খুঁজুন
শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে লোকসানের মুখে পেঁয়াজ চাষীরা, ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ

মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ১:৪০ পিএম
ফরিদপুরে লোকসানের মুখে পেঁয়াজ চাষীরা, ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ

দেশের পেঁয়াজ উৎপাদরে দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। এ জেলার চাষীরা বর্তমান পেঁয়াজের দরে লোকসানের মুখে পড়েছে। ফরিদপুরের বড় বড় বাজার গুলোতে পেঁয়াজের দর ১৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চাষীদের দাবি, ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা বিক্রি করতে পারলে তাদের লোকসানে পড়তে হতো না।

সরেজমিনে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ঠেনঠেনিয়ার পেঁয়াজ বাজারে গিয়ে দেখা যায়- প্রকার ভেদে এই বাজারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পনেরশো থেকে সর্বোচ্চ ১৭০০ টাকায় মন প্রতি। বর্তমানে পেঁয়াজের দরের এমন চিত্র জেলা শহর ও আশে-পাশের বাজার গুলোতেও।

 

সালথার ঠেনঠেনিয়া পেঁয়াজের এই বাজারে সকাল ছয়টা থেকেই পেঁয়াজ চাষীরা কেউ ভ্যান যোগে, কেউ নসিমন, কেউ অটো, কেউবা বস্তা মাথায় করে, আবার কেউ ধামায় (ঝুড়ি) করে বাজারে তুলছে পেঁয়াজ। সেখানে স্থানীয় ব্যবসায়ীর পাশাপাশি দেশের দুর্দান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরাও বিক্রেতার কাছ থেকে দরদাম করে পেঁয়াজ সংগ্রহ করছে। ঠেনঠেনিয়া এই বাজারটি চলে দুপুর পর্যন্ত। সপ্তাহে রবি ও বুধবার বসে পেঁয়াজের হাট। প্রতি হাটে পেঁয়াজের দুই শতাধিক বড় ব্যবসায়ী আড়াইশো থেকে ৩০০ টন পেঁয়াজ ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে নিয়ে যায়।

সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান সোহাগ বলেন, ঠেনঠেনিয়া বাজারের প্রতি হাটে কোটি টাকার বেশি পেঁয়াজ ক্রয় বিক্রয় হয় । ঢাকা, চট্রগ্রাম, রবিশালসহ বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা এখানে পেঁয়াজ কিনতে আসেন । যোগযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় সহজেই কৃষি পণ্যটি ক্রয় করে নিয়ে যেতে পারেন তারা।

এ দিকে পেঁয়াজ চাষীরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ উৎপাদনে তুলনামূলকভাবে ব্যয় বেড়েছে, কিন্তু সেই হারে দর বাড়েনি। এ মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদও বেশি হয়েছে।

কথা হয় বাজারের পেঁয়াজ চাষী নিজাম উদ্দিন শেখ, আলমগির মোল্লা, ঈব্রাহিম মাতুব্বর, নিছার উদ্দিন খানের সঙ্গে । তারা সকলেই জানান, পেঁয়াজ যখন ঘরে তুলি সেই সময় দাম হাজারের কম ছিল। একটু ভাল দরের আশায় এতোদিন ঘরে সংগ্রহ করে রেখে ছিলাম । কিন্তু এখন যে দর বাজারে আছে তাতে পুঁজি টিকানো কষ্ট । তার ওপর আবার এতো দিনে পেঁয়াজের ঘাটতি হয়েছে ।

এই চাষীরা দাবি করেন, বাজারের আমরা যাদি দুই হাজার থেকে ২২শ টাকায় দর পেতাম তাহলে লোকসানে পড়তে হতো না।

এদিকে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বললেন, ফরিদপুরের যতগুলো পেঁয়াজের বাজার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সালথার ঠেনঠেনিয়ার বাজারটি। ঈদের পরেই হঠাৎ করে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দর কিছুটা কমেছে বলে তাদের ধারণা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী খোরশেদ মোল্লা জানান, এ বাজার থেকে প্রতি হাটে ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। গড়ে এক কোটি টাকার বেশি পেঁয়াজ প্রতি হাটে ক্রয় বিক্রয় হয় ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহেদুজ্জামান বলেন, জেলার তিন প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয়। এর মধ্যে শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজ, হালি পেঁয়াজ এবং দানা পেঁয়াজ । এ তিন ধরনের পেঁয়াজের মধ্যে হালি পেঁয়াজ বেশি আবাদ হয় । এই মৌসুমে ফরিদপুরে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। এ বারের উৎপাদনের হারও বেশ ভাল বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

বোয়ালমারীতে যৌথ অভিযানে ছয় লাখ টাকার ইয়াবা জব্দ, মাদক কারবারি পলাতক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:০৫ পিএম
বোয়ালমারীতে যৌথ অভিযানে ছয় লাখ টাকার ইয়াবা জব্দ, মাদক কারবারি পলাতক

