খুঁজুন
রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৮ আষাঢ়, ১৪৩২

ফরিদপুরের হঠাৎ দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন, আতঙ্কে মানুষ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৪:২৮ পিএম
ফরিদপুরের হঠাৎ দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন, আতঙ্কে মানুষ
হঠাৎ করে তিন সপ্তাহ যাবত পদ্মা নদীর ভাঙনের দুশ্চিন্তায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের নদীর পাড়ের মানুষ। ফরিদপুর সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীরপাড় সংলগ্ন বেশ কয়েকটি রাস্তা ইতোমধ্যেই ভেঙে গিয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় আবার নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। পদ্মার ভাঙনে অনেকেই বসতভিটা হারাতে বসেছেন। কেউ কেউ তাদের পৈত্রিক বাপ-দাদার ভিটে থেকে ঘর সরিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন। তবে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রতিবছরই জুন ও জুলাই মাসে নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন দেখা যায়। গত কয়েক সপ্তাহে ভাঙনের শিকার হয়েছে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার শয়তান খালি ঘাট, খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী, গোপালপুর ঘাট সহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
সোমবার (১৭ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীভাঙন ঝুঁকিতে আছে সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের মুন্সীরচর, পিয়াজখালির চর, আকোট, আকোটেরচর, ছলেনামা ও খোকারাম সরকারের ডাঙ্গীতে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর। এই ঘরগুলো কয়েকগজ দূরেই পদ্মা, এ ছাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, নুরুদ্দিন সরদারকান্দি, কাচিকাটা গ্রাম, নন্দলালপুর, ফকির কান্দি, তালপট্টির চর, কাড়ালকান্দি, জঙ্গিকান্দি, জামাল শিকদার কান্দি এবং চরমানাইর ইউনিয়ন ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী ঘাট, কাজীরসুরা, দূর্বারটেক, মফিজদ্দিনের কান্দি, হাফেজ কান্দি, রাড় চরগজারিয়া ও গিয়াস উদ্দীন মুন্সীর কান্দি গ্রাম ভাঙছে। এতে কমপক্ষে ৬০টির বেশি ঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হয়েছে। অনেকে খোলা জায়গায় বসবাস করছে। অনেকে নদীর পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। অনেকে বাড়িঘর ভেঙে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বাড়ির চাল খুলে অন্য জায়গায় রাখলেও খুঁটি ও বেড়া লাগিয়ে রাখছে, যদি ভাঙন থামে সেই আশায়।
অন্যদিকে, চরভদ্রাসন উপজেলার উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রাম, সদর ইউনিয়নের টিলারচর ও এমপি ডাঙ্গী গ্রাম, চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চরকালকিনিপুর, চরমির্জাপুর, চরতাহেরপুর, চরকল্যাণপুর, দিয়ারা গোপালপুর গ্রামে ভাঙন অব্যাহত আছে।
নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন কাচিকাটা গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব শেখ বলেন, নদীর পাশেই আমার ঘর ছিল। হঠাৎ দেখি ফাটল, রাতে নদীর ভাঙন বেশি হয়, ঘর ডুবে যাওয়ার ভয়ে আমি সরিয়ে নিয়েছি। যদি না সরাতাম এখন আমার বাড়ি নদীতে।
আকোটের চর ইউনিয়ন খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের গুছগ্রামের বাসিন্দা নুর ইসলাম জানান, এখান থেকে প্রতি বছর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। বালু উত্তোলন যারা করেন তারা প্রভাবশালী, তাই কোনো ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে পারত না, প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দিত। এখন নদী ভাঙ্গনে তার খেসারত দিচ্ছে এলাকাবাসী।
ঢেউখালি ইউনিয়নের শয়তান খালি ঘাট এলাকার বাসিন্দা কাজী নজরুল জানান, পদ্মা নদীতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি যতদ্রুত সম্ভবত ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। তা না হলে ফসলি জমির সঙ্গে বেশকিছু ঘরবাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
আকোটের চর ইউনিয়নের কলাবাগান এলাকার কৃষক ইসমাইল মুন্সি বলেন, প্রতি বছর নদীর পাড় কেটে নিচ্ছে কিছু ভূমিখেকো। তাই নদীভাঙনে অনেক ঘরবাড়ি ভাঙার আশংকা রয়েছে। এখনো নদীর পাড় কেটে মাটি নেওয়া হচ্ছে। মাটিগুলো বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
রিনা বেগম নামে এক নারী বলেন, কে করে দেবে আমাদের ঘরবাড়ি? সরকার একটি ঘর দিয়েছে আমি সেখানে থাকি। নদী যেভাবে ভাংছে হয়তো আর বেশিদিন থাকতে পারব না। ঘর ভেঙে নিয়ে যাবে নদীতে। কীভাবে থাকব, কীভাবে চলব, কে আমাদের খাওয়াবে বলতে পারছি না।
চর ঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা বলেন, গত দুই সপ্তাহে পদ্মা নদীর ভাঙনে আমার ইউনিয়নের ৪টি পরিবারের ঘর-বাড়ি বিলিন হয়ে গিয়েছে। ৩ হাজার বিঘা বাদামের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেছি, এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
আকোটের চর ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন, শুধু এবছর নয়, প্রতি বছরই নদীভাঙন হচ্ছে। এখন চরাঞ্চলের মানুষের নদী ভাঙন নিত্য দিনের নিত্য দিনের সঙ্গী। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
আশা করছি দ্রুত তারা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, গত বিশ দিনে যে স্থান গুলোতে ভাঙন হয়েছে সেখানে নদীর গভীরতা অনেক বেশি, তাই সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে আমাদের একটি টিম ভাঙন রোধে কাজ করছে, তারা একটি রিপোর্ট তৈরি করে আমাদের নিকট সাবমিট করবেন। এরপর ভাঙন রোধে টেকসই স্থায়ী প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠাবো।

