খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক, ১৪৩২

হাঁপানির কারণ ও প্রতিকার

অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তফা হোসেন
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫২ এএম
হাঁপানির কারণ ও প্রতিকার

শ্বাসকষ্টজনিত কারণে সাধারণত অ্যাজমা বা হাঁপানির সৃষ্টি হয়ে থাকে। হাঁপানি মানুষের দেহের এক অসহনীয় ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি। আর এই শ্বাসকষ্টের উপদ্রব হয় নানা রকম অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী এলার্জনের কারণে। এলার্জেন হচ্ছে ধুলোবালি, ফুলের রেণু, মাইটের মল, পরিবেশের ধুলা, পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদি। অ্যালার্জিজনিত হাঁপানির একটি প্রধান কারণ হচ্ছে ধুলো।

বাসাবাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা ধুলোবালি, অফিসের খাতাপত্র বা ফাইলে জমে থাকা ধুলো এবং রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত যে ধুলো উড়ছে তা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের প্রধান উদ্রেগকারী। ধুলোবালি মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। অন্য সব এলার্জেনের চেয়ে ধুলো খুব সহজে নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে। ফলে খুব দ্রুত সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি হয়। সব ধরনের বা সব জায়গায় ধুলোই যে হাঁপানি বা অ্যাজমার জন্য খুব বেশি ক্ষতিকারক তা কিন্তু নয়। ঘরে বা অফিসে জমে থাকা ধুলো রাস্তার ধুলোর চেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। রাস্তার ধুলোতে থাকে অজৈব পদার্থ, যাতে হাঁপানি, অ্যাজমা, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা শ্বাসকষ্টের তেমন কষ্ট হয় না। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইটের কারণেই প্রধানত ধুলোবালি অ্যাজমা রোগীদের জন্য বিপজ্জনক।

এটি হচ্ছে এক প্রকার অর্থোপড জীব। এই পোকা এত ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না। আর্দ্রতাপূর্ব আবহাওয়া মাইট বড় হওয়া এবং বংশবৃদ্ধির যথোপযুক্ত পরিবেশ। আর এর বাসস্থান হচ্ছে মানুষের ব্যবহৃত বিছানা, বালিশ, কার্পেট। মাইটের শরীর থেকে নির্গত মল, লালা, রস ধুলার সঙ্গে মিশে মানুষের শ্বাসের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে, যা কিনা পরে হাঁপানিতে রূপ নেয়। এ কারণে ধুলাজনিত অ্যালার্জির কারণে অ্যাজমা রোগীর পরিমাণ বেশি। গ্রামের তুলনায় শহরের বেশির ভাগ লোক এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। যাদের ধুলোর কারণে শ্বাসকষ্ট অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়, তাদের কতগুলো বিষয়ের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে- এমন পরিবেশে চলা যাবে না যেখানে ধুলোর পরিমাণ বেশি। *ঘর পরিষ্কার এবং বিছানাপত্র ঝাড়ু দেওয়ার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। *মাইট বেড়ে উঠার উপযুক্ত পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। *অ্যালার্জি প্রতিরোধক টিকা ইমিউনোথেরাপি ব্যবহার করা। ইমিউনোথেরাপি হচ্ছে এমন এক ধরনের ওষুধ, যা কিনা দেহের ভিতরে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।

লেখক : বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, মেডিনোভা, মালিবাগ, ঢাকা

ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:১৫ পিএম
ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা

ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর শহরের সাজেদা কবির উদ্দিন পৌর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বিদ্যালয়টিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের ফরিদপুর জেলা শাখা এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা, মন খারাপের কারণ এবং মন ভালো রাখার কার্যকর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সেশন চলাকালে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দলগত কার্যক্রম আয়োজন করা হয়, যেখানে তারা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে এবং মন খারাপের বিভিন্ন কারণ ও তা কাটিয়ে ওঠার উপায় নিয়ে পেপার প্রেজেন্টেশন করে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল অংশগ্রহণে সেশনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা রঙিন কাগজে নিজের মন খারাপের কারণ লিখে সেটিকে কাগজের প্লেনে রূপান্তর করে উড়িয়ে দেয়—যা ছিল মানসিক ভারমুক্তির প্রতীকী আয়োজন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,’ ‘এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি ও ইতিবাচক চিন্তার বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

