খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানায় অতিরিক্ত হরিণ নিয়ে বিপাকে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:০৯ এএম
রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানায় অতিরিক্ত হরিণ নিয়ে বিপাকে

রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানায় অতিরিক্ত হরিণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। ধারণ ক্ষমতার বেশি থাকায় ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি হরিণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছে। হরিণ বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, রংপুর চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬২টি হরিণ রয়েছে। এসব হরিণ দুটি বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। গাদাগাদি করে থাকায় ঠিকমতো বিচরণ করতে পারছে না। রয়েছে খাবার সংকট। দুই বছর আগে সরকার নির্ধারিত মূল্য হিসেবে দেড় লাখ টাকায় তিনটি হরিণ বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ। কিনেছিলেন চট্টগ্রাম জেলার চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী গহর সিরাজ জামিল। একটি পুরুষ ও দুটি মেয়ে হরিণ ছিল। এর পর কেউ হরিণ ক্রয় করতে আসেনি।

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে হরিণের দাম পুনর্নির্ধারণ করে দেয়। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণী বিক্রি করতে পারবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর আগে হরিণের দাম ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা কমিয়ে নতুন করে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় শুধু হরিণ ও ময়ুর বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। কারণ এ দুটির লালনপালন ও রক্ষণাবেক্ষণ অপেক্ষাকৃত সহজ। আগ্রহীদের এসব প্রাণী নারী-পুরুষ জোড়া ধরেই কিনতে হবে। বন্য প্রাণী পালতে গেলে বন বিভাগের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। যাদের কাছে সেই অনুমোদনপত্র বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট থাকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ শুধু তাদের কাছেই বিক্রি করতে পারেন। এই প্রাণীগুলো শুধু লালনপালনের জন্য দেওয়া হয়। পাচার বা খাওয়া যাবে না। সরকারি মূল্য কমানোর পর অনেকে হরিণ দেখেন; কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে কিনতে পারছেন না। বর্তমানে রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩১ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। সেগুলো হলো- বাঘ ও সিংহ দুটি করে, জলহস্তি ৩টি, ময়ুর ৮টি, হরিণ ৬২টি, অজগর সাপ দুটি, ইমু ৩টি, উটপাখি ১টি, বানর ৯টি, কেশওয়ারি ১টি, গাধা ৮টি, ঘোড়া ২টিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উল্লেখযোগ্য। দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে রংপুর একটি। চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আম্বর আলী তালুকদার বলেন, প্রদর্শনের জন্য ৩২টি হরিণই যথেষ্ট। অতিরিক্ত হরিণ হওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাড়ছে। তবে অনেকেই এসে হরিণ দেখে দাম শুনে যাচ্ছেন। এর পরে কেউ আসছেন না। তিনি বলেন, দুই বছর আগে তিনটি হরিণ বিক্রি করা হয়েছিল।

 

সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১:০২ পিএম
সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 
ফরিদপুরের সালথায় ঈদুল আজহার দিনে আকাশ মোল্লা (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় নামক একটি জিকা গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকাশ মোল্লা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত হারুন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকাশের মা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ফরিদপুর সদরের তালতলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গতকাল (৬ জুন) শুক্রবার  রাত ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হয় আকাশ। পরে শনিবার ঈদের দিন সালথা’র কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে একটি জিকা গাছের সাথে লাইলনের রশি পেঁচানো আকাশের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আকাশ মাদকাসক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ফরিদপুর রিহ্যাব সেন্টারে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিন মাস পূর্বে বের হয়। গতকাল রাতে ভাড়া বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হওয়ার পর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারুফ হাসান রাসেল বলেন, খবর পেয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১০:১১ এএম
ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুরের একটি মানবিক উদ্যোগে আবারও প্রমাণ হলো-একটি সামান্য সহায়তাও বদলে দিতে পারে একটি মানুষের জীবন। কুরবানির পবিত্র সময়কে সামনে রেখে ধলার মোড়ে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে এক স্বামীহারা নারীর জীবিকার একমাত্র উৎস ‘সকাল টি স্টোর’ নতুনভাবে নির্মাণ ও পূর্ণ মালপত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

দোকানটির টিনের চালা ছিল চৌচির আর ভেতরে ছিল না ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মালামাল। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ওই নারী। বিষয়টি জানতে পেরে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

উৎস-এর স্বেচ্ছাসেবীরা দোকানটি নতুনভাবে নির্মাণ করে, ছাউনির সমস্যা মেরামত করে এবং প্রয়োজনীয় চা-নাস্তার মালামাল সরবরাহ করে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার উপযোগী করে তোলে।
সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন,

“এই ঈদে আমরা শুধু পশু কোরবানি নয়, ত্যাগ ও ভালোবাসার কোরবানিকেই সবচেয়ে বড় করে দেখেছি। একজন মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারা-এটাই আমাদের ঈদের আনন্দ।”

‘সকাল টি স্টোর’ এখন শুধুই একটি দোকান নয়, বরং একজন নারীর আত্মমর্যাদায় ফিরে আসার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।