খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ১৯ আষাঢ়, ১৪৩২

সদরপুরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল তিন বছরের শিশুর

সদরপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৪ এএম
সদরপুরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল তিন বছরের শিশুর

ফরিদপুরের সদরপুরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তিন বছরের শিশু ‌তাইমুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুর দেড়টায় সদপুরের শৌলডুবীতে নানা বাড়িতে অসাবধানতা বসত ঘরে বিদ্যুৎ স্পর্শ হয়ে মৃত্যু হয় তার।

নিহত তাইমুর রহমান (৩) সদরপুর উপজেলার শৌলডুবী গ্রামের নাজমুল সাকিবের ছেলে।

নিহতের বাবা নাজমুন সাকিব জানান, তারা ছেলে বসত ঘরের খাটের উপরে ঘুমানো অবস্থায় ছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে উঠে ঘরের বিদ্যুতের সকের্টে হাত দিলে বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হয়। শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফরিদপুরে ভাঙ্গনের আতঙ্কে পদ্মাপাড়ের মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ২:৪১ পিএম
ফরিদপুরে ভাঙ্গনের আতঙ্কে পদ্মাপাড়ের মানুষ

ফরিদপুরে বর্ষা মৌসুমে পদ্মার নদীর পানি বৃদ্ধিতে ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে মানুষ। জেলার সদরপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। প্রতি বছর নদীর তীরে ফসলি জমি, বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অসংখ্য পরিবার। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। নদী শাসনের টেকসই ব্যবস্থা, প্রয়োজন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া, আকোটের চর, চর নাসিরপুর ও চরমানাইর ইউনিয়নের কয়েকশ পরিবার পদ্মার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।

প্রতি বছরই পদ্মার ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাট-বাজার- এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া, ঝুঁকিতে রয়েছে দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের নুরুদ্দীন সরদারকান্দি, আব্দুল হামিদ জঙ্গিরকান্দি, আলেফ সরদারকান্দি ও জব্বার শিকদারকান্দিসহ বেশ কিছু গ্রাম।

আতঙ্কে থাকা প্রায় ১’শ ১০টি পরিবারের দাবি ভাঙ্গন ঠেকাতে টেকসই নদীশাসনের ব্যবস্থা করা হোক।

নদীভাঙনে এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে না। নদী শাসনের টেকসই ব্যবস্থা, প্রয়োজন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

পদ্মার পানি বাড়ার সাথে সাথেই ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকর্তা।

ভাঙ্গনরোধে আশ্বাস নয়, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি স্থানীয়দের।

ফরিদপুরে বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ, যানজট-ভোগান্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ২:১৯ পিএম
ফরিদপুরে বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ, যানজট-ভোগান্তি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ঘন্টাব্যাপী টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (০২ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে টায়ার জালিয়ে অবরোধ করা হয়। এসময় দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কের দুই পাশে দূরপাল্লার শত শত যানবাহন আটকা পড়ে এবং যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন ।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে পরে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, মহাসড়ক অবরোধের কারণে আটকে পড়া বরিশালগামী একটি পরিবহনের যাত্রী আশরাফুল আলম জানান, ঘন্টার পর ঘন্টা বাসের মধ্যে বসে আছি। দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
দলীয় ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ভাঙ্গা পৌর বিএনপি‍‍`র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এম এ ওয়াদুদ ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সহ আরো ১৩ জনকে সদস্য করে মোট ১৫ জনের কমিটি গঠন করে ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই)সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফরিদপুর জেলা বিএনপি‍‍`র আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন স্বাক্ষরিত কমিটি ছড়িয়ে পড়ে। এই কমিটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কমিটি নিয়ে একটি পক্ষ স্বাগত জানালেও আরেকটি পক্ষ পকেট কমিটি ও আওয়ামী লীগের লোকদের নিয়ে কমিটি হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানান।
নেতা কর্মীদের দাবি, ভাঙ্গা পৌর বিএনপির সম্মেলন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে পদ বঞ্চিতদের জায়গা হয় নাই। পকেট কমিটি করেছেন। আমরা অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল চাই। অন্যথায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমিটি প্রত্যাহার করা না হলে পুনরায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মিজানুর রহমান মুন্সি, আলম মুন্সি (ছোট), ছোট্টো শিকদার, বিল্লাল কাজী, লাবলু মুন্সি, সজীব মাতুব্বর, সৈয়দ মেহেদী, মিসান আহসান, সুমন মুন্সি, আরিফ মুন্সি সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ভাঙ্গা পৌর বিএনপি‍‍`র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এম এ ওয়াদুদ জানান, সারাজীবন দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি। শেষ বয়সে দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভাঙ্গা পৌর বিএনপি নেতা, মোঃ আলম মুন্সি জানান, এটি পকেট কমিটি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিগত ১৭টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এ পর্যায়ে এসেছি। আমাদের মতো ত্যাগী কোন নেতাকর্মীদের এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রোকিবুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের অনুরোধ করে মহাসড়ক অবরোধ মুক্ত করা হয়। এ সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এখন কোন যানজট নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কমিটির বিষয়ে যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের লিখিতভাবে জানাতে পারে,কিন্তু সড়ক অবরোধ করে এ ধরনের কর্মকান্ড গ্রহণযোগ্য বা কাম্য নয়।

ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ২:০৬ পিএম
ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, মানববন্ধন

ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আসরউদ্দিন মুন্সির ডাঙ্গী এলাকায় পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। তারা আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে এ মানববন্ধন করেন তারা। হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তি হলেন, প্রবাসী মো. আলমাছ খা (৪০)। গত শনিবার রাতে তাকে হত্যা করেন তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৩)। ঘটনার পর পুলিশ হোসনেয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তার প্রেমিক আলী শেখকে (৫৫) এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ইতোমধ্যে নিহতের বাবা হাতেম খান বাদী হয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

মানববন্ধনে এলাকার আবালবৃদ্ধবনিতা ও যুবকরা অংশ নেন। তাদের দাবি নিহত আলমাছ খা ছিলেন সহজ-সরল। এ সময় বক্তব্য রাখেন নিহতের বাবা হাতেম খান ও স্থানীয় মির্জা প্রিন্স, হাজেরা বেগম, খালেদ হাসান মুরাদ, তাসলি বেগমসহ অন্যরা। বক্তারা বলেন, ‘আলমাছ দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকাকালীন স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বিভিন্ন পরপুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি আলমাছ জানার পরে তাকে নিষেধ করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় মনোমালিন্য। আলমাছ বিদেশ থেকে বাড়িতে আসার পর থেকেই স্ত্রী তাকে পুনরায় বিদেশে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। আলমাছ বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নিলে শুরু হয় নির্যাতন। ‌গত শনিবার রাতে স্বামীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী হোসনেয়ারা।‌ পরের দিন রবিবার সকালে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।’

তারা বলেন, ‘পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্ত্রীকে আটক করলেও কথিত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অতিদ্রুত আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’ পরে এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মামলার প্রধান আসামি স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আসামি আলী শেখকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। হোসনেয়ারা বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।