খুঁজুন
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৫ কার্তিক, ১৪৩২

নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে কারা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩১ এএম
নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে কারা

Faridpur Pratidin

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।

এদিকে, নতুন দলের নেতৃত্বে কে বা কারা আসছেন এ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিদের।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে যে কয়জন তরুণ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তারাই থাকছেন নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের অগ্রভাগে-এমনটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

জানা গেছে, নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ছয়টি পদে কারা আসছেন, তা অনেকটাই চূড়ান্ত। দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে ‘সমঝোতার’ ভিত্তিতে নতুন দুটি পদও সৃষ্টি করা হচ্ছে। আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠকের পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিবের নতুন দুটি পদ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই দলের আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলামের মনোনয়ন নিয়ে শুরু থেকেই জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কারও কোনো আপত্তি ছিল না। সদস্যসচিব হিসেবে কে আসবেন, মূলত তা নিয়ে মতবিরোধ ছিল। শোনা যাচ্ছে, সমঝোতার ভিত্তিতে এই পদে আখতার হোসেনের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত। তিনি এখন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব। নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে যেকোনো সময় অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করতে পারেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। দলের মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে দেখা যেতে পারে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আলী আহসান জোনায়েদের (শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি) নাম বিবেচনায় রয়েছে। আর দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে আসতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। নতুন দলে যুক্ত হতে যাওয়া জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।

শীর্ষ ছয়টি পদের বাইরে নতুন দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা ও আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক রায়, মাহবুব আলম ও অলিক মৃ। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে।

নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল এক নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, নাগরিক কমিটি সবাইকে নিয়েই পথ চলতে চায়। সেই জায়গা থেকে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদগুলো নিয়ে এক ধরনের বোঝাপড়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আলী আহসান জোনায়েদের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নতুন দলের পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন একটি ছাত্রসংগঠনেরও আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। নতুন এই সংগঠনকে কেউ কেউ জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হিসেবে দেখছেন।

নতুন এই ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুটি পদে আসতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুই সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার ও জাহিদ আহসান। আর সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে আসতে পারেন সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের ও সানজানা আফিফা অদিতি।

নতুন এই সংগঠন সম্পর্কে ধারণা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা অন্তত সাতজন সমন্বয়ক। তারা জানান, এই ছাত্রসংগঠনের নীতি হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ ও ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’। ছাত্র-নাগরিকের স্বার্থ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে তারা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে এই ছাত্রসংগঠনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় দুজন নেতা গণমাধ্যমকে জানান, নতুন ছাত্রসংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব পদে জাহিদ আহসানের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত। এর পরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী ও রিফাত রশীদ। এই চারজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। তাদের মধ্যে জাহিদ আহসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলের সম্পাদক। আর রিফাত রশীদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

নগরকান্দায় জাকের পার্টির জনসভা ও র‍্যালী

নগরকান্দা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
নগরকান্দায় জাকের পার্টির জনসভা ও র‍্যালী

দেশব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বানে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাকের পার্টি দলকে সু-সংগঠিত করার লক্ষ্যে এক জনসভা ও র‍্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১ টার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমার মোড়ের আমিন উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জাকের পার্টির এ জনসভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

ডা. মো. ফজলুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন- জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল, বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল, জাকের পার্টির জাতীয় স্থায়ী কমেটির সদস্য ফারাহ্ আমীর ফয়সল, ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগ ২ এর সভাপতি ডা. মো. ফজলুল হক, সালথা উপজেলার জাকের পার্টির সভাপতি সরোয়ার হোসেন (বাচ্চু) সহ জাকের পার্টি সকল সহযোগী সংগঠনের
নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দাওয়াতি মেহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

জাকের পার্টির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এ সময় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ালে বক্তব্য রাখেন।

