খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮ আশ্বিন, ১৪৩২

ফরিদপুরের হঠাৎ দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন, আতঙ্কে মানুষ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৪:২৮ পিএম
ফরিদপুরের হঠাৎ দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন, আতঙ্কে মানুষ
হঠাৎ করে তিন সপ্তাহ যাবত পদ্মা নদীর ভাঙনের দুশ্চিন্তায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের নদীর পাড়ের মানুষ। ফরিদপুর সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীরপাড় সংলগ্ন বেশ কয়েকটি রাস্তা ইতোমধ্যেই ভেঙে গিয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় আবার নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। পদ্মার ভাঙনে অনেকেই বসতভিটা হারাতে বসেছেন। কেউ কেউ তাদের পৈত্রিক বাপ-দাদার ভিটে থেকে ঘর সরিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন। তবে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রতিবছরই জুন ও জুলাই মাসে নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন দেখা যায়। গত কয়েক সপ্তাহে ভাঙনের শিকার হয়েছে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার শয়তান খালি ঘাট, খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী, গোপালপুর ঘাট সহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
সোমবার (১৭ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীভাঙন ঝুঁকিতে আছে সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের মুন্সীরচর, পিয়াজখালির চর, আকোট, আকোটেরচর, ছলেনামা ও খোকারাম সরকারের ডাঙ্গীতে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর। এই ঘরগুলো কয়েকগজ দূরেই পদ্মা, এ ছাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, নুরুদ্দিন সরদারকান্দি, কাচিকাটা গ্রাম, নন্দলালপুর, ফকির কান্দি, তালপট্টির চর, কাড়ালকান্দি, জঙ্গিকান্দি, জামাল শিকদার কান্দি এবং চরমানাইর ইউনিয়ন ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী ঘাট, কাজীরসুরা, দূর্বারটেক, মফিজদ্দিনের কান্দি, হাফেজ কান্দি, রাড় চরগজারিয়া ও গিয়াস উদ্দীন মুন্সীর কান্দি গ্রাম ভাঙছে। এতে কমপক্ষে ৬০টির বেশি ঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হয়েছে। অনেকে খোলা জায়গায় বসবাস করছে। অনেকে নদীর পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। অনেকে বাড়িঘর ভেঙে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বাড়ির চাল খুলে অন্য জায়গায় রাখলেও খুঁটি ও বেড়া লাগিয়ে রাখছে, যদি ভাঙন থামে সেই আশায়।
অন্যদিকে, চরভদ্রাসন উপজেলার উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রাম, সদর ইউনিয়নের টিলারচর ও এমপি ডাঙ্গী গ্রাম, চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চরকালকিনিপুর, চরমির্জাপুর, চরতাহেরপুর, চরকল্যাণপুর, দিয়ারা গোপালপুর গ্রামে ভাঙন অব্যাহত আছে।
নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন কাচিকাটা গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব শেখ বলেন, নদীর পাশেই আমার ঘর ছিল। হঠাৎ দেখি ফাটল, রাতে নদীর ভাঙন বেশি হয়, ঘর ডুবে যাওয়ার ভয়ে আমি সরিয়ে নিয়েছি। যদি না সরাতাম এখন আমার বাড়ি নদীতে।
আকোটের চর ইউনিয়ন খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের গুছগ্রামের বাসিন্দা নুর ইসলাম জানান, এখান থেকে প্রতি বছর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। বালু উত্তোলন যারা করেন তারা প্রভাবশালী, তাই কোনো ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে পারত না, প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দিত। এখন নদী ভাঙ্গনে তার খেসারত দিচ্ছে এলাকাবাসী।
ঢেউখালি ইউনিয়নের শয়তান খালি ঘাট এলাকার বাসিন্দা কাজী নজরুল জানান, পদ্মা নদীতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি যতদ্রুত সম্ভবত ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। তা না হলে ফসলি জমির সঙ্গে বেশকিছু ঘরবাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
আকোটের চর ইউনিয়নের কলাবাগান এলাকার কৃষক ইসমাইল মুন্সি বলেন, প্রতি বছর নদীর পাড় কেটে নিচ্ছে কিছু ভূমিখেকো। তাই নদীভাঙনে অনেক ঘরবাড়ি ভাঙার আশংকা রয়েছে। এখনো নদীর পাড় কেটে মাটি নেওয়া হচ্ছে। মাটিগুলো বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
রিনা বেগম নামে এক নারী বলেন, কে করে দেবে আমাদের ঘরবাড়ি? সরকার একটি ঘর দিয়েছে আমি সেখানে থাকি। নদী যেভাবে ভাংছে হয়তো আর বেশিদিন থাকতে পারব না। ঘর ভেঙে নিয়ে যাবে নদীতে। কীভাবে থাকব, কীভাবে চলব, কে আমাদের খাওয়াবে বলতে পারছি না।
চর ঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা বলেন, গত দুই সপ্তাহে পদ্মা নদীর ভাঙনে আমার ইউনিয়নের ৪টি পরিবারের ঘর-বাড়ি বিলিন হয়ে গিয়েছে। ৩ হাজার বিঘা বাদামের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেছি, এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
আকোটের চর ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন, শুধু এবছর নয়, প্রতি বছরই নদীভাঙন হচ্ছে। এখন চরাঞ্চলের মানুষের নদী ভাঙন নিত্য দিনের নিত্য দিনের সঙ্গী। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
আশা করছি দ্রুত তারা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, গত বিশ দিনে যে স্থান গুলোতে ভাঙন হয়েছে সেখানে নদীর গভীরতা অনেক বেশি, তাই সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে আমাদের একটি টিম ভাঙন রোধে কাজ করছে, তারা একটি রিপোর্ট তৈরি করে আমাদের নিকট সাবমিট করবেন। এরপর ভাঙন রোধে টেকসই স্থায়ী প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠাবো।

