খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২৪ আশ্বিন, ১৪৩২

যেভাবে চিনবেন কোন নারী কেমন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৮:১২ এএম
যেভাবে চিনবেন কোন নারী কেমন?

নারীর শরীর এবং মনের গভীরতার রহস্যভেদ করা সহজ নয়। কোনও পুরুষের পক্ষে কখনওই একজন নারীকে সম্পূর্ণ বোঝা সম্ভব নয়। নারী কথাটি শুনতে যতটা সহজ, নারীকে বোঝা ঠিক ততটাই কঠিন। তাই যুগে যুগে কবিরা বলে এসেছেন প্রকৃতির মতো নিবিড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে নারীশক্তির মধ্যে। তবে এই রহস্য জানার বা বোঝার চেষ্টা আদিকাল থেকেই চলে আসছে।

আমি কিংবা আপনি নই, আদিকাল থেকেই পণ্ডিতবর্গ নারীকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে নিয়েছেন। সেগুলি হলো- পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী এবং হস্তিনী। এ বার এই চারটি শ্রেণির নারীকে কী ভাবে চেনা যায় তার উপায় দেখে নেওয়া যাক।

পদ্মিনী: এই প্রকার রমণীদের নামেই লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। এঁদের শারীরিক গঠন হয় আকর্ষণীয়, চোখ হয় পদ্মের মতো। মুখে সব সময় স্মিত হাসি লেগে থাকে। চুলের ধরন হয় কোঁকড়ানো। এঁরা সুমধুরভাষিণী হন। সব সময়ই এঁরা সত্যি কথা বলতে পছন্দ করেন। অতি যৌনতা এঁদের একদম পছন্দের নয়। বরং ঘুমোতে বেশি ভালোবাসেন। গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। শরীরে লোমের আধিক্য কম থাকে। নাচ-গানে পারদর্শী হন। রমণীকুলে এঁদের সর্বোত্তম মানা হয়।

চিত্রিণী: এই প্রকার নারীদের শরীর মধ্যম প্রকৃতির হয়। মুখে প্রায়ই মৃদু হাসি লেগে থাকে। ধীরে সুস্থে চলাফেরা করেন, কোনও কাজে অস্থিরতা দেখান না। চুল হয় মসৃণ প্রকৃতির। পরিমিত খাবার খান এবং ঘুমের সময়ও নিয়মিত থাকে। এঁদের ত্বক হয় নরম প্রকৃতির এবং শরীরে লোম থাকে না বললেই চলে। অন্য পুরুষের প্রতি আকর্ষণ থাকে না।

শঙ্খিনী: এই ধরনের রমণীর শরীর হয় দীর্ঘ প্রকৃতির। এঁদের চোখ, কান, নাক বেশ বড় হয় এবং হাত-পা দীর্ঘ হয়। শরীরে অল্পবিস্তর লোম থাকে। এঁদের মতিগতি হয় একটু চঞ্চল। শঙ্খিনী নারীরা হন মধ্যম প্রকৃতির।

হস্তিনী: সাধারণত ভারী শরীরের অধিকারিণী হন এই রমণীরা। কণ্ঠস্বর হয় তীব্র। প্রচুর পরিমাণে খেতে ও ঘুমোতে ভালোবাসেন। শরীরে লোমের সংখ্যা বেশি হয়। সাধারণত মিথ্যা বলার অভ্যাস দেখা যায়। ধর্মে-কর্মে মন প্রায় থাকে না বললেই চলে।

সূত্র: আনন্দবাজার।

ফরিদপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিলীন হচ্ছে নদীতে, মালামাল যাচ্ছে ভাঙ্গাড়ির দোকানে

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৪৬ পিএম
ফরিদপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিলীন হচ্ছে নদীতে, মালামাল যাচ্ছে ভাঙ্গাড়ির দোকানে

