খুঁজুন
শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮ ভাদ্র, ১৪৩২

বোয়ালমারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল জাহাজ মাস্টারের

বোয়ালমারী প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪৭ পিএম
বোয়ালমারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল জাহাজ মাস্টারের

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিদ্যুতস্পৃষ্টে হয়ে মো. নাসির মোল্যা (৪৫) নামে এক জাহাজ মাস্টারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

সোমবার (৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বড়গাঁ নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।

তিনি পাশ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের মো. আমীর হোসেন মোল্যার ছেলে এবং খুলনায় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন জাহাজের মাস্টার হিসেবে চাকরিরত ছিলেন তিনি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খুলনায় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন জাহাজের মাস্টার হিসেবে চাকরি করতেন মো. নাসির মোল্যা। কিছুদিন আগে তিনি ছুটি নিয়ে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাংকুলা গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি তিনি আলফাডাঙ্গার সীমান্ত পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বড়গাঁ নতুন বাজারে নিজ মালিকানাধীন জমিতে একটি দোকান নির্মাণের কাজ করছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নবনির্মিত দোকানের ফ্লোর ও ওয়ালে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা হক টুম্পা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশকে জানানোর আগেই স্বজনেরা তার মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক তদন্ত (ওসি তদন্ত) আল আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতাল থেকে স্বজনরা মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। নিহতের বাড়ি পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা থানায় হওয়ায় আলফাডাঙ্গা থানাকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। দুই থানা পুলিশ সমন্বয় করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাজালাল আলম জানান, বোয়ালমারী থানা থেকে খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম মৃতের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ঘটনাস্থল বোয়ালমারী থানাধীন তাই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবে। আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে মফিজুর রহমান (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই কিশোরীর বড় ভাই ইলিয়াস মল্লিক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরপরই ওই রাতেই আসামী মফিজুর রহমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

এর আগে শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের একটি গ্রামে মসজিদের বাথরুমে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আসামী মফিজুর রহমান সাতৈর ইউনিয়নের কেরশাইল গ্রামের বাসিন্দা ও তিনি স্থানীয় কেরশাইল জামে মসজিদে ইমামতি করতেন বলে জানা গেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে একটি দোকানে যাচ্ছিল। এ সময় ওই দোকানের পাশের বাড়ির মফিজ মল্লিক (৪২) টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে পাশের মসজিদের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরীর বড় ভাই মসজিদের বাথরুমে প্রস্রাব করিতে গেলে কান্নার শব্দ শুনে দরজা খুলে কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে ওই কিশোরীকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বড় ভাই ইলিয়াস মল্লিক বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৩০। মামলার এ ঘন্টার মধ্যে আসামী মফিজুর রহমানকে নিজবাড়ি থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তবে মামলার এক ঘণ্টার মধ্যেই আসামি মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামিকে শনিবার ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভাঙ্গায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

আব্দুল মান্নান মুন্নু, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৭:০৫ পিএম
ভাঙ্গায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সামিয়া আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সে গজারিয়া গ্রামের জালাল শেখের কন্যা এবং কাউলীবেড়া ইউনিয়নের পল্লীবেড়া গ্রামের মুরাদ বেপারীর স্ত্রী। তাদের রাইসা মনি নামের ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

তবে ছামিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে পল্লীবেড়া গ্রামে মুরাদের সাথে পারিবারিকভাবে সামিয়াকে বিবাহ দেয়া হয়। এরপর থেকে স্বামী মুরাদের সাথে স্ত্রীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছে। শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তারপর সকলের অজান্তে সামিয়া ঘরে গিয়ে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে
নাছিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রাম থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে পারে বলে জানান ওসি।

ফরিদপুরের লোকালয়ে হনুমান, মানুষের সঙ্গে গড়ছে সখ্যতা

মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪১ এএম
ফরিদপুরের লোকালয়ে হনুমান, মানুষের সঙ্গে গড়ছে সখ্যতা

প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাবের ফলে বন্য প্রাণীরা এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তাইতো এবার খাদ্যের সন্ধ্যানে লোকালয়ে দেখা গেলো দলছুট মুখপোড়া এক হনুমানকে। বন-জঙ্গলের পরিসর সীমিত হয়ে আসায় এসব প্রাণীরা খাদ্যের সন্ধ্যানে চলে আসছে লোকালয়ে।

বেশ কিছু দিন ধরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল, নওয়াপাড়া, শ্রীরামপুর গ্রামে ও সদর বাজারের এলাকাতে একেবারে কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে দুইটি হনুমান। সাধারণ মানুষের সাথে বেশ সখ্যতা গড়ে তুলেছে হনুমানটি। এটি এক নজর দেখার জন্য গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ও কৌতুহলী মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।

হনুমানটিকে দেখতে আসা বাকাইল গ্রামের ভ্যান চালক আইয়ুব বিশ্বাস জানান, আমি সকাল বেলা হনুমান দুটিকে আলফাডাঙ্গা- গোপালপুর সড়কের বাঁকাইল গ্রামের একটি বাড়ির বাউন্ডারির দেওয়ালের ওপর দেখতে পাই। তখন বিস্কুট ও কলা খেতে দিয়েছি।

হনুমানকে খাবার দিতে আসা একই গ্রামের কিরণ বালা জানান, আলফাডাঙ্গাতে সাধারণত হনুমান দেখা যায় না। মূলত খাবারের সন্ধানে তারা মানুষের কাছে ছুঁটে এসেছে। ঝুঁকি নিয়ে গাছের ডালে, ঘরের চালে অথবা বাড়ির ছাদে অবস্থান করছে। এখনো পর্যন্ত হনুমান করো ওপর আক্রমণ করেনি। এ সময় তিনি উৎসুক সকলকে হনুমানটিকে বিরক্ত করতে নিষেধ করেন।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা বন কর্মকর্তা শেখ লিটন জানান, যেহেতু হনুমান দুুটি দলছুট হয়ে লোকালয়ে এসেছে, এটিকে কেউ বিরক্ত না করলে আপনা-আপনি সে তাঁর আবাসস্থলে ফিরে যাবে।