জাকের পার্টির চেয়ারম্যান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দেশকে ঢেলে সাজাতে হবে। আর বাংলাদেশকে যদি সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে হয় তাহলে প্রতিটি মানুষকে আগে সোনার মানুষে রূপান্তর করতে হবে। কেননা সৎ, জ্ঞানীগুনী মানুষ ছাড়া এদেশের মঙ্গল কামনা সম্ভব না কখনো।জাকের পার্টি বিগত ৩৬ বছর ধরে বিশ্বওলি আদর্শে আদর্শিত হয়ে, সেই পথের পথিক হয়ে জাকের পার্টির প্রতিটি সদস্য আজ সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠেছে। জাকের পার্টির নেতাকর্মীগণ ক্ষমতার লোভ নেই , চাঁদাবাজি করে না, টেন্ডারবাজি করে না, লুট হত্যার সাথে জড়িত নেই।

তিনি বলেন, ক্ষমতা আমাদের কাছে বড় না,দেশ আমাদের কাছে বড়। এজন্য আমাদের ষড়যন্ত্রের পথে যেতে হয় না। জাকের পার্টি একটি আদর্শের নাম, জাকের পার্টি ঐক্যর নাম, জাকের পার্টি জেহাদের নাম, জাকের পার্টি সংগ্রামের নাম।

জাকের পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এ সময় জাতির উদ্দেশ্য বলেন, জাকের পার্টি প্রতিটি নেতা কর্মী মজলুম,অসহায়, খেটে খাওয়া, গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, কাজ করে যাবে। এদেশের তরুণ প্রজন্মের মেরুদণ্ড কে খুব সু-পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে,এই ধ্বংসের হাত থেকে জাকের পার্টি মাধ্যমে রক্ষা করতে হবে। কোটি-কোটি মানুষ আজ বুঝতে পেরেছে জাকের পার্টি উদ্দেশ্যে ও লক্ষ্যের সম্পর্কে। বাংলাদেশে গত ৫৪ বছরে নির্বাচন নামে যে ছলনা, প্রহসন, কেন্দ্র দখল, ক্ষমতা ও পেশিশক্তি প্রয়োগ করা, কালো টাকার ছড়াছড়ি যে রাজনৈতিক ধারা চালু রয়েছে তা যদি সংস্কার করা না হয় তাহলে ২৫ শে আগস্ট এর আগে এবং পরে একই চিত্র অর্থাৎ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। নির্বাচন হবে উৎসবমুখর। জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে কোনো প্রকার ভয়ভীতি ছাড়া ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবে।

তিনি বলেন, যদি নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি, কেন্দ্র দখল, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রবেশ নষ্ট করা হয় তাহলে জাকের পার্টি ৩০০ আসন থেকে এককভাবে নির্বাচন প্রত্যাহার করবে।

জনসভা শেষে তালমার মোড়ে জাকের পার্টি মূল দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ শান্তিপূর্ণ র‍্যালীতে অংশগ্রহণ করেন।

র‍্যালি শেষ করে উপস্থিত সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।

ফরিদপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও টায়ারে আগুন

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
ফরিদপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও টায়ারে আগুন

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেছে পদবঞ্চিত একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ফরিদপুরের মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী ওয়াবদা মোড়ে দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ করার কারণে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

অবরোধকারীদের অভিযোগ, ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন ও আওয়ামী লীগের পদ-পদবিতে থাকা নেতাকর্মীদের নবগঠিত কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে কমিটি বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সকল ধরনের সড়ক অবরোধ করা হবে।

এ সময় পৌর সদরের ব্যস্ততম এলাকা ওয়াবদা মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে দুইঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এতে দুই কিলোমিটার এলাকা সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌরসভা, আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌরসভা এবং মধুখালী উপজেলা ও পৌরসভার ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা ও সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন। তবে বুধবার মধুখালী উপজেলা কমিটিতে থাকা দুইজন পদত্যাগ করেছেন।

কমিটিতে বিগত ১৭ বছর হামলা মামলা, জেল-জুলুম সহ্য করা ত্যাগী ও ছাত্রদল, যুবদল থেকে উঠে আসা নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রকারান্তরে কমিটিতে স্থান পেয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পদ পদবিতে থাকা একাধিক ব্যাক্তি, এমনটাই দাবী করেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটির তীব্র সমালোচনা করেন। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে যারা বিএনপির দুর্দিনে পাশে থেকে দলকে ধরে রেখেছেন, সেই ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষা করে নতুন কমিটিতে চিহ্নিত আওয়ামী লীগ সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, টাকার বিনিময়ে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত ব্যক্তিদের পদ দিয়েছেন। অর্থের বিনিময়ে বিএনপিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বক্তারা এ সময় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা নাসিরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বাতিল এবং নতুন করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান।

এ সময় বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন মিলু মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবু, বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মিনহাজুর রহমান লিপন, সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি ও সাবেক শেখর ইউপি চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ, উপজেলা বিএনপির বর্তমান সহসভাপতি ডা. আব্দুস সবুর, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কালা মিয়া, বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস এনায়েত হোসেন মেম্বার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ আজিজুল হক, সাবেক কাউন্সিলর শেখ আতিকুল আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন চৌধুরী, গত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ উপজেলা জাসাসের সাবেক আহ্বায়ক মো. শাহিন আনোয়ার, রুপাপাত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আবুল কালাম, চতুল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একলিম শরীফ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হোসেন সালেহ্ রুবেল, ছাত্রদল নেতা জাকারিয়া মোল্যা সুমন ও সাদমান পাপ্পু প্রমুখ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবরোধকারীদের আন্দোলনে যখন সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দুই কিলোমিটার যানজট হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী ও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল আমিন দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে ইউএনওর অনুরোধে অবরোধকারীরা দুইটার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সর্বশেষে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ বলেন, আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে কমিটি বাতিল না করলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে সকল ধরনের রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর -১ আসনে (বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা) এ দলটির অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরে দুইটি গ্রুপ পৃথকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এর একটি গ্রুপের নেতৃত্বে দেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম।

অপর গ্রুপের নেতৃত্ব রয়েছেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু। দু’জনই আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। সম্প্রতি নবগঠিত কমিটিতে শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা।

‎ফরিদপুরে নারীকে ধর্ষণ‌ ও হত্যার দায়ে ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

সুমন ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:১২ পিএম
‎ফরিদপুরে নারীকে ধর্ষণ‌ ও হত্যার দায়ে ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর দড়িকৃষ্ণপুর এলাকার এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৪ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে দেড় লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক(জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় প্রদান করেন।


এ সময় আসামীদের মধ্যে একজন বাদে সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে পুলিশ পাহারায় জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

‎আসামিরা হলেন, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর বেপারী (৩৭), কামরুল মৃধা (৩৭), আলী বেপারী (৪২), ও বক্কার ব্যাপারী (৬৭)। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর বেপারী পলাতক রয়েছেন।

‎এছাড়া এই মামলার আলামত নষ্ট করার দায়ে মমতাজ বেগম এবং আবুল কালাম বেপারী নামে দুই জনের পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন।

‎মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১২ সালের ১ অক্টোবর ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার হাট কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চর দড়িকৃষ্ণপুরে মেয়েটির বড় বোনের স্বামী জাহাঙ্গীর বেপারী রাত ১ টার দিকে কয়েকজনকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান। এরপর বোনের অসুস্থতার কথা বলে তাকে দরজা খুলতে বলে। ‌‌ মেয়েটি সহজ সরল মনে দরজা খুললে আসামি মেয়েটিকে তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন মিলে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে।

‎এরপর আসামী প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে মেয়েটিকে কবর দিয়ে দেয়। মেয়েটির মায়ের এ বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হলে তিনি ফরিদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নং আমলী আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মামলা দায়ের করে।

‎রায়ের বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন জানান, সদরপুরে এক নারীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে ফরিদপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক ৪ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেন এবং একই সাথে দেড় লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দণ্ডিত করা হয়। যা জেলা কালেক্টর আসামির কাছ থেকে সংগ্রহ করে ভিকটিমকে প্রদান করবেন।

তিনি বলেন, আদালতে আমরা সর্বোচ্চ বিচার পেয়েছি, এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ খুশি হয়েছি বলে তিনি জানান।