সদরপুরে ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

ফরিদপুর অফিস:
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৬:১৭ পিএম
সদরপুরে ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজিৎ ভক্তর বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি, অসদাচরণ ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ঘুষ না দিলে নামজারি আবেদন বাতিলে করা সহ হয়রানির অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়েও সঠিক সময়ে কাজ না করে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে একাধিক ভুক্তভোগীর।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জাকেরের ডাঙ্গী গ্রামের আজগর চোকদার।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সে জরিপের ডাঙ্গী মৌজার ১৯৭৫ নং খতিয়ানের তার জমির কর অনলাইনে দাখিল করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। এরপর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সুজিৎ ভক্ত উক্ত খতিয়ানের কর বাবদ তার নিকট ১৮ হাজার টাকা দাবি করেন। সে এতটাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইউপি ভূমি কর্মকর্তা সুজিৎ কমিয়ে রাখার আশ্বাস দিয়ে ১২ হাজার টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে সে আবারও অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে সে তার ভাতিজাকে সাথে গিয়ে যাওয়ার পর ১০ হাজার টাকার একটি রশিদ হাতে দেন সুজিৎ।

এরপর সে রশিদে দেখতে পায় ৩৩৮৯ টাকা অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছে বলে রশিদে উল্লেখ আছে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত যে টাকা নিয়েছে সেই টাকা ফেরত চাওয়ার জন্য ভাতিজাকে সাথে ইউপি ভূমি অফিসে গেলে তহশিলদার সুজিৎ ভক্ত তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ও কর পরিশোধের রশিদ বাতিলের হুমকি দেন। এসব কারণে তিনি প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন।
আজগর চোকদার বলেন, এই কর্মকর্তার কাছে সেবার জন্য গেলে সবাইকে হয়রানি করেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, সরকার যে কয় টাকা বেতন দেয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। টাকা না দিলে আমি কোনো কাজ করবো না। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী এবং যারা তার কাছে গিয়ে হয়রানির শিকার হন, সবার দাবি তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজিৎ ভক্ত বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করছে। সেবা নিতে আসা আজগর চোকদার যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। তিনি নিজে অনলাইনে আবেদন করে নিজেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ করেছেন। এরপর ওনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আমি ঢাকায় ট্রেনিয়ে আছি, বিস্তারিত অফিসে গিয়ে কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।

মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ঢাকা শহরে মিলছে নিজের ফ্ল্যাট ও দোকান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৫:৩৮ পিএম
মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ঢাকা শহরে মিলছে নিজের ফ্ল্যাট ও দোকান

ভিলেজ ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড ২০১৮ সাল থেকে ঢাকার শিক্ষানগরী নামে পরিচিত পশ্চিম উত্তরা বিরুলিয়া ঢাকা নামক স্থানে ”কম খরচে শেয়ারে নিজের বাড়ি নিজে করি” এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দেবার জন্য ৪০% কম খরচে ফ্ল্যাট ও দোকান তৈরী করার কাজ শুরু করে।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মিনু এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলাল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৬ ষ্ঠ প্রজেক্টের সফল সমাপ্তির পরে প্রস্তাবিত ১২০ ফিট মেইন রোডের সাথে তিন দিকের রাস্তা সম্বলিত ২৮ কাঠা জমির উপরে ৭ম প্রজেক্ট ভিলেজ প্লাজা ১১ তলা বিশিষ্ট কমার্শিয়াল কাম রেসিডেন্সিয়াল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

বেসমেন্টে থাকছে গাড়ি পার্কিং সুবিধা, ১ম থেকে ৩য় তলা পর্যন্ত ১২৮টি দোকান নিয়ে শপিংমল এবং ৪র্থ থেকে ১১ তম তলা পর্যন্ত ১২৮ টি ফ্ল্যাট থাকছে। যেখানে প্রতিটি পরিবারের জন্য থাকছে ৩ রুম বিশিষ্ট ৯৮০ স্কয়ার ফিট এর একটি ফ্ল্যাট এর সাথে ২৪৪ স্কয়ারফিটের একটি দোকান। এছাড়া ৫ রুম বিশিষ্ট ১৯৬০ স্কয়ারফিট এর একটি ফ্ল্যাট এর সাথে ২৪৪ স্কয়ারফিটের দুইটি দোকান। মাত্র ২০০০ টাকা স্কয়ারফিট খরচে তৈরী হবে আপনার স্বপ্নের ফ্ল্যাট ও দোকান।

১২৮ টি শেয়ার এর মধ্যে ৬৮ টি শেয়ার বিক্রয় সম্পাদিত করে সাবকাবলা দলিলের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের জমির অংশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। উক্ত প্রজেক্টে অগ্রীম কোন টাকা গ্রহণ করা হয় না, জমির দলিল বুঝে পাবার পরে টাকা গ্রহণ করা হয়। প্রজেক্ট এর পাশে রয়েছে ৭ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে- ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি, ফয়েজউল্লাহ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ।

ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর সাত বছরের কারাদণ্ড 

ফরিদপুর প্রতিদিন ডেস্ক:
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৫:২৫ পিএম
ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর সাত বছরের কারাদণ্ড 
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড  এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার (২২ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আইয়ুব আলী (৫২) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামের মো. ইদ্রিস শেখের পুত্র। রায় ঘোষণার সময় আইয়ুব আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারী ফজরন বেগমের (৩০) বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পোয়াইল গ্রামে। বোন হত্যার দায়ে তার ভাই আইয়ুব শেখ ২০১৩ সালের ০৯ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন বোয়ালমারী থানায়। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, গত ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে আমার বোনকে স্বামীর বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামে স্বামীর পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য মারধর করে হত্যা করে। ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারে কোন লোকজনকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন। তিনি বলেন, এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে যৌতুক লোভী মানুষের জন্য, যারা যৌতুক না পেয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে।