খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

সদরপুরে নদী ভাঙনরোধ ও কৃষি জমি বাঁচাতে-ইউএনও’র চিঠি

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৬:৫১ পিএম
সদরপুরে নদী ভাঙনরোধ ও কৃষি জমি বাঁচাতে-ইউএনও’র চিঠি
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা। পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদ নদী বিধৌত অঞ্চল নিয়ে যে উপজেলার অবস্থান। ৯টি ইউনিয়ন থাকলেও তার মধ্যে চরনাছিরপুর, চরমানাইর, আকোটেরচর, নারিকেল বাড়ীয়া ৫টি ইউনিয়ন নদীগুলোর দখলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে পাল্লা দিয়ে চলে ওই অঞ্চলের হাজার হাজার বাসিন্দাদের জীবন। প্রতি বছর নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভাঙনরোধের জন্য সরকারের কোটি কোটি টাকার প্রকল্প দিয়ে নদীশাসন করা হলেও এলাকার বালুমাটি দস্যুদের কারণে ওই প্রকল্প রয়েছে এখন চরম ঝুঁকিতে।
বালুমাটি লুটের জন্য উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ভেকু দিয়ে অবাধে নদ নদী পাড়ের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে প্রতিদিন শত শত ড্রাম ট্রাক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা, ভিটা ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে সরবরাহ  করে আসছে বালুমাটি লুটেরা। ওইসব বালু-মাটিবাহী ট্রাকের বেপরোয়া গতিতে বেশ কয়েক জনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
সম্প্রতি ছাত্র জনতা ওই বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তারা দাবী করেন, অচিরেই যেন এসব লুটপাট বন্ধ হয়। যদি না পারে তাহলে ছাত্রজনতারা ওই দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিজেরাই মাঠে নামবেন বলে হুশিয়ারী দেন ওই প্রতিবাদ সভায়। এরপর নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। বালুখেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান করেও বালুকাটা বন্ধ করতে গেলে বেড়িয়ে আসে স্থানীয় ওই সব ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে অবাধে নদ-নদী থেকে বালু উত্তোলনের ঘটনা। বেশ কয়েকটা অভিযানে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় বালুমাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা। বালুমাটিবাহী ট্রাক চলাচলের সময়সীমা আরোপ করে জনস্বার্থে একপত্রাদেশ জারি করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা।
ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাত ১০টার পর সদরপুর উপজেলায় কোন ধরনের বালু বা মাটির ট্রাক চলাচল করতে পারবে না। সরকারি আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। গত ২০ শে মার্চ জারিকৃত চিঠির পর থেকে প্রতিনিয়ত রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রাঙ্গত, সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর, শয়তানখালী, দূর্বারটেক, আকোটকলা বাগান, শৌলডুবী, মোল্যা কান্দিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পদ্মা-আড়িয়াল খা নদ নদীর পাড় ঘেঁষে অবৈধভাবে মাটি খননযন্ত্র ভেকু ও ড্রেজারস্থাপন করে অবাধে বালুমাটি লুট করে নেয় বালু দস্যুরা। এদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা ও সহকারী কমিশনার ভূমি রুবানা তানজিন একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে বালু লুটের মহোৎসবে। পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদ নদী পাড়ের বাসিন্দারা ও ওই অঞ্চলের কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তাদের বসতি ও কৃষি জমির বুক থেকে টপ সয়েল মাটি রক্ষার্থে দ্বারস্থ হন। একদিকে ফসলি জমির বুক কেটে নেওয়া অন্যদিকে নদীর পাড় থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর ভাঙন দেখা দেয়। এ ঘটনায় সরেজমিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন ইউএনও জাকিয়া সুলতানা।
বালুমাটি কাটা বন্ধে চিঠি জারি করার সাথে সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কারণে বালু দস্যুরা ওই সব অঞ্চল থেকে ভেকু,ড্রেজার সরিয়ে অন্যত্র নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নদী পাড়ের একাধিক বাসিন্দাদের দাবী, বালু দস্যুরা অনেক শক্তিশালী। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে থাকতে পারি না। ইউএনও আমাদের নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা ও কৃষি জমি থেকে কৃষি পন্য উৎপাদনের জন্য যে ব্যবস্থা নিয়েছেন এটি যেন বজায় থাকে। তার ও উদ্যোগ কে ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবারের সদস্য তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা জানান, যে ভাবে বালুমাটি কাটা হচ্ছে এতে পদ্মা নদীর অনেক ভাঙন দেখা দিবে। এছাড়াও ওই অঞ্চলের মানুষের কৃষি জমি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অবৈধভাবে বালুমাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন সব সময় তৎপর রয়েছে। আদেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

