খুঁজুন
রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৭ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ২:০৬ পিএম
ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, মানববন্ধন

ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আসরউদ্দিন মুন্সির ডাঙ্গী এলাকায় পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। তারা আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে এ মানববন্ধন করেন তারা। হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তি হলেন, প্রবাসী মো. আলমাছ খা (৪০)। গত শনিবার রাতে তাকে হত্যা করেন তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৩)। ঘটনার পর পুলিশ হোসনেয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তার প্রেমিক আলী শেখকে (৫৫) এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ইতোমধ্যে নিহতের বাবা হাতেম খান বাদী হয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

মানববন্ধনে এলাকার আবালবৃদ্ধবনিতা ও যুবকরা অংশ নেন। তাদের দাবি নিহত আলমাছ খা ছিলেন সহজ-সরল। এ সময় বক্তব্য রাখেন নিহতের বাবা হাতেম খান ও স্থানীয় মির্জা প্রিন্স, হাজেরা বেগম, খালেদ হাসান মুরাদ, তাসলি বেগমসহ অন্যরা। বক্তারা বলেন, ‘আলমাছ দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকাকালীন স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বিভিন্ন পরপুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি আলমাছ জানার পরে তাকে নিষেধ করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় মনোমালিন্য। আলমাছ বিদেশ থেকে বাড়িতে আসার পর থেকেই স্ত্রী তাকে পুনরায় বিদেশে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। আলমাছ বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নিলে শুরু হয় নির্যাতন। ‌গত শনিবার রাতে স্বামীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী হোসনেয়ারা।‌ পরের দিন রবিবার সকালে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।’

তারা বলেন, ‘পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্ত্রীকে আটক করলেও কথিত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অতিদ্রুত আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’ পরে এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মামলার প্রধান আসামি স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আসামি আলী শেখকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। হোসনেয়ারা বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ফরিদপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৫৩ এএম
ফরিদপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ফরিদপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত ও সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা বেলতলায় পৌরসভার ১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে এ মতবিনিময় সব অনুষ্ঠিত হয়।

১৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. মিরু খানের সভাপতিত্বে এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল।

এ সময় জেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক ফাত্তাউল ইসলাম ফাত্তাহ, মহানগর বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক শামসুল আরেফিন সাগর, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন খান মিঠু, ফরিদপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. হাসানুর রহমান মৃধা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রনি, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সৈয়দ এখলাছুর রহমান, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা খোকা, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কাদির রুবেল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. সাব্বির হোসেন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাহিদুল ইসলাম মহব্বত, বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন শাহীন সহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘রাজনীতিতে মতপার্থক্য ভেদাভেদ থাকলেও ধানের শীষের স্বার্থে ফরিদপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরে যারাই ধানের শীষ প্রতীক পাবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করব। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সম্পর্কে উপস্থিত স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীদেরকে তা বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা কামনা করা হয়। এবং আগামীতে একমাত্র দল বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই দেশের ও জাতির উন্নয়ন করা সম্ভব বলে ব্যক্ত করেন নেতাকর্মীরা।’

ভাঙ্গায় ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আব্দুল মান্নান মুন্নু, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৪৭ এএম
ভাঙ্গায় ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে প্রথম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পাশের বাড়ির এক বৃদ্ধ লম্পট দাদার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদী গ্রামের বৃদ্ধ লম্পট দাদা শাফি শিকদারের বিল্ডিংয়ের ভিতরে এঘটনা ঘটলেও শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

শিশুটি পূর্ব সদরদী গ্রামের বাবা বাদল শিকদার কন্যা ও পুর্ব সদরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ঘটনার পর লম্পট বৃদ্ধর লোকজন ভুক্তভোগীর বিচার আশ্বাসের নামে ভয় দেখিয়ে থানায় যেতে ও মামলা করতে এবং মুখ খুলতে নিষেধ করছেন।
বর্তমানে লম্পট বৃদ্ধ গা ঢাকা দিয়েছে।