বসুন্ধরা শুভসংঘের ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সোনীয়া সুলতানার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সোহেল, উপদেষ্টা ও বাংলানিউজ২৪.কমের প্রতিনিধি হারুন-অর-রশীদ, কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি নুর ইসলাম, নিউজ২৪ টেলিভিশনের প্রতিনিধি খায়রুজ্জামান সোহাগ, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিয়া, দপ্তর সম্পাদক তিহান আহমেদ, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস, সদস্য ইরিন প্রমূখ।

ফরিদপুরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ‌৪৭ তম ‌প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত 

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:১০ পিএম
ফরিদপুরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ‌৪৭ তম ‌প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত 

ফরিদপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ‌৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা যুবদল ও মহানগর যুবদলের উদ্যোগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শোভাযাত্রা দু’টি ‌জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ‌‌ প্রদক্ষিণ করে ‌শহরের আলিপুর গোরস্থানের সামনে অবস্থিত ‌নওয়াব আলী টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ‌মহানগর যুবদলের ‌ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ‌প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ‌জেলা যুবদলের সভাপতি ‌মো. রাজিব হোসেন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজওয়ান বিশ্বাস তরুণ, সহ-সভাপতি ‌কে,এম জাফর, সাংগঠনিক সম্পাদক ‌ শহীদুর রহমান শহীদ, মহানগর যুবদলের ‌সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক শামীম তালুকদার, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম নাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ‌জেলা যুবদলের ‌ সাধারণ সম্পাদক ‌মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

সভায় বক্তারা ‌জাতীয়তাবাদী যুবদলের ‌সুদীর্ঘ ইতিহাস ‌তুলে ধরে আলোচনা করেন। তারা বলেন, ‌
ফরিদপুরে জাতীয়তাবাদী যুবদল, মহানগর যুবদল তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আর তাই ‌ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‌‌ধানের শীষে বিজয় অর্জনে ‌সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই ঐক্য নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।এ দল শহীদ জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত।

বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আমরা গত ১৭ বছর লড়াই ‌ সংগ্রাম করেছি। ‌ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের বিরুদ্ধে যেন কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে ‌সে লক্ষ্যে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে ‌ তার জন্য কাজ করতে হবে। আর তাই ‌‌ সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ‌‌ধানের শীষের বিজয়ের জন্য মাঠে নামতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে ‌ ফরিদপুর থেকে দল যাকেই মনোনয়ন দেক-না কেন ‌ তাকে বিজয়ী করতে হবে। এ লক্ষ্যে ‌সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এর পূর্বে ‌ বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যানার ‌ফেস্টুন বাদ্যযন্ত্রসহ একাধিক মিছিল উক্ত কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

শীতের আগেই হাতে খসখসে ভাব? মেনে চলুন ঘরোয়া উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২১ পিএম
শীতের আগেই হাতে খসখসে ভাব? মেনে চলুন ঘরোয়া উপায়

প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল চলছে। শীতের আগের এ সময়টায় ত্বকের পাশাপাশি হাতেও খসখসে রুক্ষ ভাব দেখা দেয়। এ সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ত্বককে ময়েশ্চারাইজিং করা জরুরি। এছাড়া সঠিক হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার এবং হালকা গরম পানি দিয়ে হাত ধোয়ার মতো কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।

হাতের যত্নে কী করবেন

সঠিক হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন: অ্যালকোহল বা রাসায়নিক-যুক্ত হ্যান্ডওয়াশ এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়। গ্লিসারিন বা অ্যালোভেরা যুক্ত মাইল্ড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন।

হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন: অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। এ কারণে হাত ধোয়ার জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।

ময়েশ্চারাইজ করুন: প্রতিবার হাত ধোয়ার পরে, বিশেষ করে শীতকালে, ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ফিরিয়ে আনতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: দিনের বেলা এবং রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিন-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

আর্দ্রতা ধরে রাখুন: হালকা গরম পানিতে গোলাপ জল এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

রাতে যত্ন নিন: রাতে ঘুমানোর আগে হাতে গ্লিসারিন ও লেবুর রস মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে।

গ্লাভস পরুন: বাইরে বা ঠান্ডা জায়গায় গেলে হাতে গ্লাভস ব্যবহার করুন।

হালকা স্ক্রাব করুন: হাত পরিষ্কার করার জন্য স্ক্রাবিং করতে পারেন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।

নারকেল তেল ব্যবহার করুন: নারকেল তেল ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।

সানস্ক্রিন: মুখের মতো হাতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তা না হলে ট্যান পরতে পারে। প্রতিদিন ভালো এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।