ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসচাপায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর তিন মোটরসাইকেলের আরোহী নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চলছে শোকের মাতম। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ভাঙ্গা উপজেলার বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকি ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার করিম মন্ডলের ছেলে সুমন (২৫), রিমন (১৪) ও একই এলাকার শাহিন মোল্লার ছেলে মো. আশিক মোল্লা (২২)। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই । তারা সবাই উপজেলার সদকি ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, নিহতের মরদেহ এলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সন্তান হারিয়ে নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানদের হারিয়ে শোকাহত তাদের পরিবার ও স্বজনেরা।
এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানায়, সুমন ও রিমনের বোনের শাশুড়ির মরদেহ দেখতে আসার পথে মাধবপুর কবরস্থানের সামনে দুর্ঘটনায় আপন দুই ভাইসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহত সুমন ও রিমন পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রী আর নিহত আশিক ঢাকায় চাকরির পাশাপাশি উবার চালাতেন।
দুই ছেলেকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ নিহত সুমন মন্ডল ও রিমন মন্ডলের বাবা করিম মন্ডল জানান, আমার মেয়ের শাশুড়ি গতকাল মারা যায় তাকে দেখতে দুই ছেলে বাড়িতে আসছিলো। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিলো জানতাম না। বড় ছেলেকে সুমনের খোঁজ নেয়ার জন্য বলি পরে সুমনকে ফোন দিলে পুলিশ ফোন ধরে এক্সিডেন্টের কথা জানায়। পরে বড় ছেলে যেয়ে দেখে আমার দুই ছেলের মরদেহ হাসপাতালে পড়ে আছে। এখন এ শোক আমি সইবো কি করে।
এদিকে, নিহত আশিক মোল্লার মা শিউলী খাতুন জানান, ১৫ দিন আগেই বাড়িতে এসে ছেলে ঘুরে গেছে। ছেলে যে আজকে বাড়িতে আসছিলো জানতাম না। রাতে পুলিশ ফোন করে জানায় আশিকের এক্সিডেন্ট হয়েছে। পরে খবর পায় হাসপাতালে নেয়ার পর আমার ছেলে মারা গেছে। এখন আমি কি নিয়ে বাঁচবো? আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ছেলেকে হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, গতকাল মধ্যরাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের একই এলাকার আপন দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছে। তাদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। খুব কষ্টদায়ক একটি বিষয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আপনার মতামত লিখুন
Array