খুঁজুন
রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ, ১৪৩২

লোভে পড়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে বেশি সময় খেলা চালিয়েছিলেন রেফারি

খেলা ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৬ পিএম
লোভে পড়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে বেশি সময় খেলা চালিয়েছিলেন রেফারি

পিয়েরলুইজি কোলিনা—ফুটবলপ্রেমীদের কাছে নামটা চেনা চেনাই লাগার কথা। তাঁর চেহারাটাও হয়তো অনেকের মনে গেঁথে আছে। মুণ্ডিত মস্তক আর নীল চোখের কোলিনা আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০ বছর রেফারিং করেছেন। অসাধারণ রেফারি হিসেবে বেশ সুনাম ছিল তাঁর। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩—টানা ছয় বছর ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাস্টিকসের ‘বিশ্বসেরা রেফারির’ খেতাব জিতেছেন।নিখুঁত আর নির্ভুল রেফারিংয়ের জন্য যেমন সুনাম ছিল কোলিনার, তেমনি তাঁকে সবাই চিনতেন কঠোর এক রেফারি হিসেবেও। পান থেকে চুন খসলেই খেলোয়াড়দের হলুদ কার্ডের শাস্তি দিতেন। সেই কোলিনাই কিনা ২০০২ বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করতে গিয়ে লোভে পড়ে একটা ইচ্ছাকৃত ভুল করেছিলেন!

ইচ্ছাকৃত সেই ভুলের কথা সাবেক ইতালিয়ান রেফারি সম্প্রতি বলেছেন লা রিপাবলিকা পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। তবে কোলিনার সেই ইচ্ছাকৃত ভুলে ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি। ২০০২ বিশ্বকাপের একটি স্মারক সংগ্রহের লোভে পড়ে ফাইনাল ম্যাচ সমাপ্তির বাঁশি কয়েক সেকেন্ড পর বাজিয়েছিলেন কোলিনা।

জার্মানিকে ২–০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা সেই ম্যাচ নিয়ে কোলিনা বলেছেন, ‘আমার কাছে এমন একটি সংগ্রহ আছে, যেটা শুনলে ফুটবল–জাদুঘর হিংসা করবে।’

তাঁর সেই সংগ্রহ ২০০২ বিশ্বকাপ ফাইনালের বল। লম্বা রেফারিং ক্যারিয়ারে অনেক স্মারকই হয়তো জমিয়েছেন কোলিনা; কিন্তু এটা যে তাঁর কাছে সবচেয়ে মূল্যবান, সেটা কোলিনার কথায়ই স্পষ্ট।

বলটি যেন তিনি সহজেই নিজের আয়ত্তে নিতে পারেন, এর জন্য অপেক্ষা করতে গিয়েই দেরিতে খেলা সমাপ্তির বাঁশি বাজাতে হয়েছিল কোলিনাকে, ‘আমার কাছে ২০০২ বিশ্বকাপ ফাইনালের বলটি আছে। সেদিন আমি হয়তো ১৩ বা ১৪ সেকেন্ড পর (শেষ) বাঁশি বাজিয়েছি, এটা ফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি। আমি শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছি, বলটি যেন আমার হাতে আসে আর আমি সেটা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারি।’

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে বলটি নিয়ে কী হয়েছিল, সেই বর্ণনাও দিয়েছেন কোলিনা, ‘পুরস্কার বিতরণীতে আমি পদক আনতে যাওয়ার আগে সংগঠকদের একজন বলেছিল, “পিয়েরলুইজি বলটি আমার কাছে রেখে যাও, পরে নিয়ে যেও।” আমি বলেছিলাম, কোনো সুযোগ নেই, বলটি আমার কাছেই থাকুক। অনুষ্ঠানের ছবিগুলোতে দেখবেন, সারাক্ষণই বলটি আমি হাতে রেখেছিলাম।”

Source : Prothom Alo

ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় পুলিশের জব্দ বাসে আগুন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ১১:০২ এএম
ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় পুলিশের জব্দ বাসে আগুন

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানায় সড়ক দুর্ঘটনায় জব্দ করা একটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি হাইওয়ে থানা পুলিশ।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের করিমপুর হাইওয়ে থানা সংলগ্ন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস গিয়ে রাত ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‌‘গত ঈদুল আজাহার আগে আরএসএফ পরিবহনের বাসটি মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। এরপর বাসটি জব্দ করে থানার দেড়শ গজ পশ্চিমে সড়কের পাশে রাখা ছিল। মালিকপক্ষ লোক রেখে বাসটি দেখাশুনা করত। শনিবার দুপুর থেকে তারাও ছিলেন না। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানতে পারি বাসটিতে আগুন লেগেছে। কীভাবে আগুনের সুত্রপাত বা দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে কিনা জানি না।’

ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বরণে ফরিদপুরে ম্যারাথন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:৩৮ পিএম
ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বরণে ফরিদপুরে ম্যারাথন

ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্বরণে ফরিদপুরে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ‌
ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া অফিসের যৌথ উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত ‌ জাহান, জেলা শিক্ষা অফিসার বিষ্ণুপদ ঘোষাল, জেলা ক্রীড়া অফিসার ‌ আল আমিন খন্দকার, এন সি পির ১ নং যুগ্ন সমন্বয়ক এস এম জাহিদ।

ম্যারাথনটি ‌ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ‌শহর প্রদক্ষিণ করে ‌ রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

ম্যারাথনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাবেক খেলোয়াড় বৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল

oppo_0

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে মৌন মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‌ এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জেলা বিএনপি’র ‌ সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন- ‌যুগ্ন আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোজাম্মেল হোসেন মিঠু প্রমূখ।

জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ফরিদপুর থেকে নিহত ছয় জন শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। বক্তারা বলেন, দেশের এই অবস্থায় জরুরী নির্বাচন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। একটা নির্বাচিত সরকারের হাতে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দেশের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দল পরিচালিত হবে। আর তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান ‌।

এছাড়া দুপুরে ‌শহরের চকবাজার মসজিদে গণ অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদদের প্রতি দোয়া ও মোনাজাত‌ অনুষ্ঠিত হয়।