খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

সালথায় অভিযানের পর নদ-নদী ছেড়ে তিন ফসলি জমিতে মাটিখেকোদের হানা 

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
সালথায় অভিযানের পর নদ-নদী ছেড়ে তিন ফসলি জমিতে মাটিখেকোদের হানা 

ফরিদপুরের সালথায় প্রশাসনিক অভিযানের পর নদ-নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ হলেও এখন তিন ফসলি জমিকে টার্গেট করেছে মাটিখেকোরা। বর্ষা মৌসুমকে টার্গেট করে উপজেলার সর্বত্রই তিন ফসলি নিচু জমির জলাশয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের ভয়াবহ তৎপরতা বেড়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ফসলি জমিতে সমৃদ্ধ এই উপজেলায় প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার ফলে ভেঙে পড়ছে আশপাশের কৃষিজমি।

অন্যদিকে ড্রেজারের বিকট শব্দে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাভাবিক জীবনযাপনও ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চলা এই অবৈধ ড্রেজিং কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কুষ্টিয়ার চকে ফসলি জমির জলাশয়ে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন নামে এক মাটি ব্যবসায়ী বড় একটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে বালু উত্তোলন করছে। পাশেই রিয়াজ হোসেন নামে আরেক বালু ব্যবসায়ী একটি ড্রেজার স্থাপন করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া বিলের ফসলি জমিতে মিজান নামে এক মাটি ব্যবাসায়ী ও আগুলদিয়া দীঘের বিলে ফসলি জমিতে মাহমুদ নামে আরেক মাটি ব্যবসায়ী ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। তাছাড়াও উপজেলার বিভিন্নস্থানে তিন ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলার মধ্যে দেলোয়ার, মিজান ও মাহমুদসহ একাধিক চিহ্নিত মাটি ও বালু ব্যবসায়ী রয়েছে। এটাই তাদের পেশা। তারা নদ-নদী, খাল-বিল ও তিন ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তাদের ভয়াল থাবার শিকার হয় নিরিহ সাধারণ কৃষক। স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় জমির অংশ ভেঙে যাচ্ছে। ফলে তাদের ফসল চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আটঘর ইউনিয়নের কৃষক জব্বার মোল্যা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার দাদা-পরদাদার আমলের কৃষিজমি এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিছু বললে হুমকি দেওয়া হয়। আমরা অসহায়। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

বালু ও মাটি ব্যবসায়ী মাহমুদ, মিজান ও দেলোয়ার বলেন, আমরা সকলকে ম্যানেজ করেই মাটি ব্যবসা করি। এতে কৃষিজমির ক্ষতি হলেও আমাদের কিছু করার নেই। কারণ জমির মালিকরা যদি না বুঝে, তাহলে আমাদের কি করার আছে। জমির মালিকরা তো আমাদের কাছে মাটি বিক্রি করে। আমরা এই মাটি ইট ভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, তিন ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেহুত অভিযোগ আসছে, তাই দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন উপজেলার মধ্যেদিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন নদ-নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। পরে নদ-নদী থেকে বালু উত্তোলনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরপর থেকে মাটিখেকোরা তিন ফসলি জমি ধ্বংসে মেতে উঠেছে।

ফরিদপুরে শুরু হয়েছে প্রবাসী মেলা ও জব ফেয়ার ‌

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:০৭ পিএম
ফরিদপুরে শুরু হয়েছে প্রবাসী মেলা ও জব ফেয়ার ‌

ফরিদপুরে শুরু হয়েছে‌‌ আশ্বাস প্রকল্প ও এসডিএস এর সহযোগিতায় প্রবাসী মেলা ও জব ফেয়ার।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ‌ সকাল ৯ টার দিকে এর উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসান মোল্লা।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ‌এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ‌অভিবাসী দিবস ‌ও প্রবাসী দিবস উপলক্ষে এ মেলা ও জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়। এতে মোট ২৫টি স্টল অংশগ্রহণ করে।

এ সময় ‌সঠিক ‌‌নিয়ম অনুযায়ী এবং বৈধভাবে‌ বিদেশে কর্মী প্রেরণের ‌ উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ‌ সরকার ‌ বৈধভাবে বিদেশ গমনেচ্ছুদের ‌সব রকম সহায়তা প্রদান করবেন বলে ‌জানানো হয়।

এদিকে, মেলায় ‌ অংশগ্রহণকারী সটল মালিকেরা জানান, ‌ এ মেলা থেকে ‌‌ বিদেশে যাওয়ার সঠিক নিয়মকানুন মেনে ‌ লোকজন বিদেশে যাবে ‌‌ এবং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।

এসময় নির্ধারিত সাংস্কৃতিক মঞ্চে জনসচেতনমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে গান ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিল্পীরা ‌জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে ‌ তাদের বিভিন্ন পরিবেশন উপস্থাপন করেন।

ফরিদপুরে কলাবাগানে পড়েছিল অটোরিকশা চালকের লাশ

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:২০ পিএম
ফরিদপুরে কলাবাগানে পড়েছিল অটোরিকশা চালকের লাশ

