খুঁজুন
সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুরে দিনমজুরের বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে!

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
ফরিদপুরে দিনমজুরের বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে!
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জায়গা খালি করতে সামেলা বেগম (৪৫) নামে এক হতদরিদ্রের ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম সুভাষ সাহা। তিনি উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর বাজার সংলগ্ন বড়নগর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য।
এ বিষয়ে রবিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে হতদরিদ্র সামেলা বেগম বাদি হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সুভাষ সাহা (৬৮) ও তার ম্যানেজার গোবিন্দ্রের (৫৫) নাম উল্লেখ করে আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
ভুক্তভোগী সামেলা বেগম (৪৫) উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেলাহাটি গ্রামে রেলের জায়গায় বসবাস করেন এবং সাতৈর বাজারের একটি বেসরকারি ব্যাংকে রান্নার কাজ করেন বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সামেলা বেগম স্বামী সন্তান নিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর শেলাহাটি গ্রামের রেলওয়ের একটি জমিতে টিনের একটি ছাপড়া ঘর তুলে বসবাস করে আসছিলেন। পাশেই আওয়ামী লীগ নেতা সুভাষ সাহার জমি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি রয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হতদরিদ্র সামেলা বেগম যেখানে বসত করেন সেই জমিটি পাওয়ার জন্য সুভাষ সাহা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বেশ কিছুদিন ধরে সুভাষ সাহা ও তার লোকজন বিভিন্ন সময় বসতবাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে তার বসতঘরটি  আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের শেলাহাটি গ্রামে ঘোষপুর মৌজায় আওয়ামী লীগ নেতা সুবাষ সাহার নিজস্ব ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লীজ নেওয়া জমি রয়েছে। সেই জমির দক্ষিণ পাশের্^ চন্দনা-বারাশিয়া নদের পাড়ে সুবাষ সাহার কাছ থেকে কিনে ৬-৭টি পরিবার ঘর তুলে বসবাস করছে। আর উত্তরে রেলওয়ের জায়গায় সামেলা বেগমসহ তিনটি পরিবার বসবাস করেন। সবমিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রেলওয়ের জমিতে ভূমিহীনসহ ২৯-৩৫টি পরিবার বসবাস করছে ওই এলাকায়।
ভুক্তভোগী সামেলা বেগম বলেন, আমি তো বাড়ি দুইদিন যাবত রান্না করি না, তাহলে আগুন লাগবে কিভাবে? তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, সুবাষ সাহার জায়গার সামনে আমরা রেলের জায়গা থাকি। আমি একটি ব্যাংকে পাহারা দেওয়ার কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে চলে আসি। রাতে মানুষের মাধ্যমে জানতে পারি আমার বাড়ি আগুন লেগেছে। তিনি আরো বলেন, ঈদের সময় মানুষের কাছ থেকে আনা যাকাতের টাকা, মানুষের কাছ থেকে চেয়ে আনা চাল সব পুড়ে গেছে। আগুনে ঘরে থাকা যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। এখন আমি সর্ব হারিয়ে পথে বসে গেলাম।
রেলের জায়গায় বসবাসকারী সামেলা বেগমের মেয়ে সেলিনা বেগম বলেন, সুভাষ সাহার লোকজন বিভিন্ন সময় এসে বসত বাড়ি ভেঙে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা জায়গা খালি করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। হঠাৎ আগুনে আমাদের ঘর পুড়ে গেছে।
একই গ্রামের বাসিন্দা পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বসবাসকারী হাবিল বিশ্বাস বলেন, সুভাষ সাহার লোকজন বিভিন্ন সময় তার ঘর বাড়ি ভেঙে নেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সুভাষ সাহা বলেন, আমার ব্যক্তিগত জায়গার সামনে আমার লীজ নেওয়া রেলের জায়গায় ওই মহিলা থাকে। তিনি স্থানীয় জিয়া মেম্বারের ভাইয়ের স্ত্রী। ওই মেম্বারের মাধ্যমে কিছু টাকা দিয়ে আমি তাকে (সামেলা বেগম) ঘর করার জন্য সহযোগিতা করেছি। তিনি সেখানে ঘর উঠিয়ে বসবাস করেন। দিনমুজুর সামেলা বেগমের বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সুবাষ সাহা বলেন, আমি টাকা দিয়ে তাকে সহযোগিতা করলাম, তাহলে আমি ঘর পুড়াবো কেন?। কিছু লোকজন ঘর পুড়িয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, আমার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য। আমি ওসি সাহেব বলেছি, আসল ঘটনা বের করার জন্য।
ঘোষপুর ইউনিয়নের শেলাহাটি সাবেক ইউপি সদস্য খরিলুর রহমান বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত লোকজন নিয়ে ঘটসনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে সহায়তা করি। সামেলা বেগম কারো ব্যক্তিগত জায়গায় নয়, রেলের মালিকানাধীন জায়গায় বসবাস করে আসছিলেন।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, বাড়ি পুড়ানোর বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় পুলিশের জব্দ বাসে আগুন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ১১:০২ এএম
ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় পুলিশের জব্দ বাসে আগুন

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানায় সড়ক দুর্ঘটনায় জব্দ করা একটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি হাইওয়ে থানা পুলিশ।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের করিমপুর হাইওয়ে থানা সংলগ্ন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস গিয়ে রাত ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‌‘গত ঈদুল আজাহার আগে আরএসএফ পরিবহনের বাসটি মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। এরপর বাসটি জব্দ করে থানার দেড়শ গজ পশ্চিমে সড়কের পাশে রাখা ছিল। মালিকপক্ষ লোক রেখে বাসটি দেখাশুনা করত। শনিবার দুপুর থেকে তারাও ছিলেন না। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানতে পারি বাসটিতে আগুন লেগেছে। কীভাবে আগুনের সুত্রপাত বা দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে কিনা জানি না।’

ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বরণে ফরিদপুরে ম্যারাথন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:৩৮ পিএম
ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বরণে ফরিদপুরে ম্যারাথন

ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্বরণে ফরিদপুরে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ‌
ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া অফিসের যৌথ উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত ‌ জাহান, জেলা শিক্ষা অফিসার বিষ্ণুপদ ঘোষাল, জেলা ক্রীড়া অফিসার ‌ আল আমিন খন্দকার, এন সি পির ১ নং যুগ্ন সমন্বয়ক এস এম জাহিদ।

ম্যারাথনটি ‌ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ‌শহর প্রদক্ষিণ করে ‌ রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

ম্যারাথনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাবেক খেলোয়াড় বৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল

oppo_0

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে মৌন মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‌ এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জেলা বিএনপি’র ‌ সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন- ‌যুগ্ন আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোজাম্মেল হোসেন মিঠু প্রমূখ।

জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ফরিদপুর থেকে নিহত ছয় জন শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। বক্তারা বলেন, দেশের এই অবস্থায় জরুরী নির্বাচন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। একটা নির্বাচিত সরকারের হাতে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দেশের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দল পরিচালিত হবে। আর তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান ‌।

এছাড়া দুপুরে ‌শহরের চকবাজার মসজিদে গণ অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদদের প্রতি দোয়া ও মোনাজাত‌ অনুষ্ঠিত হয়।