খুঁজুন
শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭ আষাঢ়, ১৪৩২

আলফাডাঙ্গায় হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে সড়কের কার্পেটিং

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৭:৩৩ পিএম
আলফাডাঙ্গায় হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে সড়কের কার্পেটিং

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নে ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়কে কার্পেটিং করার পরদিনই হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। তবে উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, সাধারণত কার্পেটিংয়ের পর ৭২ ঘণ্টা লাগে সময় লাগে স্থায়ী হতে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং, এমন চিত্র ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট পর্যন্ত সড়কের। বিক্ষুব্ধ স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ বিটুমিনসহ নিম্নমানের সামগ্রী গিয়ে সড়কের কার্পেটিং করায় এমন বেহাল দশা।

সূত্র জানায়, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ৩ হাজার ৭০০ মিটার দীর্ঘ এ সড়ক উন্নয়নকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

গত শনিবার (১৪ জুন) ভেন্নাতলা অংশে ১৫০ মিটার সড়কের কার্পেটিং করা হয়। পরদিন রোববার (১৫ জুন) দুপুরে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী পরে যায়। পরে এলাকার লোকজন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টান দিলে কার্পেটিং উঠে আসে। এসময় সেখানে উপস্থিত থাকা সহকারী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজনের কাছে বিষয়টি জানতে চায় স্থানীয়রা। এরপর একে একে শতাধিক মানুষ এসে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে সহকারী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজন সেখান থেকে সরে যায়। এখন পর্যন্ত সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকে নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। প্রথম থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করছেন। তারা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বললেও ঠিকাদার শোনেননি। এ সময় তারা সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান। তাদের দাবি পুনরায় সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হোক সড়কটি।

সরেজমিনে সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী হাত দিয়ে চাপড়া চাপড়া কার্পেটিং তুলছেন। এসময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নিম্নমানের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান।

স্থানীয় ভেন্নাতলা বাজারের মুদি দোকানি জুয়েল রানা বলেন, শুরু থেকে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছিল। বিভিন্ন সময় ঠিকাদারকে বিষয়টি বললেও সে কর্ণপাত করেনি। শনিবার বিকালে কার্পেটিং এর কাজ করে। রোববার দুপুরের দিকে সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক, ভ্যান চলাচল করলে বিভিন্ন জায়গায় দেবে যায়। পরে আমরা সড়কটির বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে দেখি কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। টান দিলেই চাপড়া ধরে উঠে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদি হাসান কাছেদ বলেন, কার্পেটিংয়ের একদিন পর রোববার দুপুরে বাজারে গিয়ে দেখি সড়কের কার্পেটিং হাত দিয়ে তুলছে কয়েকজন। হাত দিয়ে টান দিলেই চাপড়া ধরে উঠে আসছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কার্পেটিং করায় এ অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, ওই সময় সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের লোক ছিল, বিষয়টি তাদের কাছে জানতে গেলে তাদের সাথে স্থানীয়দের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই তিন শত স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের অবরুদ্ধ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সহকারী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজন দ্রুত ওই স্থান থেকে সটকে পরে। এখন পর্যন্ত কাজ বন্ধ রয়েছে। আমাদের দাবি সড়কটি পুনরায় সঠিকভাবে নির্মাণ করা হোক।

 

ভ্যানচালক সিরাজ বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ভাঙ্গা চোরা সড়ক দিয়ে আমরা চলাচল করেছি। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পর সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুব খুশি ছিলাম। কিন্তু এভাবে নিম্নমানের কাজ করা হবে এটা ভাবতে পারি নাই। কার্পেটিংয়ের একদিন পরই তা চাপড়া ধরে উঠে যাচ্ছে। এর চেয়ে আগের রাস্তাই ভালো ছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, সড়কের কার্পেটিংয়ের অধিকাংশ কাজ বাকি রয়েছে। শুরুতেই এমন নিম্নমানের কাজ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের লোকজনের সাথে বাকবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটেছে। প্রত্যাশা করছি বাকি কাজ টুকু ভালোভাবে সম্পন্ন করবে কর্তৃপক্ষ।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহমুদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাহমুদ জানান, শিডিউল অনুযায়ী সড়কের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সত্য নয়। এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে না পারায় আমাদের সাথে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। মূলত রাস্তার কার্পেটিং করার ৭২ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয় না। ২৪ ঘণ্টা পরেই তারা কার্পেটিং তুলে এধরনের অভিযোগ তুলেছে।

এলজিইডির আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম জানান, গুণগতমান বজায় রেখেই কাজটি করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় কিছু লোকজন গতকাল বিষয়টি বুঝতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। সাধারণত কার্পেটিংয়ের পর ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে স্থায়ী হতে। তবে ঠিকাদারের গাফিলতি আছে কিনা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীর বাধার মুখে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে দু-এক দিনের মধ্যে পুনরায় কাজ শুরু করা হবে।

চরভদ্রাসনে সাপে কামড় দেওয়ার তিনদিন পর যুবকের মৃত্যু

চরভদ্রাসন প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
চরভদ্রাসনে সাপে কামড় দেওয়ার তিনদিন পর যুবকের মৃত্যু
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সাপে কামড় দেওয়ার তিনদিন পর কাউসার ভূইয়া (৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত কাউসার ভূঁইয়া চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের শালিপুর মধ্য গ্রামের মৃত ফালু হভূইয়ার ছোট ছেলে। তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের শালিপুর মধ্য গ্রামের মৃত ফালু হভূইয়ার ছোট ছেলে কাউসার ভূঁইয়াকে গত ১৬ জুন দুপুরের দিকে ধান ক্ষেতের গরু তাড়াতে গেলে সাপে কামড় দেয়। পরে বাড়িতে ফিরে সাপে কামড়ানোর কথা পরিবারকে জানায় যে, তাকে বল ছাপার রং সাপে কামড় দিয়েছে। তবে রাসেল’স ভাইপারকে স্থানীয়রা ‘বল ছাপা’ সাপ বলে থাকেন। ঘটনার দিন বিকেলে পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার একদিন পর তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ফরিদপুরে জাল নিবন্ধনে বাল্যবিয়ের অপরাধে কনের মা ও কাজীকে জরিমানা

