খুঁজুন
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র, ১৪৩২

কর্মস্থল থেকে উধাও, ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ৪:৫৮ পিএম
কর্মস্থল থেকে উধাও, ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভেঙে পড়ে পুলিশ বাহিনী। অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগদান করে কয়েকদিন পর উধাও হয়ে যান। অনেকে ছুটি নিয়েও অনুপস্থিত অনেকে আবার ছুটি না নিয়েও উধাও হয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে যোগ না দেওয়া এমন ঊর্ধ্বতন ১৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

 

রোববার (২৯ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে ১৩টি পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। গত ২৬ জুন প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেন উপসচিব নাসিমুল গনি।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন তিনজন পুলিশ সুপার, আটজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও দুজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

 

পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন

এটিইউয়ের সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বিনা অনুমতিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

পুলিশ সুপার শাহজাহান

রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মো. শাহজাহান গত ১৬ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল

নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত গোলাম মোস্তফা রাসেল গত ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হাছান

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর হাছান গত বছরের ৩ অক্টোবর হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে ১৫ দিনের ছুটি মঞ্জুর হয়। তিনি ৮ অক্টোবর কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ১৫ দিনের ছুটি শেষে গত ২৩ অক্টোবর কর্মস্থলে যোগদানের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি ২৩ অক্টোবর সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসারত অতিরিক্ত আরও ৬০ দিনের ছুটি বৃদ্ধির জন্য ই-মেইলে আবেদন করেন। তার আবেদন মঞ্জুর হয়। এরপরও কর্মস্থলে হাজির হওয়ার জন্য তার স্থায়ী ঠিকানায় দুইবার নোটিশ জারি করা হলেও তিনি এখন পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগদান না করে বিদেশে অবস্থান করছেন।

সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় এস এম জাহাঙ্গীর হাছানকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম আখতারুল ইসলাম

রমনা বিভাগের সাবেক এডিসি বর্তমানে সিলেট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম গত ২৬ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শামীম

ডিএমপির সাবেক এডিসি এস এম শামীম গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়রুল ইসলাম

ডিএমপির সাবেক এডিসি বর্তমানে কক্সবাজার এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়রুল ইসলাম গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস

ডিএমপি ডিবির সাবেক এডিসি বর্তমানে জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস গত বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা

রাঙ্গামাটি এপিবিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান

তেজগাঁও বিভাগের সাবেক এডিসি বর্তমানে সুনামগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান গত ২৯ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান

বরিশাল র‍্যাব-৮ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এএসপি মাহমুদুল হাসান

রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম ভবনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মাহমুদুল হাসান গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এএসপি ইমরুল

কক্সবাজার উখিয়া এপিবিনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ ইমরুল গত ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি বিধিমালা অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

ফরিদপুরে পশু হাসপাতালে জনবল সংকট, ব্যাহত সেবা কার্যক্রম

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০৮ এএম
ফরিদপুরে পশু হাসপাতালে জনবল সংকট, ব্যাহত সেবা কার্যক্রম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে চলছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানের ১১টি পদের মধ্যে ছয়টি শূন্য। এর মধ্যে আবার তিনবছরের জন্য অন্যত্র প্রশিক্ষণে রয়েছেন একজন। বর্তমানে এই কার্যালয়ে কাগজে-কলমে পাঁচজন থাকলেও বাস্তবে কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। ফলে অল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে উপজেলার একমাত্র সরকারি পশু হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা চরম ব্যাহত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২১টি গ্রামের লাখো মানুষের ৫৮ হাজার ৭৭৬টি গবাদি পশু ও দুই লাখ ৯০ হাজার ৫০১টির বেশি হাঁস মুরগীসহ বিভিন্ন প্রাণি রয়েছে। তাই প্রতিদিন অনেক গবাদি পশু পালনকারী সেবা ও পরামর্শ নিতে আসেন প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। কিন্তু ভেটোরিনারি সার্জনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে আসা লোকদের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তেমনি হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে। ফলে খামার মালিকরা বিভিন্ন গবাদি পশুর অপারেশনের জন্য ছুটছেন বেসরকারি চিকিৎসকের কাছে। এতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি উপজেলায় একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন ভেটেরোনারি সার্জন, একজন উপজেলা লাইফ স্টক অ্যাসিসটেন্ট (ইউএলএ), তিনজন ভেটেরেনারি ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট (ডিএফএ), একজন কম্পাউন্ডার, একজন ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট (এফএ/এআই), একজন অফিস সহকারী, একজন ড্রেসার ও একজন অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদ রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে বর্তমানে একজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন উপজেলা লাইফ স্টক অ্যাসিসটেন্ট, একজন ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট, একজন ড্রেসার ও একজন অফিস সহায়ক আছেন। অর্থাৎ ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্থলে পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারি আছেন। ছয়টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। এদিকে এই পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আবার ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট তিন বছরের জন্য অন্যত্র প্রশিক্ষণে রয়েছেন। ফলে বর্তমানে এই কার্যালয়ে মাত্র চারজন কর্মরত আছেন।