ফরিদপুরে একটি কলাবাগান থেকে টিপু সুলতান (৪০) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে ওই অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত টিপু সুলতান একই এলাকার মৃত জায়েদ আলী শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে যে কোনো এক সময় ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সজল মিয়ার পুকুরপাড় সংলগ্ন ইলিয়াস শেখের কলাবাগানের ভেতরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা টিপু সুলতানকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।

অতঃপর ভোরে ইলিয়াস শেখ কলাবাগানে পানি দিতে এসে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের জানান। পরে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আজমীর হোসেন ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:৪৬ পিএম
ফরিদপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের

ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা–মধুখালী–বোয়ালমারী) আসনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন, প্রার্থীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে আগ্রহী আরিফুর রহমান দোলন অভিযোগ করেছেন, কিছু প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা প্রকাশ্যে আইন অমান্য করছেন, যা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘যিনি আইন প্রণেতা হতে চান, তিনি যদি শুরুতেই আইন না মানেন, অনুসারীদের আইন অমান্যে উৎসাহ দেন এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিষয়ে নীরব থাকেন—তাহলে তার কাছে জনগণের জান-মাল ও মর্যাদা কতটা নিরাপদ, সেটাই বড় প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, বড় রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর একই আসনে অন্য প্রার্থীকে সহ্য করতে না পারা আসলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর দুর্বলতারই প্রকাশ। তার ভাষায়, ‘একজন এমপি প্রার্থীর নিজেরই যদি টলারেন্স পাওয়ার না থাকে, তাহলে তার হাতে পাঁচ লাখের বেশি ভোটার এবং সাত লাখেরও বেশি মানুষের সম্মান ও অধিকার কীভাবে নিরাপদ থাকবে?’

আরিফুর রহমান দোলন অভিযোগ করেন, ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশের পর থেকেই তাকে লক্ষ্য করে অপপ্রচার, চরিত্রহনন এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। আমি এখন ফরিদপুর-১ আসনে এমপি হতে চাওয়া কোনো কোনো প্রার্থীর—সবাই নন—পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছি।’

তার দাবি, যিনি এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক, তিনি কিছুদিন আগেও তাকে নিজ রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার জন্য একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তার অফিসে বারবার এসেছিলেন। ‘একটাই শর্ত ছিল—আমাকে মঞ্চে উঠে তার পক্ষে কথা বলতে হবে। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলেছিলাম, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু আমাকে সরাসরি সমর্থন না করায় ধরে নেওয়া হলো আমি তার বিরুদ্ধে,’ বলেন দোলন।

এরপর তার বিরুদ্ধে নোংরা ভাষায় চরিত্রহনন ও বিষোদ্‌গার শুরু হয় এবং অনুসারীদেরও সেই পথে পরিচালিত করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নিজের পেশাগত অবস্থান তুলে ধরে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘ঢাকা টাইমসের একজন সাংবাদিক ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন কাভার করতে গিয়ে নিহত হলেও তখন সাংবাদিকদের পেশাগত নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে আমি সবসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ছিলাম এবং আছি।’

তিনি আরও বলেন, তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ড ফরিদপুর-১ আসনের মানুষের অজানা নয়।

আরিফুর রহমান দোলন অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে ভুয়া ফেসবুক আইডি ও পেজ খুলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং মব সৃষ্টি করে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। ‘আমাকে হত্যা করা বা প্রার্থী না হতে সুস্পষ্ট ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে, যা সরাসরি দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন,’ বলেন তিনি।

তিনি এসব বিষয়ে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং সর্বোপরি ফরিদপুর-১ আসনের জনগণের কাছে ন্যায়বিচারের দাবি জানান।

নির্বাচনী পরিবেশ প্রসঙ্গে দোলন বলেন, ‘একদিকে দল ঘোষিত প্রার্থীর সঙ্গে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কিংবা ক্ষমতাসীন দলের পদধারী নেতারা প্রকাশ্যে ঘুরছেন এবং অন্যদেরও তাদের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে কথা না বললে বা সঙ্গে না ঘুরলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং ‘ফ্যাসিস্টের সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা রাজনৈতিক রং না দেখে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন—এটাই সংবিধানস্বীকৃত দাবি।’

তিনি আরও বলেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ঘোষিত প্রার্থী ঘন ঘন আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী থানায় যাচ্ছেন, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে কিনা, তা জনগণ, গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পর্যবেক্ষণ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরিফুর রহমান দোলনের মতে, ফরিদপুর-১ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত হয়েছে কি না, সেটিই প্রমাণ করবে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব কি না। তিনি নির্বাচনের আগেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচন কমিশনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গোপনে ও প্রকাশ্যে সরেজমিন তদন্তের আহ্বান জানান।

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমি ভীত নই। আমি দেশের ও মানুষের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পালিয়ে যাওয়ার নীতিতে বিশ্বাসী নই। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের রায় নিতে চাই।’

বিবৃতির শেষাংশে তিনি বলেন, ‘ফরিদপুর-১ আসনের শান্তিপ্রিয় মানুষই শেষ পর্যন্ত সবকিছুর বিচার করবেন। ফরিদপুর-১ আসনের শান্তিপ্রিয় জনতার জয় হোক।’