হাসান মাতুব্বর (শ্রাবণ), ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
ফরিদপুরে জাল নিবন্ধনে বাল্যবিয়ের অপরাধে কনের মা ও কাজীকে জরিমানা
ফরিদপুরে জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে দেয়ার অভিযোগে কনের মা ও সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিষ্ট্রারকে (কাজী) জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৯ টায় শহরের চকবাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন মার্কেটের দোতলায় অবস্থিত কাজী অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান।
এ সময় নিকাহ রেজিষ্ট্রার মো. কামরুল হাসানকে (৪৮) বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে একই অপরাধে বিকালে শহরের বায়তুল আমান এলাকায় কনের মা’কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুন শহরের বায়তুল আমান এলাকায় ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরীকে জাল জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে বাল্যবিবাহ দেয়া হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিকালে কনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিকাহ রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, বিভিন্ন অভিযোগের কারণে নিকাহ রেজিস্টার কামরুল হাসানের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে এক আদেশের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ওই আদেশ গত ৮ জুন পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান বলেন- ‘এক কিশোরীর জাল নিবন্ধনের মাধ্যমে বয়স বেশি দেখিয়ে বাল্য বিয়ে দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান করা হয়েছে এবং সত্যতাও পাওয়া গেছে। যে কারণে দুইজনকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া জেলা রেজিষ্ট্রার বরাবর আমরা একটি চিঠি পাঠাবো ওনার নিবন্ধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

সালথায় বসতবাড়ি ঘেঁষে আ’লীগ নেতার করাতকল, শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ২:৪৩ পিএম
সালথায় বসতবাড়ি ঘেঁষে আ’লীগ নেতার করাতকল, শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
নীতিমালা অমান্য করে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর এলাকায় বসতবাড়ী ঘেঁষে একটি করাতকল (স’মিল) স্থাপন করা হয়েছে। সেই করাতকলের শব্দ ও কাঠের গুড়া উড়ে এসে চোখে পরায় ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার মানুষ। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে লিখিত অভিযোগ দিলেও এটি দেখার যেন কেউই নেই। সবাই একে অপরের উপর দায় চাপাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিঘ্ন সৃষ্টি করে এরূপ কোনো স্থানের ন্যূনতম ২০০ (দুইশত) মিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এ নিয়ম অমান্য করেই চার বছর আগে বসতবাড়ির মাত্র ৫০ মিটার পাশে একটি করাতকল নির্মাণ করেন স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও একই উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকার মৃত ছব্দু মোল্যার ছেলে মজিবর মোল্যা (৬০)।
চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঠের গুড়া চোখে গেলে কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্ত ও গুড়া নিশ্বাসের সঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও হতে পারে। এছাড়া শব্দ দূষণে আশেপাশের পরিবেশ ও জনজীবন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বসতবাড়ির কাঁচা রাস্তার পাশ ঘেঁষে পশ্চিম পাশে একটি করাতকল গড়ে তোলা হয়েছে। কাঠের গুড়া যাতে উড়ে না আসে সেজন্য টিনের বেড়াও দেয়া হয়নি। তাইতো করাতকলে গাছ কিংবা কাঠ ফাঁড়াই করার সময় গুড়া আশেপাশের বসতবাড়িতে উড়ে যায়। আর শব্দও হয় ভীষণ। এতে শিশু-কিশোররা পড়ালেখা করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
গোপিনাথপুর গ্রামের নুর আলম মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, যখন করাতকল চালু করা হয় তখন অতিরিক্ত শব্দে পড়ার মনোযোগ নষ্ট হয়। এছাড়া কাঠের গুড়া উড়ে এসে চোখে পড়ে। এছাড়া নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে সন্ধ্যার পরেও করাতকল চালানো হচ্ছে। এতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে মজিবর মোল্যা প্রভাবশালী ও আ’লীগ নেতা হওয়ায় ভয়ে কেউ টুঁশব্দ করতে সাহস পাচ্ছেনা।
এব্যাপারে বক্তব্য জানতে করাতকল মালিক মজিবর মোল্যার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে তার ছেলে নাসির মোল্যা বলেন, করাতকলের আশেপাশে বসতবাড়ি থাকলেও তাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু, একজন লোক স্থানীয় কিছু মানুষের প্ররোচণায় পড়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছে। যদিও তাদের ঘর-বাড়িটা আমাদেরই জায়গায়।
এব্যাপারে সালথা উপজেলা বন কর্মকর্তা
নজরুল ইসলাম বলেন, আমাকে ফরিদপুরের সামাজিক বন বিভাগ থেকে একটি চিঠি দিয়েছিল। পরে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে।
এব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। বনবিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বন বিভাগ ওই করাতকলের লাইসেন্স বাতিল করলে, তারপর আইনগত পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কুদ্দুছ ভূঁইয়া বলেন, এব্যাপারে গোপিনাথপুর এলাকার রুপালী বেগম নামের একজন নারীর অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই করাতকল মালিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হয়েছে। আমরা নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।