খুঁজুন
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে ভ্যানচাল খুনের মামলায় প্রধান আসামি কৃষকদল নেতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫, ৫:২৮ পিএম
ফরিদপুরে ভ্যানচাল খুনের মামলায় প্রধান আসামি কৃষকদল নেতা
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কোরবানীর মাংস নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় হুমায়ূন কবীর (৪৮) নামে এক ভ্যানচালক হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
এর আগে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ জুন) দিবাগত রাতে নিহতের স্ত্রী শিউলী বেগম (৪৫) বাদি হয়ে ময়না ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মাস্টারকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৮ জুন সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লিয়াকত হোসেন মাস্টারের নেতৃত্বে ভ্যানচালক হুমায়ুন কবীরসহ তার পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করলে পরেরদিন ৯ জুন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ূন কবীর মারা যায়।
নিহত হুমায়ুন কবির বানিয়াড়ী গ্রামের মৃত মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক। গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের বাড়ি আনা হয়। পরে বাদ মাগরিব খরসূতি গোরস্থান চত্বরে জানাজা শেষে নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে।
মামলা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বানিয়ারী গ্রামের গ্রাম্যদলাদলি নিয়ে দুইটি বিবাদমান পক্ষ রয়েছে। একটিপক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জামাল হোসেন ও উপজেলা পল্লি উন্নয়ন সমবায় সমিতির (বিআরডিপি) সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নবীর হোসেন চুন্নু এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন উপজেলার ময়না ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মাস্টার। গত শনিবার ঈদুল আজহার দিন হুমায়ূন কবীর লিয়াকতের দলে থাকা ভাই-ভাতিজাদের নবীর হোসেন চুন্নুর দলে নিয়ে সেখান থেকে সামাজিক ভাবে বিলি করা কোরবানীর মাংস গ্রহণ করেন। এ নিয়ে ঈদের দিন থেকে ওই গ্রামে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। কোরবানীর মাংসের ভাগ নেওয়ার জেরে গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বানিয়াড়ী গ্রামের ছাকেনের চায়ের দোকানের সামনে কৃষক দল নেতা লিয়াকত হোসেন মাস্টারসহ তার সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর হোসেন চুন্নুর সমর্থক হুমায়ুন কবিরসহ তার পরিবারের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে লিয়াকতরা হুমায়ুন কবিরসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।
এ হামলায় মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হুমায়ূন কবীরকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়। রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ৮টার দিকে হুমায়ূন কবীর মারা যান।
এ ঘটনায় আরো আহত হন হুমায়ুন কবিরের বড় ভাই মোস্তফা মোল্লা (৫৮), তার মেয়ে বেনি বেগম (২৩) ও এক ভাগিনা। তারা বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমান বাড়িতে অবস্থান করছেন। হামলায় নিহত হওয়া হুমায়ূন কবীর নবীর হোসেন চুন্নুর সমর্থক ছিলেন।
এ ঘটনার দুইদিন পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিহতের স্ত্রী শিউলী বেগম (৪৫) বাদি হয়ে ময়না ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মাস্টারকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ১০-১৫জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলা নম্বর-১১।
বুধবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুল হাসান বলেন,  কোরবানীর মাংস নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভ্যানচালক হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে লিয়াকত মাস্টারকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করা হয়। ঘটনাস্থল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

তারেককে বরণে ফরিদপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাবে ৫০ হাজার নেতাকর্মী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:১৭ এএম
তারেককে বরণে ফরিদপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাবে ৫০ হাজার নেতাকর্মী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রায় ১৮ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো ফরিদপুর থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জেলার সব ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে অন্তত ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবে।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যাত্রা শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মাঠ থেকে। পদ্মা সেতু পার হয়ে নেতাকর্মীরা সরাসরি রাজধানীর ৩০০ ফিট (পূর্বাচল রোড) এলাকায় নির্মিত বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। মঞ্চটি ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুট আয়তনের এবং চারপাশে আলোকসজ্জা, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে পরিবেশ উৎসবমুখর করা হয়েছে।

ফরিদপুর থেকে অন্তত ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০০টি বড় বাস এবং ২৫০টি বড় মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলা থেকে আরও শতাধিক বাস ও মাইক্রোবাস ঢাকায় যাবে। এছাড়া অনেক নেতাকর্মী ব্যক্তিগতভাবে ট্রেনের মাধ্যমে রাজধানীতে পৌঁছাবেন। ফরিদপুর জেলা বিএনপি এ ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন বলেন, বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি। তবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোনো সহায়তা আমাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল এবং দীর্ঘ সময় পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এটি আমাদের দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে সংবর্ধনা ও স্বাগত আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। ফরিদপুর থেকে ঢাকায় নেতাদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো হবে।

 

– তথ্য সূত্র : ঢাকা পোস্ট 

ফরিদপুর-১ আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:২০ পিএম
ফরিদপুর-১ আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে মনোনয়ন দিয়েছে নবগঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু জোটের ১১৯টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ফরিদপুর-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

চারবারের সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-১ আসনের একজন পরিচিত ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ জাতীয় পার্টি ও জেপির সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি আজীবন এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। ইনশাআল্লাহ, আগামীতেও তাঁদের সেবা করে যেতে চাই।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাঁর এই মনোনয়ন ফরিদপুর-১ আসনের নির্বাচনী সমীকরণে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে অভিনন্দন মিছিল

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে অভিনন্দন মিছিল

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগামী ২৫ ডিসেম্বর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে এক অভিনন্দন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। খায়রুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে আয়োজিত এ মিছিলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি বের করা হয়।

মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতারা। বক্তব্যে তারা বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরও বেগবান হবে এবং বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি নতুনভাবে উজ্জীবিত হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমিরুল ইসলাম, মুন্সি আনোয়ার পাশা, সাইদুল ইসলাম সাঈদ ও সাজ্জাদ হোসেন সজল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সহ-সাধারণ সম্পাদক নীলয় চৌধুরী রেজা ও হাসান মীর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাদ খান এবং সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পাভেল আহমেদ।

এসময় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ দ্বীপ ও তাহসান অয়নসহ জেলা ছাত্রদলের নেতা রবিন, মেহেদী হাসান শাওন, দ্বীন, রাব্বি, আহাম্মেদ সায়েম অমি, সালমান এফ রহমান, শামিম খানসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

error: Content is protected !!