খুঁজুন
শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ১০ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুরে কোরবানীর মাংস নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ভ্যানচালক নিহত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৭:০৫ পিএম
ফরিদপুরে কোরবানীর মাংস নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ভ্যানচালক নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গ্রাম্যদলে মিশে কোরবানীর মাংস নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় হুমায়ূন কবীর (৪৮) নামে এক ভ্যানচালক নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (০৯ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ূন কবীর মারা যায়। এর আগে গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বানিয়ারী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে
নিহত হুমায়ুন কবির বানিয়াড়ী গ্রামের মৃত মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের বাবা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার বিকেলে নিহতের বাড়ি থেকে ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হামলায় বানিয়ারী গ্রামের ভ্যানচালক হুমায়ূন কবীর মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিবার বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়। রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে হুমায়ূন কবীর মারা যান।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বানিয়ারী গ্রামের গ্রাম্যদলাদলি নিয়ে দুইটি বিবাদমান পক্ষ রয়েছে। একটিপক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জামাল হোসেন ও উপজেলা পল্লি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নবীর হোসেন চুন্নু এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন ময়না ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মাস্টার।
হামলায় নিহত হওয়া হুমায়ূন কবীর নবীর হোসেন চুন্নুর সমর্থক ছিলেন। গত শনিবার ঈদুল আজহার দিন হুমায়ূন কবীর লিয়াকতের দলে থাকা ভাই-ভাতিজাদের নবীর হোসেন চুন্নুর দলে নিয়ে সেখান থেকে সামাজিক ভাবে বিলি করা কোরবানীর মাংস গ্রহণ করেন। এ নিয়ে ঈদের দিন থেকে ওই গ্রামে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, কোরবানীর মাংসের ভাগ নেওয়ার জেরে গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বানিয়ারী গ্রামের ছাকেনের চায়ের দোকানের সামনে কৃষক দল নেতা লিয়াকত হোসেন মাস্টারসহ তার সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর হোসেন চুন্নুর সমর্থক হুমায়ুন কবিরসহ তার পরিবারের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে লিয়াকতরা হুমায়ুন কবিরসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হুমায়ূন কবীরকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়। রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে হুমায়ূন কবীর মারা যান।
বাড়িতে ঢাকা থেকে নিহতের মরদেহ আসার পর থেকে একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছেন স্ত্রী শিউলি বেগম। তার সাথে তিন মেয়ে ও ছোট ছেলেটিও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এলাকাবাসী ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ।
এ ঘটনায় আরো আহত হন হুমায়ুন কবিরের বড় ভাই মোস্তফা মোল্লা (৫৮), তার মেয়ে বেনি বেগম (২৩) ও এক ভাগিনা। তারা বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য জামাল হোসেনের পক্ষের নবীর হোসেন বলেন,  হুমায়ূন কবীর আগে লিয়াকত হোসেনের দেওয়া কোরবানীর গোস্ত খেত। এবার আমাদের কাছ থেকে কোরবানীর গোস্ত নেওয়ায় লিয়াকতরা এ হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটায়। তিনি বলেন,  হুমায়ুনের মরদেহ বাড়িতে আনার পর ময়না তদন্তের জন্য সোমবার বিকেলে ফরিদপুর মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হবে।
তবে ঘটনার পর থেকে লিয়াকত হোসেন পলাতক থাকায় আজ সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ময়না ইউপির সাবেক চেয়াম্যান নাসির মো. সেলিম বলেন, গ্রাম্য দলপক্ষ নিয়ে কোরবানীর মাংস গ্রহন করায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচার দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুল হাসান বলেন, বানিয়াড়ী গ্রামে দুইটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষের সমর্থক হুমায়ূন কবীর ভাই-ভাতিজাদের নিয়ে অপরপক্ষের দলে মিশে কোরবানীর মাংস নেন। বিষয়টি নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ূন কবীর মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৩:০৫ পিএম
ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০
ফরিদপুরে দুটি বাসের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে ফরিদপুরের করিমপুরের আবুল হোসেন পেট্রল পাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, রয়েল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে লোকাল একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ১০-১২ জন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৯ পিএম
বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন

ফরিদপুরে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্টারগার্ডেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রাইভেট স্কুল সমন্বয় পরিষদ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ‌কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শতাধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্টারগার্ডেন স্কুলের কয়েকশ শিক্ষকরা ঘন্ট্যাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।

