খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে বিদায় ভারতের

ক্রীড়া ডেস্ক:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:০৬ এএম
সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে বিদায় ভারতের

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় ধাপ চলছে। এই স্তরে ২৪ দল ছয়টি গ্রুপে খেলছে। ছয় গ্রুপের ছয় চ্যাম্পিয়ন আগামী বছর সৌদি আরবে মূল পর্বে খেলবে। বাংলাদেশ পড়েছে সি গ্রুপে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের বিপক্ষে।

আজ চার দলেরই চারটি করে ম্যাচ হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও হংকং দুই দলের সমান ৮ পয়েন্ট। বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট সমান দুই। আজ ভারত গৌহাটিতে ১-২ গোলে সিঙ্গাপুরের কাছে হেরেছে। এতে সি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দল এশিয়া কাপ খেলার দৌড় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে গেছে। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলের কেউ শেষ দুই ম্যাচ জিতলে ৮ পয়েন্ট হলেও ১৮ নভেম্বর সিঙ্গাপুর-হংকং ম্যাচের ফলাফল যাই হোক এক দলের পয়েন্ট ৮ এর বেশি থাকবে। ফলে বাংলাদেশ ও ভারত কারো গ্রুপ সেরা হওয়ার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ও ভারত এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। তবে সিঙ্গাপুর-হংকংয়ের গলার কাটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ সিঙ্গাপুর-হংকং ম্যাচ ড্র হলে দুই দলের পয়েন্ট ১৮ নভেম্বর দাড়াবে ৯। তখন ৩০ মার্চ বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরকে হারালে বা ড্র করলে ভারতকে হারিয়ে হংকং জিতলে তারা এশিয়া কাপে খেলবে। তদ্রুপ বিপরীত ঘটনাও হতে পারে ভারত হংকংকে রুখে দিলে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশকে হারালে, তখন সিঙ্গাপুর খেলবে এশিয়া কাপ।

১৮ নভেম্বর হংকং-সিঙ্গাপুর ম্যাচ এই গ্রুপের অঘোষিত ফাইনাল। কারণ ঐ ম্যাচে যে দল জয়ী হবে সেই দলই এই গ্রুপ থেকে এশিয়া কাপে খেলবে। যে দল জয়ী হবে তাদের পয়েন্ট হবে ১১। শেষ ম্যাচে সেই দল হারলে এবং তাদের পেছন ছুটতে থাকা দল শেষ ম্যাচ জিতলে তখন দুই দলেরই সমান ১১ পয়েন্ট হবে। সিঙ্গাপুর-হংকং দুই দলের মধ্যকার ২৫ মার্চের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। ফলে ১৮ নভেম্বর ম্যাচে জয়ী দল হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলবে।

এশিয়া কাপের দৌড়ে টিকে থাকতে আজ বাংলাদেশের জয় প্রয়োজন ছিল। ড্র করেও খানিকটা মৃদু আশা ছিল। যদি ভারত সিঙ্গাপুরকে হারাতে পারত, তখন সিঙ্গাপুর ও ভারত দুই দলের সমান পয়েন্ট থাকত। বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচে জিতলে এবং সিঙ্গাপুর হংকংকে হারালে তখন চার দলেরই সমান ৮ পয়েন্ট হতো। সেক্ষেত্রে গোল ব্যবধান হেড টু হেডের জটিল হিসেবে সম্ভাবনা তৈরি হতো।

বাংলাদেশের মৃদু আশা জাগিয়ে তুলেছিল ভারত। ১৪ মিনিটে লিড নিয়েছিল স্বাগতিক দল। ৪৪ মিনিটে সমতা আনে সফরকারী সিঙ্গাপুর। এরপর ৫৮ মিনিটে আরেক গোল করলে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভারত। রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলার স্বপ্ন-সম্ভাবনা দু’টোই শেষ হয়।

এশিয়া কাপ ২৪ দলের। এশিয়ান অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরবর্তী ধাপে খেলা ১৮ দল সরাসরি এশিয়া কাপে উঠেছে। বাকি ছয়টি স্থানের জন্য ২৪ দল লড়ছে।

কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য
কচুলতায় এসেছে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনের বার্তা। দেড়শ বিঘা দিগন্তজুড়ে কচুর লতার সফল চাষ মৌলভীবাজার জেলায় সৃষ্টি করেছে নতুন সম্ভাবনা। তুলনামূলক কম খরচ, কম পরিশ্রম এবং বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুর লতা চাষে এক ধরনের কৃষি বিপ্লব দেখা যাচ্ছে এ জেলায়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা প্রচলিত অনেক ফসলের তুলনায় বেশি আয়ের আশায় কচুর লতি চাষে ঝুঁকছেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মৌলভীবাজার থেকে প্রতিদিনই লতি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা এবং কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর গ্রামে।

গিয়াসনগর এলাকায় দেখা গেছে, পুরো গ্রামজুড়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে লতি চাষ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কয়েক বছর আগেও দুই-তিন বিঘা জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে লতি চাষ হলেও বর্তমানে তা ব্যাপক বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। শুধু গিয়াসনগর এলাকাতেই মৌসুমে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে লতির চাষ হচ্ছে।

গিয়াসনগর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ২১ শতাংশ জমিতে লতিরাজ বারি কচু–১ রোপণ করেছেন। প্রায় এক মাস ধরে তিনি লতি তুলছেন। প্রতি সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ কেজি লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মৌসুম যত এগোচ্ছে, দামও বাড়ছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি এক কিয়ার জমিতে লতি চাষ করেছেন এবং আরও জমিতে চারা রোপণের পরিকল্পনা করছেন। কৃষক মিলন, কাজিম ও আফাই মিয়াসহ অনেকেই বড় পরিসরে লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলায় কচুর লতি চাষে সফল হয়েছেন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে তার উদ্যোগে লতি চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার দেখাদেখি স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা গ্রামের এংরাজ মিয়া, রোকন মিয়া, আব্দুল মজিদ ও ইউনুস মিয়া বাণিজ্যিকভাবে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরোজ কান্তি রায় বলেন, গিয়াসনগর গ্রামে লতি এখন একটি সমৃদ্ধ ফসলে পরিণত হয়েছে। চার-পাঁচ বছর আগে যেখানে দুই-তিন বিঘা জমিতে লতি চাষ হতো, এখন সেখানে মৌসুমে ১৫০ বিঘা জমিতে লতির আবাদ হচ্ছে। সারা বছর ৫০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে লতি চাষ হয়। লতি অত্যন্ত লাভজনক ফসল এবং এতে রোগবালাই তুলনামূলক কম। গ্রামটি যেন এখন ‘লতার গ্রাম’ হয়ে উঠছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, কচুর লতি এ অঞ্চলে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও লাভজনক ফসল। অল্প খরচে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। লতি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।

সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুরের সালথায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে খোরশেদ খান (৪৫) নামে এক কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী কৃষকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোরশেদ খান গট্টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ওই গ্রামের উচমান খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে যায় একদল পুলিশ। এ সময় ওই আসামীকে ধরতে বাধা দেন কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে খোরশেদ খান বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৩ পিএম
মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মহান বিজয় দিবসে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চরভদ্রাসন সরকারী কলেজ মাঠে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল উদ্দিন।

সভার শুরুতে উপজেলার প্রায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ইউএনও জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যায়েদ হোছাইন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।