এক সময় জায়গা ছিলো না, ঘর ছিলো না। এই রকম ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তের বছর আগে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চাপুলিয়া গ্রামে সরকারি খাস জমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল আশ্রায়ণ প্রকল্পের ১৩০টি ঘর। সাথে করা হয়েছিল একটি অফিস ঘর। তখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলি থেকে মধুমতি নদীর দূরত্ব ছিল এক কিলোমিটার বেশি। গত ২০২১ সালে ওই এলাকায় মধুমতি নদীর তীব্র ভাঙ্গন শুরু হলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আশ্রায়ণ প্রকল্পের কমপক্ষে একশটি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সেখানে থাকা একটি অফিস ঘরসহ ৩০টি বসতঘরের মধ্যে এ বছর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অফিস ঘরসহ চারটি ঘর। এই সুযোগে প্রকল্প এলাকার একটি চক্র রাতের আঁধারে ঘরগুলোর মালামাল ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামে মধুমতি নদীর তীর ঘেঁষে ১৩০টি পরিবারের আবাসনের জন্য নির্মাণ করা হয় আশ্রায়ণ প্রকল্প নামে। বসবাসের কয়েক বছরের মাথায় নদীভাঙনের কবলে পড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পটির ঘরগুলি। তবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০০টি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ বছর ভাঙন ঝুঁকিতে প্রকল্পের চারটি পরিবার অন্যত্র চলে যায়। এই সুযোগে সেসব ঘরের ঢেউটিন, লোহার এঙ্গেল ও ইট খুলে নিয়ে রাতের আঁধারে ভ্যান ভর্তি করে নামমাত্র মূল্যে ভাঙারির দোকানে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ওই প্রকল্পের কয়েকজন বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাপুলিয়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ইমরুল শেখ ইমুল, আরিফুল শেখ ও মুকুল শেখ রাতের আঁধারে ভ্যান ভর্তি করে কয়েকটি ঘরের ঢেউটিন ও লোহার এঙ্গেল পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারের বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে। এখনো ওইসব ঘরের কিছু মালামাল তাদের বাড়ির সামনে জমা আছে। যেকোন সময় চক্রটি ওইসব মালামালও বিক্রি করে দিতে পারে।’

ভাঙ্গারির দোকানে মালামাল বিক্রির অভিযোগটি অস্বীকার করে শেখ ইমুল বলেন, ‘নদীতে প্রকল্পের অফিস ঘর ভেঙে যাচ্ছিল। তাই অফিস ঘরের মালামাল খুলে এনে আমার ঘরের সামনে রাখা হয়েছে। এসব দিয়ে নতুন করে আবার ঘর করা হবে।

তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে একবার ১০ মণ লোহার মালামাল বিক্রি করেছিলাম। পরে ইউএনও অফিস থেকে জানতে পেরে আমাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সেই মালামাল ফেরত দিয়ে আমি মুক্তি পাই। সেই থেকে আমি আর কোন সরকারি মালামাল বিক্রি করিনি।

চাপুলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার সভাপতি আকুব্বর শেখ বলেন, ‘আমরা যখন এখানে আসি তখন ১৩০ পরিবারের বসবাস ছিল। প্রতিবছর নদীতে ভাঙতে ভাঙতে এখন আমরা মাত্র ৩০ পরিবার বসবাস করি। প্রকল্পের ঘরগুলোর মালামাল গোপনে বিক্রি হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এসব আমার জানা নেই।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম কালু বলেন, ‘বেশ কয়েকবছর ধরে মধুমতি নদীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভেঙে যাচ্ছে। এই সুযোগে ওখানের কিছু লোকজন সরকারি মালামাল নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ঘরগুলি যখন নির্মাণ করা হয় তখন নদী অন্তত এক কিলোমিটার দূরে ছিল। এরপর থেকে নদী ভাঙতে ভাঙতে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলে এসেছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অবশিষ্ট ঘরগুলি ভাঙ্গণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর আগে কয়েক বছরে একশো ঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। এ ঘরগুলি সরকারি সম্পত্তি। সরকারি মালমাল গোপনে বিক্রি করা দন্ডনীয় অপরাধ। ঘরের মালামাল গোপনে বিক্রির বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সালথায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম
সালথায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা

ফরিদপুরের সালথায় “আমি কন্যা শিশু, স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি ”প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (০৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে উপজেলার সম্মেলন কক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও সালথা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শওকত আকবরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সালথা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা ডলি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সালথা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহা: তাশেম উদ্দিন, সালথা উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম, সালথা উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল বারী, সালথা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন অভিযানে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদল

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৪ পিএম
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন অভিযানে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদল

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন অভিযানে নেমেছেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রদল।

বুধবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং রুকসুর সাবেক ভিপি প্রার্থী খাইরুল ইসলাম রোমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুন্সি আনোয়ার হোসেন পাশা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সমিরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক নীলয় চৌধুরী রেজা, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাসান মীর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সান্ত খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাত ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক কে এম রাব্বি, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক পাভেল, বাহারুল ইসলাম রবিন, ছাত্রদল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ফরিদপুরের সহ-সভাপতি তাসহান আল সাউদ, ছাত্রনেতা অনিক হাসান, সাব্বির, অমি সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।