেকের মনে গেঁথে আছে। মুণ্ডিত মস্তক আর নীল চোখের কোলিনা আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০ বছর রেফারিং করেছেন। অসাধারণ রেফারি হিসেবে বেশ সুনাম ছিল তাঁর। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩—টানা ছয় বছর ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাস্টিকসের ‘বিশ্বসেরা রেফারির’ খেতাব জিতেছেন।নিখুঁত আর নির্ভুল রেফারিংয়ের জন্য যেমন সুনাম ছিল কোলিনার, তেমনি তাঁকে সবাই চিনতেন কঠোর এক রেফারি হিসেবেও। পান থেকে চুন খসলেই খেলোয়াড়দের হলুদ কার্ডের শাস্তি দিতেন। সেই কোলিনাই কিনা ২০০২ বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করতে গিয়ে লোভে পড়ে একটা ইচ্ছাকৃত ভুল করেছিলেন!

ইচ্ছাকৃত সেই ভুলের কথা সাবেক ইতালিয়ান রেফারি সম্প্রতি বলেছেন লা রিপাবলিকা পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। তবে কোলিনার সেই ইচ্ছাকৃত ভুলে ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি। ২০০২ বিশ্বকাপের একটি স্মারক সংগ্রহের লোভে পড়ে ফাইনাল ম্যাচ সমাপ্তির বাঁশি কয়েক সেকেন্ড পর বাজিয়েছিলেন কোলিনা।

জার্মানিকে ২–০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা সেই ম্যাচ নিয়ে কোলিনা বলেছেন, ‘আমার কাছে এমন একটি সংগ্রহ আছে, যেটা শুনলে ফুটবল–জাদুঘর হিংসা করবে।’

তাঁর সেই সংগ্রহ ২০০২ বিশ্বকাপ ফাইনালের বল। লম্বা রেফারিং ক্যারিয়ারে অনেক স্মারকই হয়তো জমিয়েছেন কোলিনা; কিন্তু এটা যে তাঁর কাছে সবচেয়ে মূল্যবান, সেটা কোলিনার কথায়ই স্পষ্ট।

বলটি যেন তিনি সহজেই নিজের আয়ত্তে নিতে পারেন, এর জন্য অপেক্ষা করতে গিয়েই দেরিতে খেলা সমাপ্তির বাঁশি বাজাতে হয়েছিল কোলিনাকে, ‘আমার কাছে ২০০২ বিশ্বকাপ ফাইনালের বলটি আছে। সেদিন আমি হয়তো ১৩ বা ১৪ সেকেন্ড পর (শেষ) বাঁশি বাজিয়েছি, এটা ফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি। আমি শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছি, বলটি যেন আমার হাতে আসে আর আমি সেটা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারি।’

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে বলটি নিয়ে কী হয়েছিল, সেই বর্ণনাও দিয়েছেন কোলিনা, ‘পুরস্কার বিতরণীতে আমি পদক আনতে যাওয়ার আগে সংগঠকদের একজন বলেছিল, “পিয়েরলুইজি বলটি আমার কাছে রেখে যাও, পরে নিয়ে যেও।” আমি বলেছিলাম, কোনো সুযোগ নেই, বলটি আমার কাছেই থাকুক। অনুষ্ঠানের ছবিগুলোতে দেখবেন, সারাক্ষণই বলটি আমি হাতে রেখেছিলাম।”

Source : Prothom Alo

জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রচারণা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সালথায় লিফলেট বিতরণ

সালথা (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২১ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রচারণা বৃদ্ধি  করার লক্ষ্যে সালথায় লিফলেট বিতরণ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সংগঠনের আমির মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ এর নেতৃত্বে সালথা বাজারে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল ও সাধারণ জনগণের মাঝে তাদের দলীয় প্রচারণা বৃদ্ধি  করার লক্ষ্যে  লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. তরিকুল ইসলাম , উপজেলা নায়েবে আমির আজিজুর রহমান মজনু, রামকান্তপুর ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সালথা বাজারের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে  জামায়াতে ইসলামী ও তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করেন এবং দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই অটোভ্যান যাত্রীর

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৮ পিএম
ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই অটোভ্যান যাত্রীর
ফরিদপুরের মধুখালীতে বাসের ধাক্কায় অটোভ্যানের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এর আগে একইদিন সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মধুখালীর মেছোরদিয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার মেছরদিয়া গ্রামের মিঠুন বেপারীর ছেলে মিনহাজ বেপারী (১৫) ও কোটবাড়ির লক্ষণদিয়া গ্রামের মৃত হাসেন মাতুব্বরের ছেলে সোহরাব মাতুব্বর (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে উপজেলার মেছোরদিয়া মোড়ে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান রাস্তা পার হওয়ার সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে ভ্যানে থাকা চালকসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই যাত্রীর মধ্যে একজন ও ঢাকায় নেওয়ার পথে আরেকজন মারা যান।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে গেছেন।

ফরিদপুরে ঘরে ঝুলছিল এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৮ পিএম
ফরিদপুরে ঘরে ঝুলছিল এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হাসিব মোল্লা (১৮) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চুমুরদী গ্রামের নিজের ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত হাসিব মোল্লা চুমুরদী গ্রামের মৃত লিটন মোল্লার পুত্র। সে ভাঙ্গা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের থেকে এবারে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।
নিহতের মা বিউটি বেগম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হাসিবকে পড়তে দেখে ঘুমাতে যাই। পরে রাত তিনটার দিকে কোনও শব্দ না পেয়ে রুমে গিয়ে হাসিবকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।