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মামুনুর রহমান ওরফে ‘বাবা মামুন’ পালিয়ে গেলেও তার বাড়ি থেকে দুই হাজার ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বোয়ালমারী সেনা ক্যাম্পের নেতৃত্বে ১৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের উজিরপুর এলাকায় মামুনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ির শয়ন কক্ষের আলমারিতে সংরক্ষিত ১১ প্যাকেটে থাকা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মামুনুর রহমান ওরফে ‘বাবা মামুন’ বোয়ালমারী ও আশপাশের এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল। তার বাড়িতে ইয়াবার বড় চালান মজুদ রয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন পালিয়ে যায়।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামুনুর রহমান ওরফে বাবা মামুনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে সেনা ক্যাম্প সূত্র জানায়, মাদক, অবৈধ অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনী জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। অপরাধ দমনে সেনা ক্যাম্পসমূহকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

পলাতক মামুনুর রহমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভাঙ্গায় বিস্ফোরক মামলায় শিক্ষক-আ.লীগ নেতা মজিবুর হক গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ

আব্দুল মান্নান মুন্নু, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
ভাঙ্গায় বিস্ফোরক মামলায় শিক্ষক-আ.লীগ নেতা মজিবুর হক গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বিস্ফোরক মামলায় কালামৃর্ধা গোবিন্দচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) ও আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫) দিবাগত রাতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালামৃর্ধা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেফতার মজিবুর হক কালামৃর্ধা গোবিন্দচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

এলাকাবাসী জানায়, মজিবুর হক শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অতিমাত্রায় সক্রিয় ছিলেন। তিনি এক সময় কাজী জাফরউল্লাহর অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করলেও পরবর্তীতে সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে যুক্ত হন। তার স্ত্রী কালামৃর্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষকতার দায়িত্ব পালনের বদলে তিনি বিদ্যালয়কে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃর্ধা বাজার এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর হককে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাঙ্গা থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলার নম্বর-১৩ এ তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো ফরিদপুর জিলা স্কুলের গৌরবময় ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী

পান্না বালা, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:১৫ পিএম
বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো ফরিদপুর জিলা স্কুলের গৌরবময় ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী

বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে শেষ হয়েছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের গৌরবময় ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। দুইদিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রিয় শিক্ষাঙ্গণে ফিরে এসে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীরা। স্মৃতিময় এ মিলনমেলায় অংশ নিয়ে অনেকেই যেন ফিরে গিয়েছিলেন শৈশবের সোনালি দিনগুলোতে।

এই আনন্দঘন আয়োজনে অংশ নিতে ছুটে আসেন স্কুলটির সবচেয়ে প্রবীণ শিক্ষার্থী আকিদুল ইসলাম। তিনি ১৯৫২ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। একইভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও পরিভ্রাজক হাসনাত আব্দুল হাই (মেট্রিকুলেশন-১৯৫৪) এবং সাবেক রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ ঘোষ (মেট্রিকুলেশন-১৯৫৯)। পুরনো সহপাঠীদের টানে তারা সবাই ফিরে আসেন প্রিয় বিদ্যাপীঠে।

সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের খুঁজে বেড়ান স্কুল প্রাঙ্গণজুড়ে। দীর্ঘদিন পর বন্ধুর দেখা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে অনেককে বুকে জড়িয়ে ধরে বলতে শোনা যায়— “এতদিন কোথায় ছিলি বন্ধু?”

বেলা ১১টার দিকে স্কুলের উন্নয়নে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় ফরিদপুর জিলা স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের। এতে আহ্বায়ক করা হয় মির্জা মো. আরিফুর রহমান (১৯৮৪ ব্যাচ) এবং সদস্য সচিব করা হয় ওয়াহিদ মিয়াকে (১৯৮৯ ব্যাচ)।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ও সদস্য সচিব ওয়াহিদ মিয়া। আলোচনায় অংশ নেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মীর মো. নাসির হোসেন, শহীদুল হাসান, সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, মিজানুর রহমান, আতিয়ার রহমান, শামসুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন, পান্না বালা, মির্জা মো. আরিফুর রহমান, বেনজীর আহমেদ, মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ অনেকে।

সারাদিনের কর্মসূচিতে ছিল মিনি ম্যারাথন, বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব, সংগীতানুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ ও বিভিন্ন বিনোদনমূলক আয়োজন। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় র‍্যাফেল ড্র। রাতে দেশের স্বনামধন্য ব্যান্ড শিল্পী জেমস–এর পরিবেশনায় ব্যান্ড সংগীতের মধ্য দিয়ে দুইদিনের এ উৎসবের পর্দা নামে।

ব্রিটিশ ভারতে সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হাতে গোনা যে কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে, ফরিদপুর জিলা স্কুল তার অন্যতম। ১৮৪০ সালে যাত্রা শুরু করা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৮৫ বছরের পথচলায় এ অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, আন্দোলন ও সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। কালের পরিক্রমায় আজও ফরিদপুর জিলা স্কুল তার গৌরব ও ঐতিহ্য অটুট রেখে জেলার অন্যতম সেরা বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত।

এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের ইতিহাস, আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান এবং প্রবীণ-নবীন শিক্ষার্থীদের লেখায় সমৃদ্ধ “পরম্পরা” নামে ১৯০ পৃষ্ঠার একটি নান্দনিক সংকলন প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর জিলা স্কুলের গৌরবময় ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী উপলক্ষে দুইদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর)। ওইদিন জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা, উৎসবের পতাকা ও জিলা স্কুলের পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা।