খুঁজুন
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫ পৌষ, ১৪৩২

আমি বেঁচে থাকতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা দক্ষিণে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেব না: ইশরাক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৬ পিএম
আমি বেঁচে থাকতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা দক্ষিণে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেব না: ইশরাক

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিও এমন।

তবে বিএনপি চায়, আগে জাতীয় নির্বাচন। তারপরই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন।

 

এদিকে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এছাড়া আগামী জুনের মধ্যে দেশের সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব বলে জানিয়েছে তারা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক রিপোর্টে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।

এবার এ বিষয় নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ঘোষণা দেন, তিনি বেঁচে থাকতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।

তার দৃষ্টিতে, মার্কাবিহীন এ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।

ইশরাক হোসেনের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনা থাকতে পারে। হতে পারে এর মাধ্যমে ছোট দল, নতুন দল তাদের পাল্লা ভারী করার একটা সুপ্ত প্রয়াস চালাবে।

অন্য কোনো পক্ষেরও এজেন্ডা থাকতে পারে। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে মার্কাবিহীন এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উথান ঘটবে। সেই সংক্রান্ত আলামত ও কিছু আনাগোনা শুনতে পাচ্ছি।

আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছেই এ ব্যপারে। এর বাইরে ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী হিসেবে অথবা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে অথবা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে, যেভাবেই বিবেচনা করা হোক আমাকে।

বই পড়তে শেখার আগে ঢাকার রাজনীতি শিখতে শুরু করেছি। জন্ম থেকে এগুলো দেখছি, বিদেশে কেবল উচ্চশিক্ষার জন্যে কয়েক বছর কাটিয়েছি। ঢাকার অলি গলির রাজনীতি কীভাবে হয় এবং হয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময় তা নতুন করে বয়ান দেওয়ার দরকার নেই। ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে একটি চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে।

হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কেমনে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে ওইটা আমাদের মুখস্ত। জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার-ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে। এ সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নেই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।

ফরিদপুরে ছোট ভাইয়ের বউয়ের বটির কোপে প্রাণ গেল ভাসুরের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
ফরিদপুরে ছোট ভাইয়ের বউয়ের বটির কোপে প্রাণ গেল ভাসুরের

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঘরে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের ধারালো বটির কোপে লুৎফর রহমান টুকু মোল্লা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপান্দি গ্রামে লুৎফর রহমান টুকু মোল্লার সাথে চাচাতো ভাই সোহাগ মোল্লার পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় লুৎফর রহমান টুকু মোল্লার হাঁস চাচাতো ভাই সোহাগ মোল্লার ঘরে যায়। এর জের ধরে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহাগ মোল্লার স্ত্রী সিমা আক্তারের (২৫) ধারালো বটির কোপে ভাসুর লুৎফর রহমান টুকু মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে টুকু মোল্লা নামক এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ও ঘরে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের কোপে লুৎফর রহমান টুকু মোল্লা নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ওসমান হাদীকে হত্যার প্রতিবাদে সালথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
ওসমান হাদীকে হত্যার প্রতিবাদে সালথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম সারির যোদ্ধা, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ-এর মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীকে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলায় হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরের সালথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ব্যানারে উপজেলা সদরের লাভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সালথা থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘শরীফ ওসমান হাদী ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার একজন সাহসী কণ্ঠস্বর। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। অবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।’

বিক্ষোভকারীরা হাদী হত্যার বিচার চাই, “সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও, “বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলবে না এমন নানা স্লোগান দেন। এ সময় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সালথা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সজিব আল ইসলাম, সদস্য সচিব সজিব মিয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, জেলা গণঅধিকার পরিষদের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ মিয়া, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ইমরান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই যোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল বাপ্পিসহ বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

ফরিদপুরে ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:৪৯ পিএম
ফরিদপুরে ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা

ফরিদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজ শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শরীফ ওসমান হাদীর এ গায়েবানা জানাজার নামাজে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে এক ‌সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শরীফ ওসমান হাদীর ‌জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় ওসমান হাদীর খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয় এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।