খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে তথ্য গোপন করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলারশীপ, বরাদ্দ স্থগিত 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৩২ পিএম
ফরিদপুরে তথ্য গোপন করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলারশীপ, বরাদ্দ স্থগিত 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় তথ্য গোপন করে নীতিমালা পরিপন্থীভাবে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর এক ডিলারের বরাদ্দ স্থগিত করা হয়েছে।

স্থগিত হওয়া ওই ডিলারের নাম অনিক শেখ। তিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ইউনিটের কুচিয়াগ্রাম বাজারের বিক্রয়কেন্দ্রের ডিলার।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে লটারির মাধ্যমে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সভাপতি রাসেল ইকবাল। এতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ১২টি বিক্রয়কেন্দ্রের জন্য ২৩ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১১ জন ডিলার চূড়ান্ত করা হয়। এ সময় নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ‘আবেদনপত্র যাঁচাই-বাছাই ও সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে প্রার্থীদের যোগ্যতা বিবেচনা করে নীতিমালার আলোকে উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সুপারিশক্রমে’ এ নিযোগ দেওয়া হয়।

গোপালপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ইউনিটের কুচিয়াগ্রাম বাজারের বিক্রয়কেন্দ্রের জন্য আবেদনকারী ছিলেন দুইজন। এদেরই একজন মো. অনিক শেখ ও অপরজন মো. আরিফুজ্জামান।

এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার অনিক শেখের বিরুদ্ধে গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রাম এলাকার মৃত. নান্নু মিয়ার ছেলে মো. আরিফুজ্জামান (আবেদনকারী) জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে তদন্ত সাপেক্ষে অনিক শেখের ডিলারশীপ বাতিলের জন্য আবেদনটি করেন।

মো. আরিফুজ্জামান লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ডিলারশিপ পাওয়া অনিক শেখ ব্যবসায়ী নন। চাল রাখার জন্য যে ঘর তিনি দেখিয়েছেন সেটি ইউনিয়নের বাইরে পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত এবং আকারে ছোট যেখানে ১৫ মেট্রিক টন চাল রাখা সম্ভব না। তিনি দোকান ঘরের যে দলিল দাখিল করেছেন সেইটা তার বাবার নামের জমির সংক্রান্ত দলিল। সেখানে তিনি কোন চুক্তিপত্র কিংবা ওয়ারিশ সনদ দাখিল করেননি। এভাবে তিনি তথ্য গোপন করে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ না করে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দাখিল করেছেন। যা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর বিধি বর্হিভূত। এ কারণে তার ডিলারশীপটি বাতিলযোগ্য। পরবর্তীতে এ অভিযোগের তদন্তের ভার দেওয়া হয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে। গত ৬ অক্টোবর সরেজমিনে তদন্ত করেন মো. রফিকুল ইসলাম।

জানতে চাইলে ডিলারশীপ পাওয়া অভিযুক্ত অনিক শেখ জানান, তথ্য গোপনের বিষয়টি সঠিক নয়। গোপালপুর ইউনিয়নে আমার বড় ঘর রয়েছে। কিন্তু ভুলবশত পৌরসভার জায়গার দলিল জমা দেওয়া হয়েছে। এটা একটা ভুল। এ বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। এ ভুলটি মার্জনার দৃষ্টিতে দেখা হলে আমার ডিলারশীপ থাকবে। তিনি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী বলে দাবি করে বলেন, আমার একটি রাইচ মিলও আছে।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। গোপালপুর ইউনিয়নের মধ্যেও অনিক শেখের ঘর রয়েছে। তবে ডিলারশীপের যে ঘরটি তিনি দেখিয়েছেন সেটি পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত।’

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সদস্য সচিব ধনঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি দাবি করে বলেন, আবেদনকারীদের জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই কালে দুর্নীতির কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সভাপতি রাসেল ইকবাল বলেন, ‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ডিলারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।’

সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (২৬) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় জড়িত অভিযোগে জাফর মোল্যা (৪২) নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের দেওয়া এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জাফর মোল্যাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকার সাভারের পশ্চিম ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাফর মোল্যা ফরিদপুরের কোতয়ালী থানাধীন তেঁতুলিয়া এলাকার মৃত কাদের মোল্যার ছেলে।

এদিকে, গত ১৩ ডিসেম্বর এ হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ফিরোজ মাতুব্বর নামের অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব-১০।

র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জাফর মোল্যাকে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাছ ব্যবসায়ী উৎপল হত্যায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে তার নাম এসেছিল। জাফরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।’

প্রসঙ্গ, গত ৫ ডিসেম্বর ভোর রাতে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া গ্রামের কালীতলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী উৎপল সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তার কাছে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হত্যার একদিন পর উৎপলের বাবা অজয় কুমার সরকার বাদী হয়ে সালথা থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য
কচুলতায় এসেছে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনের বার্তা। দেড়শ বিঘা দিগন্তজুড়ে কচুর লতার সফল চাষ মৌলভীবাজার জেলায় সৃষ্টি করেছে নতুন সম্ভাবনা। তুলনামূলক কম খরচ, কম পরিশ্রম এবং বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুর লতা চাষে এক ধরনের কৃষি বিপ্লব দেখা যাচ্ছে এ জেলায়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা প্রচলিত অনেক ফসলের তুলনায় বেশি আয়ের আশায় কচুর লতি চাষে ঝুঁকছেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মৌলভীবাজার থেকে প্রতিদিনই লতি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা এবং কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর গ্রামে।

গিয়াসনগর এলাকায় দেখা গেছে, পুরো গ্রামজুড়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে লতি চাষ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কয়েক বছর আগেও দুই-তিন বিঘা জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে লতি চাষ হলেও বর্তমানে তা ব্যাপক বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। শুধু গিয়াসনগর এলাকাতেই মৌসুমে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে লতির চাষ হচ্ছে।

গিয়াসনগর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ২১ শতাংশ জমিতে লতিরাজ বারি কচু–১ রোপণ করেছেন। প্রায় এক মাস ধরে তিনি লতি তুলছেন। প্রতি সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ কেজি লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মৌসুম যত এগোচ্ছে, দামও বাড়ছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি এক কিয়ার জমিতে লতি চাষ করেছেন এবং আরও জমিতে চারা রোপণের পরিকল্পনা করছেন। কৃষক মিলন, কাজিম ও আফাই মিয়াসহ অনেকেই বড় পরিসরে লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলায় কচুর লতি চাষে সফল হয়েছেন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে তার উদ্যোগে লতি চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার দেখাদেখি স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা গ্রামের এংরাজ মিয়া, রোকন মিয়া, আব্দুল মজিদ ও ইউনুস মিয়া বাণিজ্যিকভাবে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরোজ কান্তি রায় বলেন, গিয়াসনগর গ্রামে লতি এখন একটি সমৃদ্ধ ফসলে পরিণত হয়েছে। চার-পাঁচ বছর আগে যেখানে দুই-তিন বিঘা জমিতে লতি চাষ হতো, এখন সেখানে মৌসুমে ১৫০ বিঘা জমিতে লতির আবাদ হচ্ছে। সারা বছর ৫০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে লতি চাষ হয়। লতি অত্যন্ত লাভজনক ফসল এবং এতে রোগবালাই তুলনামূলক কম। গ্রামটি যেন এখন ‘লতার গ্রাম’ হয়ে উঠছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, কচুর লতি এ অঞ্চলে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও লাভজনক ফসল। অল্প খরচে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। লতি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।

সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুরের সালথায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে খোরশেদ খান (৪৫) নামে এক কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী কৃষকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোরশেদ খান গট্টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ওই গ্রামের উচমান খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে যায় একদল পুলিশ। এ সময় ওই আসামীকে ধরতে বাধা দেন কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে খোরশেদ খান বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।