নগরকান্দায় সড়কের পাশের সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫৫ পিএম
নগরকান্দায় সড়কের পাশের সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ
সরকারি আইন ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ফরিদপুরের নগরকান্দায় পাকা সড়কের পাশের সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের শংকরপাশা-আটাইল পাকা সড়কের পাশে ১৬৬ নং শংকরপাশা মৌজার ৫৯১ নং দাগের সরকারি জমিতে অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম এবং কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগিতায় উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের মৃত দেলোয়ার সরদারের ছেলে আজিম সরদার ও টিপু সরদার শংকরপাশা গ্রামের পাকা সড়কের পাশের সরকারি জায়গা জোরপূর্বক দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে ডাঙ্গী ইউনিয়ন ভুমি অফিস ও নগরকান্দা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আজিম সরদার ও টিপু সরদার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায়, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে  নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত টিপু সরদার  বলেন, আমাদের জায়গার উপর দিয়ে পাকা সড়ক হয়েছে, তাই আমরা সড়কের পাশের জায়গায় ঘর তুলতেছি।
সরকারি জায়গায় অবৈধ দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ অস্বীকার করে ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, আজিম সরদার ও টিপু সরদারের জমির উপর দিয়ে পাকা সড়ক হওয়ায়, সরকারি সড়কের পাশের জায়গায় তারা ভবন নির্মাণ করতেছে। এটা বৈধ বা অবৈধ কিনা, এ ব্যাপারে প্রশাসন যথাযত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করলে ভালো হয়।
নগরকান্দা  উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাফী বিন কবির বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কেউ নির্মাণ করলে সেই অবৈধ স্থাপনা অপসারণ সহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রচারণা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সালথায় লিফলেট বিতরণ

সালথা (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২১ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রচারণা বৃদ্ধি  করার লক্ষ্যে সালথায় লিফলেট বিতরণ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সংগঠনের আমির মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ এর নেতৃত্বে সালথা বাজারে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল ও সাধারণ জনগণের মাঝে তাদের দলীয় প্রচারণা বৃদ্ধি  করার লক্ষ্যে  লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. তরিকুল ইসলাম , উপজেলা নায়েবে আমির আজিজুর রহমান মজনু, রামকান্তপুর ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সালথা বাজারের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে  জামায়াতে ইসলামী ও তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করেন এবং দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই অটোভ্যান যাত্রীর

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৮ পিএম
ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই অটোভ্যান যাত্রীর
ফরিদপুরের মধুখালীতে বাসের ধাক্কায় অটোভ্যানের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এর আগে একইদিন সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মধুখালীর মেছোরদিয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার মেছরদিয়া গ্রামের মিঠুন বেপারীর ছেলে মিনহাজ বেপারী (১৫) ও কোটবাড়ির লক্ষণদিয়া গ্রামের মৃত হাসেন মাতুব্বরের ছেলে সোহরাব মাতুব্বর (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে উপজেলার মেছোরদিয়া মোড়ে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান রাস্তা পার হওয়ার সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে ভ্যানে থাকা চালকসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই যাত্রীর মধ্যে একজন ও ঢাকায় নেওয়ার পথে আরেকজন মারা যান।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে গেছেন।