খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ভালো ঘুমের জন্য চাই আরামদায়ক বিছানা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৩ পিএম
ভালো ঘুমের জন্য চাই আরামদায়ক বিছানা

সুস্থ জীবনের জন্য প্রতিটি মানুষের ভালো ঘুম অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন।

ভালো ঘুমের জন্য চাই আমাদের আরামদায়ক বিছানা, বালিশ আর শান্ত পরিবেশ। বিশেষ করে বালিশ ঠিকঠাক না হলে অনেকেই শান্তিতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারেন না। বিছানা খুব বেশি নরম কিংবা খুব বেশি শক্ত হওয়া যাবে না।

 

তোশক ও জাজিম একসঙ্গে ব্যবহার না করাই ভালো। তবে খাট বা বিছানার ওপর ভিত্তি করে দুটিই ব্যবহার করা যেতে পারে যদি সেটা সঠিক উপায়ে বানানো যায়। প্রথমে জাজিম বিছিয়ে তার ওপর শক্ত কাঠ বা হার্ডবোর্ড দিয়ে এর ওপর তোশক পাততে হবে।  তোশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো মানের তুলা ব্যবহার করা উচিত। শিমুল তুলা ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। দামে অন্যান্য তুলার চেয়ে একটু বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ভালো সিদ্ধান্ত হয় শিমুল তুলা ব্যবহার করলে।

জাজিম সাধারণত পাঁচ-সাত ইঞ্চি এবং তোশক তিন-পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার বানানো ভালো। ম্যাট্রেসের ক্ষেত্রে একটু শক্ত প্রকৃতির কেনাই উত্তম। বেশি নরম ম্যাট্রেস মেরুদণ্ডের হাড়ের গঠনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, এর ফলে পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শোয়ার সময় বিছানার কোনো অংশ যেন দেবে না যায় সেটা নিশ্চিত করে বিছানা কিনুন।

বালিশ কেমন হলে ঘুম ভালো হয়

* বালিশের উপকরণ প্রাকৃতিক হওয়া উত্তম।
* ফোম বা কৃত্রিম ফাইবারের বালিশ নরম হলেও ঘুমের জন্য একদমই আরামদায়ক নয়।
* তুলার তৈরি বালিশ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* বেশি উঁচু বা নিচু বালিশ ব্যবহার করা উচিত নয়।
* বালিশের উচ্চতা এমন হবে যেন যাতে ঘাড় ও পিঠ সমান্তরালভাবে থাকে।
* তিন-পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার বালিশ সাধারণত আদর্শ উচ্চতা হিসেবে ধরা হয়।
* বালিশের মাপ খুব বেশি ছোট না হওয়াই ভালো। যেমন কুশন।
*  বালিশের কভার বেশি খসখসে হওয়া যাবে না।

আরও যা মাথায় রাখতে হবে

* মেঝে বা সোফায় শোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
* বিছানার আয়তন এমন হতে হবে যেন আরাম করে হাত-পা স্বাচ্ছন্দ্যে রেখে ঘুমানো যায়।
* একপাশ হয়ে ঘুমানো ভালো, তবে শরীর কুঁকড়ে না ঘুমানোই উত্তম।
* কোলবালিশের আয়তন এমন হওয়া যাবে না যাতে ঘুমাতে গেলে বেগ পেতে হয়।
* বিছানায় সুতির চাদর ব্যবহার করুন।
* ২/৩ বছর অন্তর অন্তর বালিশ এবং বিছানা পরিবর্তন করুন।
* ঘুমের সময় নাক ডাকা বা নিশ্বাস নিতে সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাজানোর জন্য যা ব্যবহার করতে পারেন

* আরামের ঘুমের জন্য যেমন বিছানা বালিশ সঠিক হতে হয় তেমনি তার সাজানোর ধরনের উপরও নির্ভর করে রুচিশীলতা।

* সুন্দর করে সাজানো বিছানা মনের মধ্যে এক ধরনের ভালো লাগা সৃষ্টি করে যা ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

* বিছানার চাদর এবং বালিশের এক রংয়ের কভার কিংবা বিপরীত রংয়ের ব্যবহার করুন।
* বিছানা সাজানোর জন্য বালিশের পাশাপাশি বিভিন্ন আকারের কুশন ব্যবহার করতে পারেন।
* বিছানার এক পাশে সুন্দর নকশার কমফর্টার রাখতে পারেন।
* বিছানা জানালার পাশে হলে কার্টেইন বা পর্দা উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার করতে পারেন

ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে লিয়াকত মোল্যা (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাদিরদী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাগুরা জেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সংকোচ খালী এলাকার তিন ব্যবসায়ী কয়েকটি গরু বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। তারা মহম্মদপুর-বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্ত ব্রীজ পার হয়ে ফরিদপুর জেলার কাদিরদী বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ থেকে গরু লাফ দিলে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা লিয়াকত মোল্যাসহ দুই ব্যবসায়ী আহত হয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকত মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অপর ব্যবসায়ী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ জানান, মাগুরা সদর থেকে গরু বোঝাইকৃত পিকআপটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিল। গরুর গাড়িটি কাদিরদী বাজারে আসলেই একটি গরু লাফ দিলে গাড়ীটি উল্টে ব্যবসায়ীরা চাপা পড়ে। সেখান থেকে আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পেরেছি লিয়াকত নামে ব্যবসায়ী মারা গেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অবগত নই। এমনকি ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।

ফরিদপুরে তাল পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:২৮ পিএম
ফরিদপুরে তাল পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু 
ফরিদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইমন শেখ (১৪) নামে  এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ইমন শেখ কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ফারুক শেখের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জেলা সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের মো. ফারুক শেখের ছেলে ইমন শেখ তাল পাড়ার উদ্দ্যেশ্য বাঁশ নিয়ে বাড়ির পাশে তাল গাছে উঠে। গাছে ওঠার পর বাঁশ দিয়ে খুচিয়ে তাল পাড়ছিল। এ সময় ওই গাছের পাশ দিয়ে যাওয়া উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের লাইনে তারে ইমনের হাতে থাকা বাঁশ স্পর্শ করলে  বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে গিয়ে সে মারাত্মক ভাবে আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা ইমনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজরসহ চার সহযোগী গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:২৩ পিএম
ফরিদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজরসহ চার সহযোগী গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর গোলাম হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
মঙ্গলবার (৩ জুন) গভীর রাতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
বুধবার (০৪ জুন) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, মেজর হায়দারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফরহাদ হোসেনসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু মোল্ল্যা অভিযোগ করে বলেন, অভিযানের সময় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে ফরহাদ হোসেন ‘মেজরের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে’ বলে গুজব ছড়ান। এতে আশপাশের এলাকা থেকে মানুষজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে পুলিশ সাইরেন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানায়—এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব, ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এলাকাবাসীর সহায়তায় ফরহাদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মেজর হায়দারকেও নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
এর আগে উপজেলার ডাংগি ইউনিয়নে বৈষম্য বিরোধী এক নারী নেত্রীকে ঘিরে উত্তেজনার সময় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ চলাকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উগ্র আচরণ ও অশোভন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন মেজর হায়দার। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, “রাজু মোল্লা নামের এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগ দিলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (০৩ মে) সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে তাদের।”