খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

আলফাডাঙ্গায় মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল স্কুল ছাত্রের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৮:১১ পিএম
আলফাডাঙ্গায় মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল স্কুল ছাত্রের
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আব্দুল্লাহ ফকির (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এর আগে একইদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার জয়দেবপুর-শিরগ্রাম সড়কের জয়দেবপুর ঈদগাহ এলাকায় মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষ আব্দুল্লাহ মারাত্মক আহত হয়।
নিহত আব্দুল্লাহ ফকির বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলাম ফকিরের ছেলে। তিনি আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মৃত আমিনুল ইসলাম ফকির প্রায় ৮ বছর আগে স্ত্রী, এক ছেলে আব্দুল্লাহ ও দুই মেয়ে রেখে মারা যান। তারপর থেকে মা ও দুই বোনকে নিয়ে ছোট আব্দুল্লাহর সংসার মোটামুটি ভালোই চলছিল। শনিবার সকালে শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ফকির মোটরসাইকেলযোগে বোয়ালমারী উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় যায়। সেখান থেকে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার পথে আলফাডাঙ্গার জয়দেবপুর-শিরগ্রাম সড়কের জয়দেবপুর ঈদগাহ’র সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অজ্ঞাত মাইক্রোবাসের সাথে সংঘর্ষে বুকে মারাত্মক আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ফরিদপুর মেডিক্যাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে পুকুরিয়া নামক এলাকায় তার মৃত্যু হয়। তবে তিনি উশৃঙ্খলভাবে মোটরসাইকেল চালাতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মৃত আব্দুল্লাহর প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আসলাম মোল্যা জানান, তাদের পরিবারের কোন অভিযোগ নাই।শনিবার বাদ আসর ধোপাপাড়া আশরাফুল উলুম গোরস্থান মাদ্রাসায় জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হবে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. সিরাজুল ইসলামকে জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ জালাল আলম বলেন, এ দূর্ঘটনার ব্যাপারে আমাদের কেউ জানাইনি বা কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, পুলিশসহ আহত ২৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, পুলিশসহ আহত ২৩

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এর ফলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বোয়ালমারীর ওয়াপদার মোড় এলাকা। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সময় ওয়াপদার মোড়ের পাশে হারুণ শপিং কমপ্লেক্সে বিএনপির একটি পক্ষের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। আগুন দেওয়া হয় ওই শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থাকা অন্তত ১০টি মোটরসাইকেলে। এছাড়া আশেপাশের দোকানগুলিতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দীরন মিয়া ঝুনুর নেতৃত্বে বিভক্ত। এই দুই নেতাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বোয়ালমারী আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে দল এ আসনে দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করে রেখেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা তিনটার দিকে শামসুদ্দীর মিয়ার সমর্থকরা ওয়াপদার মোড় এলাকায় এবং নাসিরুলের সমর্থকরা প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ মোড় সমবেত হতে শুরু করেন। সমবেতদের হাতে বাঁশের লাঠির মাথায় ধানের শীষ বাধা ছিল।

বিকাল ৪টার দিকে নাসিরুলের পক্ষের লোকজন মিছিল নিয়ে ওয়াপদার মোড় এলাকার দিকে এগুতে থাকে। ওই সময় শামসুদ্দীনের সমর্থকরা কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের দিকে এগুতে থাকে। বোয়ালমারী পৌরসভার সামনে এলে দুই পক্ষ পরস্পরের প্রতি ইট নিক্ষেপ করতে শুরু করে।

তবে নাসিরুলের সমর্থকরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় শামসুদ্দীনের সমর্থকরা পিছু হটে ওয়াপদার মোড়ে হারুণ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেয়।

এসময় বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিব্বির আহমেদ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান দুই পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। তবে নাসিরুল  ইসলামের সমর্থকদের হামলায় এক পর্যায়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এর পর নাসিরুলের সমর্থকরা হারুণ শপিং কমপ্লেক্সে সামনে থাকা অন্তত ১০টি মোটরসাইলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা ওই ভবনের নিচ তলায় অবস্থিত শামসুদ্দিন মিয়ার কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এছাড়া আশেপাশে বিভিন্ন দোকানে হামলা করে ভাঙচুর করে। এসময় হামলাকারীদের হাতে রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়।

বিকাল পাঁচটা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নাসিরুলের সমর্থকদের হামলার সময় থানার পুলিশ সদস্যদের এক কোনে অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষা করতে দেখা যায়। দমকল বাহিনীর একটি গাড়ি আগুন নেভাতে এসে হামলার শিকার হয়।

শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, “প্রশাসনকে জানিয়ে আমরা ওয়াপদার মোড়ে অনুষ্ঠান করছিলাম। এসময় নাসিরুলের লোকজন আওয়ামী লীগের লোকদের সঙ্গে নিয়ে অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে, আমার কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। আমার ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। কার্যালয়ে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করেছে।”

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, “আমি ছিলাম মধুখালী। আমাদের লোকজনদের ওপর হামলা করেছে। একজনকে কুপিয়ে জখম করে। ওরা হারুন শপিং কমপ্লেক্সের উপরে উঠে আমার সমর্থদের ওপর ইট ছুড়ে মারলে চার-পাঁচজন কয়েকজন আহত হন। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শপিং কমপ্লেক্সে হামলা করে।”

বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে অবস্থান নেয়। সেনাবাহিনী আসার পর দমকল বাহিনী পুনরায় ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। সেনাবাহিনী থাকার পরও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বলেন, “বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে। এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

চরভদ্রাসন ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যাত্রা শুরু

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:৫২ পিএম
চরভদ্রাসন ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যাত্রা শুরু

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে যৌথ মালিকানায় “চরভদ্রাসন ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার” নামে এই প্রথম একটি প্রাইভেট হাসপাতাল তাদের যাত্রা শুরু করেছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকার অনুমোদিত এই হসপিটালটির শুভ উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডা. পীযূষ বিশ্বাস (হৃদরোগ, মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ), ডা. শাহানা পারভীন বীথি(গাইনী ও প্রসুতি বিশেষজ্ঞ), ডা. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন (নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ), ডা. সুশীত কুমার বিশ্বাস (সার্জারী বিশেষজ্ঞ), ডা. মাহফুজ আরা মুক্তা (গাইনী ও প্রসুতী বিশেষজ্ঞ), ডা. শিপ্রা হালদার, ডা. নাহিদ বাদশা, ডা. এসএম আরাফাত, ডা. প্রিন্স মাহমুদ ও ডা. সাদনান সাকিব। এছাড়া এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

হসপিটালটির প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাশেম মন্ডল ও পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম জানায়, উদ্বোধন উপলক্ষে তিনতলা বিশিষ্ট আধুনিক এই হাসপাতালে ৭ নভেম্বর হতে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সকল প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় চল্লিশ শতাংশ ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করবেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ। এছাড়া এই হাসপাতালে রয়েছে আট জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও তিন জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। এছাড়া ১০টি বেড, ৪টি কেবিন ও ১২ জন নার্স।

হাসপাতালটিতে চব্বিশ ঘণ্টা এ্যমবুলেন্স সেবার পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। উদ্বোধনের প্রথম দিনে দুটি সফল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তারা।

চরভদ্রাসনে আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রান:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৪০ পিএম
চরভদ্রাসনে আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উক্ত আইনে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যাক্তিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবুল খায়ের (৫৮), প্রচার সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্যা (৫৪) ও আওয়ামীলীগ নেতা কামাল হোসেন মোল্যা (৫০)।

 

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খান বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদের তিনজনকে গ্রেতার করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।