ফরিদপুর প্রাইভেট স্কুল সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম অহিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অপরেশ রায় অপুর সঞ্চালনায় কর্মসূচির শুরুতেই উত্তরা ‌মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের ‌রুহের মাগফেরাত কামনায় ‌দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি ‌মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান মোল্লা ‌প্রমূখ। ‌

‌বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও‌ কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলোর ‌শিক্ষার্থীদের ‌বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বৃত্তি পরীক্ষা চালু থাকবে অন্যদিকে ‌বেসরকারি বিদ্যালয় ‌‌ এবং কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা থেকে ‌বঞ্চিত হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। ‌

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিশুর ‌শিক্ষার অধিকার আছে, ‌বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার আছে। অথচ শুধুমাত্র ‌সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ থেকে বঞ্চিত রাখা হবে কেন? ‌

বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৫ পিএম
বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত মর্ডান ল্যাবরেটরীর কিডনির ওপরে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে বিপাকে ফেলেছে একটি শিশুর পরিবারকে। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন লোকজন বলছে খারাপ এবং নষ্ট মেশিন দিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে ল্যাবরেটরিটি পরিচালনা করা হচ্ছে। যার কারণে ভুয়া রিপোর্ট করে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের জাহিদুল বেগের আড়াই বছরের ছেলে জিহাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসে ৫ টাকার টিকিট কেটে হাসপাতালে কর্মরত ডা. মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনকে দেখান। তিনি দেখে প্রসাব ও কিডনি পরীক্ষা দেন। জাহিদুল বেগ তার বাচ্চাকে নিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করতে দেন। মর্ডান ল্যাবরেটরির লোকজন পরীক্ষার কাগজে লেখে তার কিডনি ড্যামেজ(নষ্ট) হয়ে গেছে। পরে ওই রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার দ্রুত ফরিদপুর নিয়ে যেতে বলেন। তারা ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে শিশুটিকে ডা. এসি পালকে দেখান। তিনি নতুন করে পরীক্ষা দেন। ওই পরীক্ষাগুলো ফরিদপুরে অবস্থিত ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতলে পরীক্ষা করেন। সেখানে সকল রিপোর্টগুলোই ভালো আসে। প্রসাবে সামান্য একটু সমস্যা পায়। যা ওষুধে ঠিক হয়ে যাবে বলে ডাক্তার জানান।

এ ব্যাপারে বুধবার (২৩ জুলাই) ওই শিশু জিহাদের দাদি জবেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বোয়ালমারী হাসপাতালের সামনে মর্ডান ল্যাবরেটরী থেকে পরীক্ষা করানোর পর তাদের রিপোর্টে লেখা হয়েছে শিশুটির কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। পরে সেই রিপোর্ট হাসপাতালে গিয়ে ডা. মফিজ উদ্দিনকে দেখালে তিনি রিপোর্ট অনুযায়ী বলেন বাচ্চার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে তাকে দ্রুত ফরিদপুরে নিয়ে যান। এ কথা শুনে পরিবারের সকলের কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে নতুন করে রিপোর্ট করানো হয়। সেখানে রিপোর্টে আসছে কিডনিতে কোন সমস্যা নেই প্রসাবে একটু সমস্যা আছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলানো ঠিক না।

জানতে চাইলে বোয়ালমারী মর্ডান ল্যাবরেটরির মালিক জিয়া বলেন, রিপোর্ট ভূয়া না। রিপোর্টে কমবেশি হতে পারে। আমি আলফাডাঙ্গায় আছি ফ্রি হয়ে পরে কল দিব বলে লাইনটি কেটে দেন।

বোয়ালমারী হাসপাতালের কর্মরত ডা. মফিজ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার মান যে বিষয়টা এটা আমরা সব সময় ভালো চাই তাহলে নির্ভুল চিকিৎসা দিতে সমস্যা হয় না। আর যদি রিপোর্ট ভালো না হয় ওই রিপোর্টের ওপরেই আমাদের ডিসিশন নিতে হয়। আমরা চাই নিয়ম মেনে সঠিক রিপোর্ট দিক সকলে। যেহেতু রোগীর ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব আসে সেই জন্য ফরিদপুর এসি পাল স্যারের কাছে পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদ বলেন, একই দিনে দুটি রিপোর্ট করা হয়েছে বোয়ালমারীর মর্ডান ল্যাবরেটরির রিপোর্টে আসছে ২.৩৫ আর ফরিদপুরের রিপোর্ট আসছে ০৩। একই তারিখে রিপোর্ট এত পার্থক্য হওয়া উচিত না। বোয়ালমারী ক্লিনিকদের দেখভাল করা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের দেখা উচিত।