কারাগারের তিক্ত অভিজ্ঞতা শোনালেন অভিনেত্রী রিয়া

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
কারাগারের তিক্ত অভিজ্ঞতা শোনালেন অভিনেত্রী রিয়া

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর আলোচনায় আসেন রিয়া চক্রবর্তী। প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন এই অভিনেত্রী।

অভিনেতার মৃত্যুতেও দায়ী করা হয়েছিল তাকে।

 

ওই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন রিয়া। এবার কারাগারের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা শোনালেন তিনি।

রিয়া জানান, ওখানে থেকে খাবারের মূল্য বুঝেছি। দোকানের পিৎজার চেয়ে ডাল-ভাতকে মূল্য দিতে শিখেছি।

কারাগারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে রিয়া বলেন, কারাগারে অনেক কিছুই থাকে না। অনেক কিছু মনে পড়ে সেই দিনগুলোর। আমরা আফসোস করি আমাদের কিছু নেই ভেবে। সংশোধনাগারে থেকে উপলব্ধি করেছিলাম, কিছু না থাকার আসল অর্থ কী? বাবা-মাকে আমরা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু সংশোধনাগারে তাদের কথাই মনে পড়ত। জীবনদর্শন পুরো বদলে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, মানুষ কী বলছে, তা নিয়ে আর গায়ে মাখতাম না। সেই সময়ে আমার বয়স মাত্র ২৭। ওখানে থেকে খাবারের মূল্য বুঝেছি। দোকানের পিৎজার চেয়ে ডাল-ভাতকে মূল্য দিতে শিখেছি। এখনও মনের ভিতর শোক রয়ে গেছে। বিষয়টা ব্যক্তিগত রাখতে চাই। তবে আমি খুশিও আছি। তবে এই ধরনের খুশির উৎপত্তি হয় গভীর মানসিক আঘাত থেকে।

প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর পর মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় রিয়াকে। অভিনেতাকে মাদক সরবরাহের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ওই মামলায় সংশোধনাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে।

উসমান দেম্বেলে: প্যারিসের নতুন ব্যালন ডি’অর কিং

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৫২ এএম
উসমান দেম্বেলে: প্যারিসের নতুন ব্যালন ডি’অর কিং

অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। জানা গেল এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম।

রোনালদিনহো মঞ্চে উঠে ঘোষণা করলেন পুরুষদের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম। এবারের এই সম্মান উঠেছে উসমান দেম্বেলের হাতে।  

 

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবারের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার বিজয়ীদের সম্মানিত করা হয়।

দেম্বেলের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লামিন ইয়ামাল। তবে অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে “উসমান! উসমান!” ধ্বনির জোয়ার বইছিল। শেষ পর্যন্ত তার হাতেই ওঠে এই পুরস্কার।

ফ্রান্স ও পিএসজির উইঙ্গার দেম্বেলে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রথমবার জিতলেন। পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মতো অসাধারণ সাফল্য তাকে এই সম্মানের যোগ্য দাবিদার করে তুলেছে। এই জয় শুধু দেম্বেলের নয়, প্যারিসের জন্যও উৎসবের মুহূর্ত হয়ে দাঁড়াল।

ফখরের আউট নিয়ে এবার আইসিসির দ্বারস্থ পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
ফখরের আউট নিয়ে এবার আইসিসির দ্বারস্থ পাকিস্তান

এশিয়া কাপ সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ফখর জামানের আউটকে ঘিরে নতুন করে অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে আইসিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’ এমনটাই জানিয়েছে।

 

রোববার দুবাইয়ে ম্যাচের শুরুতেই ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় ফখর জামানকে। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে এজ হয়ে বল যায় উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনের হাতে। মাঠের আম্পায়ার গাজী সোহেল এবং রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে নিশ্চিত না হয়ে সিদ্ধান্ত পাঠান টিভি আম্পায়ারের কাছে। রিপ্লে দেখে পল্লিয়াগুরুগে ক্যাচকে বৈধ ঘোষণা করেন।

তবে এক কোণ থেকে পাওয়া রিপ্লেতে বল মাটিতে লেগে গ্লাভসে উঠেছে বলে সন্দেহ হয়। ১৫ রানে আউট হওয়ার পর ফখর ক্ষোভ প্রকাশ করে কিছুক্ষণ ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং মাথা নাড়িয়ে মাঠ ছাড়েন।

পাকিস্তান দলের ম্যানেজার নাভিদ চিমা অভিযোগ নিয়ে যান ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে। তবে পাইক্রফট জানান, এটি তার এখতিয়ারভুক্ত নয়। পরে চিমা আইসিসিকে ই-মেইল পাঠিয়ে অভিযোগ জানান। পাকিস্তানের দাবি, যথেষ্ট ‘স্পষ্ট ও নিশ্চিত প্রমাণ’ ছাড়াই ফখরকে আউট দেওয়া হয়েছে এবং সব ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলও পর্যালোচনা করা হয়নি।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সালমান আলি আগা বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিশ্চিত নই। আম্পায়ারদের কাজ সিদ্ধান্ত দেওয়া, তারা ভুল করতেই পারে। তবে আমার মনে হয়েছে বল মাটিতে লেগে তারপর কিপারের হাতে গেছে। ফখর যদি পাওয়ার প্লে–তে খেলতে পারত, আমরা হয়তো ১৯০ রান তুলতে পারতাম। ’