চরভদ্রাসনে চরে জমি দেখতে এসে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি প্রবাসীর

ফরিদপুরে দুবাই প্রবাসী রাকিবুল হাসান নামের এক যুবকের দুই সন্তানসহ স্ত্রী নিখোঁজ রয়েছে। গত তিন ধরে ধরে নিখোঁজ থাকলেও কোথাও তাদের খোঁজ মিলছেনা বলে শনিবার (০৫ জুলাই) দুপুরে জানিয়েছেন ওই প্রবাসীর বড় ভাই মো. রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় গত ২ জুলাই ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরনশীপুর গ্রামের মৃত. আ. গফুর মন্ডলের ছেলে রাকিবুল হাসান দীর্ঘদিন যাবৎ দুবাই রাষ্ট্রে কর্মরত আছেন। সে বিদেশে থাকায় তার স্ত্রী মাকসুদা বন্যা (৩২) ও তার পুত্র সন্তান মাহি (০৯) এবং কন্যা সন্তান তাহিয়াকে (০৭) নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে আসছে স্ত্রী। এমতাবস্থায় গত ২ জুলাই সকালে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বাহির হয়। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে।
ওই প্রবাসীর বড় মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খোঁজাখুজি করেও তাদের সন্ধান পাইনি। যাওয়ার সময় দুই লাখ টাকা, তিন-চার ভরি স্বর্ণ ও কিছু জিনিসপত্র সাথে নিয়ে গিয়েছে। আমরা খুব উদ্বিগ্ন রয়েছি।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রী মিলে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে স্ত্রীর সামনে ট্রেনে কাটা পড়ে সোলেমান কাজী (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
শনিবার (০৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বালিয়াচরা খাল সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোলেমান কাজী উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, স্বামী- স্ত্রী মিলে মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা। তিনি একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছিলেন। রেললাইন দিয়ে বালিয়াচড়া মাদ্রাসা মাঠে আসার সময় যশোর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, স্বামী-স্ত্রী মিলে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ট্রেনে কাটা পড়ে স্ত্রীর সামনে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এটি রেল পুলিশের বিষয়, তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। রেল পুলিশের কর্মকর্তারা এসে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বহু গ্রন্থের প্রণেতা ও বিভিন্ন সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক কবি আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (০৪ জুলাই) সন্ধ্যায় কবি আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে এবং ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ এর সহযোগিতায় শহরের টেপাখোলায় অবস্থিত কোহিনুর পাবলিক লাইব্রেরীতে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এবিএম সাত্তার, প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি ডাক্তার আব্দুল জলিল, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মফিজ ইমাম মিলন, খেলাঘর ফরিদপুর শাখার সভাপতি আলতাফ হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার সাইফুল হাসান মিলন, এফ ডি এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ফরিদপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম স্ট্যালিন, লোক সাহিত্য গবেষক খলিলুল্লাহ দিল দরাজ , খেয়া সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি ম নিজাম, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক বিজয় পোদ্দার, কবি মাহফুজ খান বাদল, জেবা তাবাসসুম নেহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম।
সভায় বক্তারা কবি আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার জীবন ও কর্ম তুলে ধরে আলোচনা করেন। তারা বলেন ফরিদপুরের সাহিত্য অঙ্গনে আব্দুল লতিফ ভুঁইয়ার অবদান চির স্মরণীয় থাকবে। তিনি শুধু একজন ভালো সাহিত্যিক ছিলেন না ভালো মনের মানুষ ছিলেন। অত্যন্ত সৎ ও সাদা মনের মানুষ ছিলেন। সব সময় মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকবেন।
ফরিদপুরের সাহিত্যঙ্গনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ।
তিনি অসংখ্য কবি সাহিত্যিক বইয়ের প্রকাশক ছিলেন । মানুষের কল্যাণে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় ।
অনুষ্ঠানে তাঁর পুত্র অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব পিয়াল সহ স্থানীয় ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন
Array