খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২২ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সকল ধরনের রাজনীতি স্থগিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সকল ধরনের রাজনীতি স্থগিত
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (এফইসি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছে কর্তপক্ষ। তবে রাজনীতি বন্ধ না করে স্থগিত করার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে কলেজের বোর্ডে টাঙানো নোটিশ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে গত ১ মার্চ কলেজে ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত ১ মার্চ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দিয়ে কলেজের সিভিল বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাসেলকে সভাপতি এবং মো. আব্দুল আউয়ালকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারন সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আসিফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এডিসন চাকমার নাম রাখা হয়। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজে সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিতের নোটিশে স্বাক্ষর করেন অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আলমগীর হোসেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ২০ আগষ্ট কলেজের একাডেমিক কাম-প্রশাসনিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে নোটিশ জারি করেন তৎকালীন অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান। নিষিদ্ধের মধ্যে দিয়ে নতুন করে গত ১ মার্চ ছাত্রদলের কমিটি গঠনের খবর প্রকাশ হওয়ায় ক্ষোভে ফুসে উঠে সাধারন শিক্ষার্থীরা। কমিটির ঘোষণার পর থেকেই নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে মঙ্গলবার বিকেলে একাডেমিক কাম প্রশাসনিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডাকে কলেজ প্রশাসন। পরে সন্ধ্যায় এক নোটিশে জানানো হয়, ‘ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হলো।’ এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয় নোটিশে।
কলেজ ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ না করে স্থগিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম নিষিদ্ধ, কিন্তু প্রশাসন সেটা না করেছে স্থগিত। এটা কোনো সমাধান হতে পারে না। তিনি বলেন, ছাত্রদলের কমিটি হওয়ার পর থেকে বহিরাগতরা মহড়া দিতে থাকে।
সদ্য ঘোষিত ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাসেল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা যখন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, তখন আমরা ছাত্ররা কেন রাজনীতি করতে পারব না? আমাদের ক্যাম্পাসের তিনজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলা শাখার কমিটিতে রয়েছে। তারা যেহেতু রাজনীতি শুরু করেছে শিক্ষার্থীরাও রাজনীতি করবে।
কলেজে বহিরাগতদের নিয়ে মহড়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে যারা অবস্থান কর্মসূচি করছে তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের দোসর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির তিনজন এবং ছাত্র শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে।

ফরিদপুরে হেমন্ত ঋতুতেই প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৪০ এএম
ফরিদপুরে হেমন্ত ঋতুতেই প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা

প্রকৃতিতে এখন ঋতুবদলের আয়োজন। শরৎ শেষে হেমন্ত নামছে। এরপর শীতকাল। কিন্তু এখনই প্রকৃতি যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। দক্ষিণের জেলা ফরিদপুরে শীত নামা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যেই প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে মৃদু হিম বাতাস।

শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দেখা গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে।

সারদিনের তীব্র গরম শেষে গভীর রাত থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে নামছে হালকা কুয়াশা। শীতকে ঘিরে সক্রিয় হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের পিঠাপুলির দোকানগুলো।

ফরিদপুরের সালথার রিপন মাতুব্বর বলেন, ঘাসের ওপর শিশির কণা রৌদ্রে ঝলমল করে, হাঁটাচলা করলে শীতে পা ভিজে যায়। আমাদের এলাকায় শীতের আগমন ঘটে গেছে। শীত এলাকার মানুষের জন্য কষ্টের সঙ্গে আনন্দেরও।

ফরিদপুর সদরের সমির খাঁ বলেন, ফরিদপুরে এবার আগাম শীতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শীতে শাকসবজির বেশি আবাদ হয়। নতুন ধান কাটা শুরু হয়।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, ফরিদপুরে সকালে ও রাতে আমরা শীতের ছোঁয়া পাচ্ছি। তাপমাত্রারও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।

‘আমি দীর্ঘ ১৭টি বছর এই সালথা-নগরকান্দার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি’ — শামা ওবায়েদ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০১ পিএম
‘আমি দীর্ঘ ১৭টি বছর এই সালথা-নগরকান্দার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি’ — শামা ওবায়েদ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনটা সঠিক ও সুষ্ঠু হবে। এবং দেশের আপামর জনতা সার্বিকভাবে ভোট দিতে পারবে। আমরা মনে করি, সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচিত হবে।’

বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে বিএনপি নেতা ফজলুল মতিন বাদশা মিয়ার বাড়িতে আয়োজিত এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমরা বিগত দিনে দেখেছি, কিছু মানুষ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে আবার কিছু মানুষ না খেয়ে থেকেছে। সরকার দলীয় লোকের চাকরি হয়েছে, মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরি হয় নাই। এটা তো বৈষম্য। এই বৈষম্যের জন্যই কিন্তু আমাদের ছোট ছোট ভাইবোনেরা মাঠে নেমেছিল। এই মাঠে নামতে গিয়ে বহু ছেলে-মেয়ে জীবন ও রক্ত দিয়েছে। তাদের রক্তের বিনিময় আজকে আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটতেছি।’

খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আশির দশকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৯ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল। এরপর দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। এবং ৯১ সালে জনগণের বিপুল ভোটে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া উপমহাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। অত্যন্ত দুঃখজনক- ওনাকে জঘন্য মিথ্যা মামলায় ৬টি বছর জেলে থাকতে হয়েছে। তারপরেও দীর্ঘ ১৭টি বছর তিনি আন্দোলন করে গেছেন। তিনি এখন অসুস্থ, সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

নিজের বাবা বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘অনেক রাজনীতিবিদ আছে টাকা-পয়সা বাড়ি-গাড়ি বানিয়েছে। অবৈধ উপায়েও অনেকে সম্পদ করেছেন। কিন্তু আমি গর্বিত, কারণ আমার বাবা মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমান ব্যাংকে দেনা রেখে মারা গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর সবচেয়ে বড় সম্পদ আমার জন্য রেখে গেছেন, সেটা হলো সালথা-নগরকান্দার মানুষ। আমি দীর্ঘ ১৭টি বছর এই সালথা-নগরকান্দার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতে যদি সংসদে যেতে পারি তাহলে আরো অনেক বেশি কাজ করতে পারবো।’

সাবেক বিএনপি নেতা ফজলুল মতিন বাদশা মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মীসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদ মাতুব্বর, সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শাহিন মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, বিএনপি নেতা রাশেদ মিয়া, কামরুল ইসলাম মজনু, যুবদল নেতা হাসান আশরাফ, পাভেল রায়হান, এনায়েত হোসেন, কামরুল ইসলাম, মুরাদুর রহমান, ইব্রাহিম মেম্বার, রফিক মাতুব্বর প্রমূখ।

ফরিদপুরে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:১৮ পিএম
ফরিদপুরে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দৈনিক ঢাকা টাইমস-এর সিনিয়র রিপোর্টার মো. মুজাহিদুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান হাসিব। এ ঘটনায় সাংবাদিক মুজাহিদ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আলফাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি করা সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করেন। এছাড়াও বর্তমান ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য নুরুল হাসান মিয়ার আপন ছোট ভাই, গণঅভ্যুত্থানের পরে আবির্ভাব হওয়া হাসিবুল হাসান হাসিবকে হঠাৎ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার (০৫ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে হাসিবুল হাসান হাসিব ফেসবুক মেসেঞ্জারে কল দিয়ে এবং একাধিক অডিও বার্তা পাঠিয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

জিডিতে মুজাহিদুল উল্লেখ করেন, হাসিব অত্যন্ত অশ্রাব্য ও হুমকিসূচক ভাষায় বলেন, “তুই লেখার কে? আমি আসতেছি তোর হাড্ডি খুলে ঝুলোবানি। প্রত্যেক জয়েন্ট জয়েন্টে আলাদা করে দিবানি। আমি তোকে হুমকি দিচ্ছি না, আমি আইসে তোকে হাড্ডি ভাঙ্গবানি। তুই আমাকে চিনিস? খানকির পোলা ফোন রাখ। তোমার বড় বড় বাপরা আমাকে চিনে। তোমার যে বাজান আছে তাদের কাছে আমার নাম শুনবা। তোমার বাজানরা আমাকে চিনবে। তুমি আমাকে চিনো না। তোমার মত বাড়ার বাল আমার চেনা লাগবে? শালার ভাই শালা। এই শালার ঘরে শালা তুই কি সাংবাদিক? আমি একটা দলের পোস্টধারী লোক। তুই আমার সম্পর্কে হুট করে লিখিস কিভাবে? তুই লেখার কে? তোকে লেখার স্পর্ধা দিছে কে? নুরুল হাসান পালাবে কেন এই বাস্টার্ড? তোর বাড়ি কোথায়? বাড়ার বাল তুই বাংলাদেশের যে প্রান্তে থাকিস সেই প্রান্ত থেকে তোকে ধরে এনে ঝুলাবো। তোরে মেরে পাছার মধ্যে আইক্কাওয়ালা বাঁশ ঢুকিয়ে আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তায় ঝুলিয়ে রাখবো। তোর কোন বাপ আছে দেখি কিভাবে ঠেকায়।”

তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পর থেকে তিনি ও তার পরিবার মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন যেকোনো মুহূর্তে হাসিবুল হাসান হাসিব বা তার সমর্থকরা তার জীবননাশ করতে পারেন। একজন পেশাজীবী সাংবাদিক হিসেবে এটি তার পেশাগত স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।

ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে এটিকে সাংবাদিক নিরাপত্তার ওপর সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখছেন।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম জিডিটি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”