খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১ পৌষ, ১৪৩২

রুনা লায়লার গান শুনতে না পেরে ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলেন নাবিলা

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
রুনা লায়লার গান শুনতে না পেরে ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলেন নাবিলা
রাজধানীর শেরাটন ঢাকার বলরুমে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা গানের প্রাণ’ শীর্ষক সংগীতানুষ্ঠান। সেখানে মঞ্চে উঠে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা যখন গাইতে শুরু করেন ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাব’, তখন পুরো মিলনায়তন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এক অনন্য আবেশ। গানের তালে তালে শ্রোতারা হাততালি দিয়ে ভাসিয়ে দেন শিল্পীকে।

উপস্থিত দর্শকদের ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা।

রুনা লায়লার লাইভ পরিবেশনা শুনে তিনি যেমন মুগ্ধ হয়েছেন, তেমনি আবেগে ভেসে গেছেন শৈশবের স্মৃতিতে। গানের শক্তি ও কণ্ঠের বিস্তৃতি যে আজও অটুট—তা নতুন করে অনুভব করেছেন তিনি। 

অনুষ্ঠান শেষে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নাবিলা লেখেন, ‘বাংলাদেশি হিসেবে আমরা গর্ব অনুভব করি, কারণ আমাদের একজন রুনা লায়লা আছেন। গতকাল (গত শুক্রবার) তাকে লাইভ গাইতে শুনে বুঝলাম, তার কণ্ঠে এখনো কী অসাধারণ শক্তি ও ব্যাপ্তি রয়েছে।

আল্লাহ যেন তাকে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন দান করেন।’ 

May be an image of one or more people and people smiling

রুনা লায়লার গান শুনতে শুনতেই নাবিলা ফিরে যান শৈশবের দিনগুলোতে—যখন পরিবারের সঙ্গে সৌদি আরবে বসবাস করতেন। সেই সময় বিনোদনের তেমন সুযোগ না থাকলেও, বাংলা গান ছিল তাঁদের পরিবারের নিত্যসঙ্গী।

নাবিলা লেখেন, ‘সৌদিতে থাকার সময় বিটিভি থেকে রেকর্ড করা রুনা লায়লার গানের অনুষ্ঠানের ভিডিও ক্যাসেটই ছিল আমাদের পরিবারের নিয়মিত বিনোদন।

’ 

তখন মাত্র তিন-চার বছরের শিশু নাবিলা। ছোটবেলা থেকেই রুনা লায়লার গান শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন তিনি। ধীরে ধীরে তার প্রিয় গানের তালিকায় জায়গা করে নেয় ‘শিল্পী আমি শিল্পী’ ও ‘বন্ধু তিন দিন’। এর মধ্যে ‘বন্ধু তিন দিন’ গানটি ছিল সবচেয়ে প্রিয়।

No photo description available.

এই গান ঘিরে এক মজার ও আবেগঘন স্মৃতির কথাও তুলে ধরেছেন নাবিলা।

তিনি লেখেন, “একবার এক আত্মীয়ের বাসায় ভিসিআরে ‘বন্ধু তিন দিন’ গানটি কয় হাজার বার যে শুনছিলাম আর নাচছিলাম। অনেকক্ষণ ধরে গান চলার কারণে ভিসিআর গরম হয়ে যায়। আন্টি বাধ্য হয়ে ভিসিআর বন্ধ করে দেন। তারপর ‘বন্ধু তিন দিন’ শুনতে পারছিলাম না—তারপর আমার সে কী কান্না, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলাম। সেই কান্নার কথা এখনো মনে আছে।” 

শৈশবের সেই স্মৃতির কথা তুলে ধরে নাবিলা আরো লেখেন, রুনা লায়লাকে যখনই তিনি দেখেন বা তাঁর গান শোনেন, চোখের সামনে ভেসে ওঠে ছোটবেলার সেই দিনগুলো—নিষ্পাপ আবেগ, গান আর ভালোবাসায় ভরা সময়।

কিংবদন্তি শিল্পীর কণ্ঠ যে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ছুঁয়ে গেছে, নাবিলার এই স্মৃতিই যেন তার জীবন্ত প্রমাণ।

মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৩ পিএম
মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মহান বিজয় দিবসে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চরভদ্রাসন সরকারী কলেজ মাঠে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল উদ্দিন।

সভার শুরুতে উপজেলার প্রায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ইউএনও জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যায়েদ হোছাইন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।

মধুখালীতে গড়াই সেতুর নবনির্মিত ডিজিটাল টোল ঘরের উদ্বোধন

মো. ইনামুল খন্দকার, মধুখালী:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:১৩ পিএম
মধুখালীতে গড়াই সেতুর নবনির্মিত ডিজিটাল টোল ঘরের উদ্বোধন

ফরিদপুরের মধুখালীর কামারখালীতে গড়াই সেতুর নবনির্মিত টোল ঘরের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নবনির্মিত ডিজিটাল এ টোল ঘর উদ্বোধন করেন সড়ক ও জনপথের (সওজ) গোপালগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাদিকুল ইসলাম।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- টোলের ইজাদার প্রতিষ্ঠান ও লোকমান হোসেন খান টেডার্সের স্বত্বাধিকার এবং পান্না গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলহাজ্ব লোকমান হোসেন খান।

অন্যান্যর মধ্যে এাময় উপস্থিত ছিলেন- পান্না গ্রুপের পরিচালক আরিয়ান খান, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান, পান্না গ্রুপের জিএম (প্রশাসন) শেখ মো. আবুল কালাম, মধুখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সতেজ, টোলের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান সহ সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এসময় সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম বলেন, টোল ঘরের কারণে অতিরিক্ত যানজট যেন সৃষ্টি না হয়, এতে জনগণের দুর্ভোগ হয়। সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখার জন্য ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেন।

একই সময় মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, টোল ঘর এলাকার যেকোনো প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

নগরকান্দায় শীতার্তদের মাঝে ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরণ

এহসানুল হক, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৭ পিএম
নগরকান্দায় শীতার্তদের মাঝে ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরণ

ফরিদপুরের নগরকান্দার শীতার্ত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে নগরকান্দা ব্লাড ডোনার্স ক্লাব।  

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টার দিকে নগরকান্দা উপজেলা সদরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শীতবস্ত্র হিসেবে ৬৫ টি লেপ বিতরণ করা  হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব আলী মিয়া, নগরকান্দা প্রেসক্লাবের সভাপতি শওকত আলী শরীফ।

নগরকান্দা ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সফলের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি এহসানুল হকের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন- নগরকান্দা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শিরিন সুলতানা, নগরকান্দা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আলী আকবর শরীফ আরমান, ডাচ বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা রাজিব কর্মকার, নগরকান্দা ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, জামিরুল ইসলাম সজল, আহসানুজ্জামান, ফয়সাল হোসেন, পার্থ স্বারথি সাহা, দ্বীন ইসলাম প্রমুখ।

শীতবস্ত্র পেয়ে উপকৃতরা নগরকান্দা ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।