খুঁজুন
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৫ কার্তিক, ১৪৩২

রাতে সুনিদ্রার জন্য যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৪৫ পিএম
রাতে সুনিদ্রার জন্য যা করবেন

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকেলে বাড়িতে ফেরেন মুনতাহা। রাত ৮টার দিকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ করতে করতে ঘুমাতে প্রায়ই রাত ১টা বেজে যায়।

সকালে আবার ক্লাস ধরার চিন্তায় ঘুমাতে ঘুমাতে তার তিনটে। সকাল ৬টা বাজতে বিকট শব্দে অ্যালার্ম বাজল, তখন তার বুক ধড়ফড়ানি বেড়ে গেল! কোনোমতে চোখ দুটি খুলে অ্যালার্ম বন্ধ করার উপায় খুঁজলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল যদি আরেকটু ঘুম হতো। তাহলে সকালে শরীরটা ঝরঝরে লাগতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। যদি ঘুমানোর সার্কেল ঠিক না থাকে তাহলেই, অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে শরীরে হাজারো সমস্যা দেখা দেবে।

 

দেহের জৈবিক ঘড়িকে ঠিক রাখতে রাত ৮টায় ঘুমানোর এবং ভোর ৪টায় ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ ৮ ঘণ্টা। এতে সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

রাতে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম জরুরি কেন

দেহের জৈবিক ঘড়ি যদি প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলে, তা হলে লাভ শরীরেরই। রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে, ঘুম খুব ভালো হয়। গভীর হয়। ঘুমের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে, এর মধ্যে একটি হলো ‘র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট’ বা ‘আরইএম’। এই সময় চোখের পাতা দ্রুত কাঁপতে থাকে এবং ঘুম পাতলা হয়ে আসে। সঠিক সময় ঘুমালে এবং ঘুম থেকে উঠলে এই ‘আরইএম’ও ঠিকঠাক হয়। এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে, সারাদিন কাজের এনার্জি পাবেন না। ঘুমে চোখ ঢুলতে থাকবে। দিনে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম শরীরের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। আপনি যতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন, তার মধ্যে শরীরে পুনরুজ্জীবিত হয়। এর জেরে সকালে আপনি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ ফিল করেন এবং সারাদিন এনার্জিতে ভরপুর থাকেন।

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে দেহে কর্টিসল হরমোনের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা বাড়তে থাকে। এর জেরে শরীরে স্ট্রেস বাড়ে। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে মানসিক অবসাদও বাড়ে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। দেহের প্রতিটা হরমোনের নিজস্ব কাজ রয়েছে। কিন্তু তার জন্য দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। এই কাজটা ঘুমের মধ্যে ঘটে। যে কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেশনের মতো নানা হরমোনজনিত সমস্যা দেখা দেয়।

শুধু ডায়েট ও যোগব্যায়াম করে রোগা হওয়া যায় না। দেহের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বিপাক হারকে ঠিক রাখা দরকার। বিপাক ক্রিয়া যাতে ঠিকমতো কাজ করে তার জন্যও ঘুম দরকার। ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম মেটাবলিক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। হজমজনিত সমস্যা কমায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, ব্লোটিংয়ের সমস্যা দূর করে।

রাতে সুনিদ্রার জন্য যা করবেন

* ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফোন নিয়ে বিছানায় যাবেন না। চেষ্টা করুন ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময়কে ঠিক রাখতে। এতে দেহের জৈবিক ঘড়িও স্বাভাবিক থাকে।

* বিকেলের পর ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় (চা-কফি) এড়িয়ে চলুন। এমনকি ভারী খাবার খাবেন না, শরীরচর্চাও করবেন না। বই পড়তে পারেন, মেডিটেশন করতে পারেন। পাশাপাশি গানও শুনতে পারেন।

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

oplus_0

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন।

গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ ভাঙনে ওই এলাকার নদী পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিওব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ত্রিশ মিটার বাঁধ ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন এলাকা হতে প্রায় ৯০ মিটার দূরে রয়েছে এমপি ডাঙ্গী ও জাকেরেরশুরা হয়ে জেলা শহর ফরিদপুরের যাতায়াতের পাকাসড়ক, শতশত বসত বাড়ি ও সরকারী স্কুল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে নদীর তীর রক্ষা স্থায়ী বাঁধের সাথে আপদকালীন সময়ে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা বাঁধের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পাড়ের বসতি শেক মেতালেব (৫৩) ও মো. ইমারত হোসেন (২৫) জানায়, বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু সময় পর পর মাটির বড় বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।

তারা বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি, পাকা সড়ক সহ স্থানীয় শত শত বসত বাড়ি।

ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব।

ভাঙনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “ টিলারচর গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে আপদকালীন ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছিল। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন রোধে চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট মিলে ৩.১৫ কি.মি. জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর শহরের এডুকেশন জোন খ্যাত বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ফরিদপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসলে তার কাছে বাইতুল আমান এলাকাবাসী ও আশেপাশে কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবি তুলে ধরেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় ফরিদপুর কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানো দাবি কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাহিম, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সভাপতি মো. পার্থ আহমেদ, মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান,মোহাম্মদ রোমন চৌধুরী, মো. আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বাইতুল আমান কলেজগেটে বহু আগে থেকেই রেলের একটি স্টেশন রয়েছে, সেখানে আগে ট্রেন এসে থামতো, অজ্ঞাত কারণে এখন আর এখানে ট্রেন থামে না । এলাকাটি ফরিদপুরের মধ্যে এডুকেশন জোন নামে খ্যাত। যেখানে রয়েছে‌ ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের একেক জেলার একেক প্রান্ত থেকে তারা শিক্ষা লাভের জন্য কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অধিক ভাড়া দিয়ে তারা ফরিদপুর থেকে যাতায়াত করেন। অথচ বায়তুল আমান কলেজগেট স্টেশন থেকে কলেজের কোনোটির দূরত্ব ৪০০ মিটার, ৫০০ মিটার, ৬০০ মিটার। বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে যদি ট্রেন থামানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে তাদের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় তারা বাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বাইতুল আমান রেলগেট স্টেশনে পুর্বের মতো ট্রেন থামানো নির্দেশনার মতো একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে রেলের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন এলাকাবাসী ও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর।

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না। সরাসরি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন। কথা বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. মুজাহিদ বেগ।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের উচাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজাহিদ বেগ বলেন, ‘আমি যদি ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি আপনাদেরকে নিয়ে এই আসনটি এমনভাবে সাজাবো যাতে বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে তৈরি হয়।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের একটা যুবক ভাই বেকার থাকবে না। যুবক ভাইয়েরা আমার হৃদয়ে আছে। তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা, খেলাধুলা করার সুযোগ তৈরি করার জন্য সব করব।

হাফেজ কুব্বাত মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাগর বেগের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- হায়দার হোসেন, সোবাহান হোসেন, বাকী মাতুব্বর, সেলিম মাহমুদ, সহিদুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. রাসেল মোল্লা ও সৌরভ বিশ্বাস প্রমূখ।