দপ্তর থেকে জানা গেছে, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পশুপাখিকে টিকাদান, চিকিৎসাদান, মাঠ পরিদর্শন, খামারিদের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি বিতরণ, পশুপাখির সুস্থতার সনদ দেওয়া, উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ, খামার নিবন্ধন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি সেবাদানের কাজগুলো এই দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়। কিন্তু জনবলসংকট থাকায় বাকিদেরই সব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে পশু পালনকারীরা চাহিদামতো সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

উপজেলার জাটিগ্রামের কৃষক মাহাবুর মোল্যা জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে একজন ডাক্তার দিয়ে চলছে এ হাসপাতাল। চিকিৎসার জন্য গবাদি পশু নিয়ে আসলে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। হাসপাতালে অনেক ভিড় থাকে। এ হাসপাতালে আরেকজন ডাক্তারের খুবই প্রয়োজন।’

উপজেলা ডেইরি এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম নজরুল ইসলাম জানান, ‘হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে যথাসময়ে সেবা দিতে পারছে না। আমরা চাই দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করা হোক।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন বলেন, ‘ভেটেরিনারি সার্জনসহ ছয়টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষক বিভিন্ন গবাদিপশু নিয়ে আসেন চিকিৎসাসেবা নিতে। আমাকে দৈনন্দিন অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে হয়। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে হয়। সরকারি বিভিন্ন সভায় যেতে হয়। প্রতিদিন আমাকে একাই সব সামলাতে হচ্ছে। জনবল সংকটের মধ্যেও সেবা প্রদানে কোনো ধরনের গাফিলতি হচ্ছে না। তবে কাজ করতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জেলার মাসিক সভায় বারবার অবহিত করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শূন্য পদে পদায়ন না হওয়ায় প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট অন্য যারা আছেন, তাদের সহযোগিতায় সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যেসব পদে লোক নেই, সেসব পদে লোকবল দেওয়া হলে আমাদের সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১২ পিএম
চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে চরভদ্রাসন থানা চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন।

থানাটির এস,আই রফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এসআই ফরহাদ হোসেন, এসআই মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপি’র সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মোল্যা, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান সিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য এজিএম বাদল আমীন, সদস্য মো. মঞ্জুরুল হক মৃধা, মো. কুদ্দুস আলী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ সোলায়মান, সমাজ সেবক মো. মোস্তফা কবীর ও ছাত্রনেতা পিএম কামরুল হাসান প্রমুখ।

এছাড়া শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ফরিদপুরের চরভদ্রাসন শেষ সীমানা পাটপাশা সহ উপজেলার গুরত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে পুলিশ টহল জোরদারের পাশাপশি চরাঞ্চলের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নদীপথে পুলিশ বোড দিয়ে টহলের জোর দাবী জানান।

এছাড়া চরভদ্রাসন উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি বল্যবিবাহ ও মাদক নির্মূলে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানানো হয়।

ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে অসুস্থ গরু জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর সময় গরু ফেলে পালিয়ে যায় কসাই।

শনিবার (১৬ আগস্ট) মাধবপুর গ্রামের এহসানুল হক কলি তার একটি গর্ভবতী গাভী গরু অসুস্থ হলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: শওকত আলীকে জানান।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলা ১১ টার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে গরুটি সিজার করে বাচ্চাটি বের করেন। বের করার কিছুক্ষণের মধ্যে বাচ্চাটি মারা যায়। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এহসানুল হক কলি মধুখালী উপজেলার এক কসাইয়ের নিকট ৩৫ হাজার টাকায় ওই অসুস্থ গরুটি বিক্রি করে দেন। কসাই গরু জবাই করে ছাড়ানোর সময় সাংবাদিক এসেছে এমন কথা শুনে গরু ফেলে পালিয়ে চলে যায়।

এহসানুল হক কলি বলেন, গরুটি ফুড পয়জন হয়েছিল তাই বিক্রি করে দিয়েছি।

কসাইদের না পাওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী বলেন, গাভী গরুটি অসুস্থ ছিল যেহেতু তার পেটের বাচ্চা ৯ মাস বয়স হয়েছিল তাই সিজার করে বাচ্চাটি বের করা হয়েছিল। পরে বাচ্চাটি মারা যায়। তবে ওই অসুস্থ গরুটি জবাই করে তারা নিজেরা মাংস খেতে পারে। ওই মাংস বাজারে বিক্রি করা নিষিদ্ধ।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে এহসানুল হক কলির বাড়িতে গিয়ে গরুটি দেখেশুনে বলে এসেছি মাংস যদি খেতে চান নিজেরা খেতে পারেন। এক টুকরা মাংস বাহিরে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।