‘তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে অনেকের গা জ্বলতেছে’ — শামা ওবায়েদ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদপুরের আলোচিত সমাজসেবক ও মানবিক কর্মী রায়হান জামিল।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা, দীর্ঘদিনের সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড এবং সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার কারণেই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে রায়হান জামিলকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর আগে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালালেও দেশ ও মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় পার্টির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রার্থীতা প্রসঙ্গে রায়হান জামিল বলেন,“জনগণের আস্থাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। নির্বাচিত হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো। সাধারণ মানুষের অধিকার ও ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, মুফতি রায়হান জামিল ফরিদপুর-৪ আসনে দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা ও মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিচিত মুখ। ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিতরণ, ৩০ নভেম্বর ১ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস এবং ১১ জুলাই ২ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের মতো উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মৎস্য অধিদপ্তরধীন ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত)–এর আওতায় নিবন্ধিত সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ১২টি গ্রুপের ৬০ জন জেলের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত নূর মৌসুমী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রকল্প পরিচালক খাইরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে.এম. রায়হানুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুসার সাহা এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তরুণ বসু।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তরুণ বসু বলেন, মাছ ও শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নিবন্ধিত ৬০ জন জেলের জীবিকায় বৈচিত্র্য আনতে এবং বিকল্প কর্মসংস্থান গড়ে তুলতেই এই বকনা বাছুর প্রদান করা হয়েছে। এতে জেলেদের আয় বাড়বে এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
উপস্থিত অতিথিরা বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে জেলেরা শুধু মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল না থেকে গবাদিপশু পালনসহ অন্যান্য আয়ের উৎস গড়ে তুলতে পারবে, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বাল্কহেড থেকে পড়ে পদ্মা নদীতে এক সুকানী নিখোঁজ হয়েছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিলারচর ও সবুল্লা সিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ সুকানীর নাম আরিফ শেখ (৪৬)। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শোলমারী গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি বিবাহিত এবং এক মেয়ে ও দুই ছেলের জনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফ শেখ বাল্কহেডের সুকানী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার খালু আবুল সরকার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বালু নিয়ে ফরিদপুর সদরের সিএনবি ঘাট নৌবন্দরে আসেন আরিফ। বালু খালাস শেষে ফেরার পথে চরভদ্রাসনের টিলারচর ও সবুল্লা সিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় অসাবধানতাবশত তিনি পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে নামে। বুধবার দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালিয়েও নিখোঁজ সুকানীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা নামায় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।
চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোর্তজা ফকির জানান, ফরিদপুর থেকে দুই সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে কয়েক দফায় নদীতে নেমে তল্লাশি চালায়। তবে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর সিএনবি ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ সুকানীর সন্ধানে বৃহস্পতিবার পুনরায় ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের যৌথ উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন
Array