এঘটনায় শিশুটির মা বিচার দাবি করে বলেন , আমার ছোট মেয়ের সাথে আমার চাচা শশুর শফি শিকদার যে খারাপ কাজ করেছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই এবং তার শাস্তি চাই। আমার স্বামী এক দিনমজুর ও গ্রামে গ্রামে হেঁটে প্লাস্টিকের মালামাল বিক্রি করে। আমরা খুবই গরীব মানুষ। তাই গরীব মানুষ হিসেবে আমরা কোন বিচার পাচ্ছি না। শাফি শিকদার একজন প্রভাবশালী টাকা ওয়ালা। তার লোকজন আমাদেরকে থানায় যেতেও নিষেধ করছেন। বিচার ও পাচ্ছি না এবং প্রভাবশালীদের ভয়ে থানায়ও যেতে পারছি না। আমরা কার নিকট বিচার দাবি করবো। আমি এঘটনার বিচার চাই।

স্থানীয়দের দাবি, পূর্ব সদরদী গ্রামের শাফি শিকদার একজন লম্পট ও খারাপ চরিত্রের মানুষ। সে অনেক মহিলার সাথে খারাপ কাজ করে ধরা পড়েছে। আজ দরিদ্র ঘরের সাড়ে ৬ বছরের এক শিশুর সাথে যতটুকু খারাপ কাজ করেছে আমরা গ্রামবাসী তার বিচার চাই এবং শাস্তি চাই ।

এঘটনায় চুমুরদী ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাল্যবিবাহ এবং নারী নির্যাতন কমিটির সদস্য মোসা. ঝর্না আক্তার বলেন, আমার বাড়ির পাশে পূর্ব সদরদী শিকদার বাড়ির একটা ঘটনা ঘটেছে। আমি শুনেছি এবং শুনে খুব খারাপ লেগেছে। তখন আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলতে বলতে কেঁদেও ফেলেছি। এঘটনা আমি একজন নারী হিসাবে কিভাবে বলি। যদি ভুক্তভোগীরা আমার নিকট আসে, আমি তাদের সাথে থেকে আইনগত সহযোগিতা করব।

এব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাঙ্গায় ২ হাজার গরীব-অসহায় মানুষ পেল ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবা

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৩৫ এএম
ভাঙ্গায় ২ হাজার গরীব-অসহায় মানুষ পেল ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সৎসঙ্গ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটির উদ্যোগে লায়ন্স ইন্টান্যাশনাল ক্লাব ধানমন্ডি শাখার সহযোগিতায় ২ হাজার গরীব অসহায় মানুষ বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা ও ডাায়বেটিিক পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছে।

শনিবার (০১ নভেম্বর) উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিনামূল্য এই চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২ সহস্রাধিক চক্ষু রোগীর ছানি রুগী বাছাই সহ বিভিন্ন চক্ষু সেবা প্রদান করা হয় এবং ডায়বেটিক পরীক্ষা, পেশার মাপা সহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়।

সৎসঙ্ঘ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি খন্দকার মিজানুর রহমান বুলুর পৃষ্ঠপোষকতায় লায়ন খন্দকার মো. শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত শহীদুল ইসলাম খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী পরিচালক গোলাম মরতুজা খান, লায়ন মো. নুরু মিয়া, মো. শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান মিয়া, আফজাল হোসেন খান, মাহাবুবুর রহমান, নাসির হোসেন, মো. শাহ আলম।

লায়নস ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের পক্ষে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, লায়ন মো. বেলাল হোসেন, ডা. আসাদুজ্জামান, সৈয়দ নাসিম, কামরুল হোসেন, এম.এম. বাশার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সৎ সংঘ সামাজিক সোসাইটির সভাপতি মিজানুর রহমান বুলু বলেন, চক্ষু সেবা প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এবং চিকিৎসা বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বদ্ধ পরিকর। মানবিক এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই হাজার রোগীকে চোখের যাবতীয় পরীক্ষা, চশমা প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ কর্তৃক চক্ষু রোগ নির্ণয় ও পরামর্শ প্রদান করেন। আমরা প্রতিবছরই শিমুল বাজার তথা আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এই চক্ষু সেবা প্রদান করে থাকি।

যে সকল চক্ষু রোগীদের চোখের অপারেশন করার প্রয়োজন হবে তাদেরকে লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল আগারগাও ঢাকায় সম্পূর্ন বিনা খরচে চোখের অপারেশন করা হবে। অদূর ভবিষ্যতেও এই সেবা আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে সৎসঙ্ঘ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটি স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য ব্যক্তি বর্গের সহযোগিতায় কাজ করতে পরিকল্পনাধীন। চক্ষু রোগী প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় মানুষ সচেতন হতে পারে এবং সঠিক সময়ে সঠিক সেবা গ্রহণ করতে পারে।