খুঁজুন
শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৯ কার্তিক, ১৪৩২

বাঁধাকপি দিয়ে রাঁধুন গরুর মাংস

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩১ এএম
বাঁধাকপি দিয়ে রাঁধুন গরুর মাংস

শীত মৌসুম শেষের দিকে। এ সময়ে বাঁধাকপির বিদায়ের পালা।

তাই প্রিয় সবজিকে ফেয়ার ওয়েল দেওয়ার আগে, হয়ে যাক বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংস। তবে ছুটির দিনে ঘরের সবার সঙ্গে সবচেয়ে সহজভাবে এই রান্নাটিই করা যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি রান্না করাও বেশ সহজ। তাহলে চলুন বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি জানি:

 

যা যা লাগবে:

গরুর মাংস নেবেন ১ কেজি। একটি ছোট সাইজের বাঁধাকপি নিয়ে বড় বড় আকারে কেটে ধুয়ে নিন।

এবার আসা যাক মাংসের মসলা মেখে নেওয়ার পালা:

দেড় টেবিল চামচ আদা বাটা, দেড় টেবিল চামচ রসুন বাটা, ৫ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা, ৪ টেবিল চামচ টকদই, স্বাদমতো মরিচের গুঁড়া, আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া দিন। এক চা চামচ করে ধনিয়া-জিরার গুঁড়া ও টমেটো কেচাপ দিন। স্বাদমতো লবণ দিয়ে সবকিছু ভালোভাবে মেখে রাখুন ১ ঘণ্টার জন্য।

যেভাবে রাঁধবেন:

মসলা মাখানোর এক ঘণ্টা শেষ হলে রান্নার জন্য হাঁড়িতে পরিমাণমতো তেল দিন। এরপর তেজপাতা দিন দুটি। তাতে দিন লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ ও শুকনা মরিচ। এরপর একটু ভেজে নিন তেলে। পেঁয়াজ দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ নরম হলে মসলাসহ মাংস দিন। চুলার জ্বাল কম রাখবেন। একটু পরপর নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিন মাংস। কিছুটা কষানো হলে অল্প গরম পানি দিন।

মাংস সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত বার বার অল্প অল্প করে গরম পানি দিয়ে অপেক্ষা করুন। ঝোল ঘন হলে বাঁধাকপি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে রান্না করুন। এবার তাতে পরিমাণমতো কাচা মরিচ ফালি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রেখে মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন। ব্যস! হয়ে গেল লোভনীয় স্বাদে বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংস রান্না। এরপর গরম গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে খেয়ে নিন জলদি।

ফরিদপুরে কীর্তনগান শুনে বাড়ি ফেরা হলো না দুই ব্যবসায়ীর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ এএম
ফরিদপুরে কীর্তনগান শুনে বাড়ি ফেরা হলো না দুই ব্যবসায়ীর

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কীর্তন গান শুনে অটোভ্যানে যোগে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক চাপায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখড়দি মাদ্রাসার সামনে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার সাতৈর ও শেলাহাটি এলাকার বাসিন্দা ও সাতৈর বাজারের ব্যবসায়ী মধু সাহা (৫০) ও নারায়ণ সাহা (৫৫)।

আহতরা হলেন, সঞ্জয় বণিক, নেপাল সাহা, সুজিত সাহা, টুকটুকি ও ভ্যানচালক সুমন। আহতদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকজন মিলে কাদির এলাকা থেকে নাম কীর্তন গান শুনে অটোভ্যানে করে সাত জন মিলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখড়দি মাদ্রাসার সামনে ফরিদপুরগামী একটি বেপরোয়া গতিতে চলা একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোভ্যানকে চাপা দিলে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে দুই ব্যবসায়ী নিহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, কাদিরদি এলাকা থেকে কীর্তন গান শুনে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হন। আহত হয়েছেন পাঁচজন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল আমিন বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইস্কনের দ্বারা গুম-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
ইস্কনের দ্বারা গুম-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদের

বাংলাদেশে সম্প্রতি ইসকন কর্তৃক পরিচালিত খুন, গুম এবং মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও প্ররোচণামূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদ বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যম পাঠানো
এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মাদ জাকির হুসাইন ফরিদী এবং মহাসচিব মুফতী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইসকনের নামে দেশে যে ধরনের গুম, খুন এবং উসকানিমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’

নেতৃদ্বয় বলেন, “আমরা দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম সমাজকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে, দেশের সব মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিবদের প্রতি আমাদের অনুরোধ— ‘আজকের জুমার খুতবায় যেন মুসল্লিদের সামনে ইসকন কর্তৃক পরিচালিত এই সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যাতে মানুষ সত্যটি জানতে পারে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।”

সংগঠনটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে—
“ধর্মীয় সম্প্রীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকন একের পর এক উসকানিমূলক ও ঘৃণাবাদী জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।”

রাতে বাসর, সকালে সালথায় আখক্ষেতে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৫৮ পিএম
রাতে বাসর, সকালে সালথায় আখক্ষেতে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

পারিবারিকভাবে হয় বিয়ে। ধুমধামে বরযাত্রী নিয়ে কনেকে আনা হয় বরের বাড়িতে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে নবদম্পতিকে পাঠানো হয় বাসরঘরে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস- সকালেই আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের লাশ পাওয়া যায়।

ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে ঘটে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত বরের নাম মো. জামাল ফকির (২৮)। সে পিসনাইল গ্রামের মো রোজব ফকিরের ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জামাল ছিলেন সেজো। তবে বরের এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবি, জামাল গলায় গামছা পেঁচিয়ে আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আর স্থানীয়রা বলছেন, আখক্ষেতের বেড়ার ওই বাঁশের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করা অসম্ভব।

বরের পরিবার জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে পারিবারিকভাবে পাশ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. লিটন ভূঁইয়ার মেয়ে রোকেয়া আক্তারকে (২৩) বিয়ে করেন জামাল ফকির। বিকেলে কনেকে নিয়ে বাড়িতে আসেন বর। রাতে নবদম্পতি বাসরঘরে শুয়ে ছিলেন।

শুক্রবার সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় বর জামালের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের যেভাবে মরদেহ ঝুলে ছিল, তাতে মনে হয় না সে আত্মহত্যা করেছে। কারণ বাঁশের আড়ার উচ্চতা ছিল ২ থেকে আড়াই ফুট। সেখানে ঝুলে আত্মহত্যা করলে পা মাটিতে মিশে যাবে।

 

নিহত বরের স্ত্রী রোকেয়া বলেন, সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে গেলে দেখি দরজার বাইরে শিকল লাগানো। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দিলে দেখি আমার স্বামীর লাশ জমির মধ্যে পড়ে আছে।

নিহতের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। সে কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা করেনি। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।

 

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ওই ছেলেটি বিয়ে করেন। রাতে বাসর ঘরে নতুন বউকে তিনি শুয়ে ছিলেন। সকালে বাড়ির পাশে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।