খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮ আশ্বিন, ১৪৩২

সালথায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৪:৩০ পিএম
সালথায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফরিদপুরের সালথা উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলন ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।
রবিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলা মাল্টিপারপাস হল রুমে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলার সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ন-আহব্বায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আমিনুর রহমান মুশা, সদস্য মুরাদ হোসেন মুরাদ, ওলামা দল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মাসুম বিল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সালথা উপজেলা বিএনপির সদ্য বিদায়ী সাবেক সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদ আলী সিদ্দিকী খসরু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শাহিন মাতুব্বর, সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান শাহিন, হাজী রাশেদ মাতুব্বারসহ বিএনপি ও অংগ-সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
সম্মেলন শেষে জেলা নেতারা জানান, খুব শিগগিরই উপজেলা  বিএনপির ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনায় আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ফরিদপুর জেলা বিএনপিসহ প্রতিটি উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সে অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জেলা নেতারা আরো বলেন, দীর্ঘদিন যারা দল করতে গিয়ে কারা নির্যাতিত হয়েছেন। দলের দুঃসময়ে যারা দলের পাশে ছিলেন আওয়ামীলীগের সাথে কোন আতাত করে চলেননি তাদেরকে কমিটিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ফরিদপুরে শত বছরের প্রাচীন মেলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:৫২ পিএম
ফরিদপুরে শত বছরের প্রাচীন মেলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ 

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাদের বাদ দিয়ে প্রধান অতিথি করা হয়েছে বিগত আমলে টাকার কুমির বনে যাওয়া শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে। আর বিশেষ অতিথি করা হয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরেক নেতাকে৷ এমনকি অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাননি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানও। এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়িতে ২৬ সেপ্টেম্বর আয়োজন করা হয়েছে এই নৌকা বাইচ ও মেলার। আর ওই অনুষ্ঠান সফল করতে চলছে ব্যাপক আয়োজন। ইতোমধ্যে এ উপলক্ষে উপজেলাজুড়ে সাঁটানো হয়েছে রঙিন পোস্টার। ওই পোস্টার প্রধান অতিথি হিসেবে নাম লেখা রয়েছে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাবেক সভাপতি আজিজুল আকিল ডেভিড শিকদারের। আর বিশেষ অতিথি করা হয়েছে খন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তি। অবশ্য পোস্টারে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ না করে তাদের ব্যবসায়িক পরিচিতি উল্লেখ করা হয়েছে। আর ওই নৌকা বাইচ ও মেলার উদ্বোধক হিসেবে রয়েছে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরীর নাম।

জানা গেছে, আজিজুল আকিল ডেভিড শিকদার ছাত্রাবস্থায় বুয়েটে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদারের চাচাতো ভাই। বিয়ে করেছেন বরিশাল-১ থেকে পাঁচবার নির্বাচিত এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর ফুফাতো বোনকে। মূলতঃ সেই সুবাদেই তিনি শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠজন হয়ে উঠেন এবং সালমান এফ রহমান ও ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম আহমেদ খানের আশীর্বাদ পেয়ে গত ১৭ বছর বড় বড় ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেন। সম্প্রতি ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডেভিড শিকদারের টাকার কুমির হয়ে বনে যাওয়ার কাহিনী নিয়ে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুপস্থিতিতে তিনি এই টাকার জোড়েই নিজের রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করে এলাকায় তৎপরতা শুরু করতে যাচ্ছেন। আর সেখানে কিছু বিএনপি ঘরোনার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেও তিনি হাত করে ফেলেছেন।

বোয়ালমারী সরকারি ডিগ্রী কলেজের ছাত্রদলের সাবেক এজিএস ও জিএস এবং উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো: রোকনুজ্জামান মিয়া বকুল বলেন, তেলজুড়ির নৌকাবাইচ ও মেলার যেই মাইকিং শুনছি, সেখানে দেখতে পাচ্ছি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডেভিড শিকদারকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত শিকদারের চাচাতো ভাই ডেভিড শিকদার গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, আয়োজক কমিটির সভাপতি রইসুল ইসলাম পলাশ এর আগে উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন মুসা মিয়ার নির্বাচন করেছেন। এখন তাদের টাকা দিয়ে ডেভিড শিকদার ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে কার্যত আওয়ামী লীগকেই পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বোয়ালমারী উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, তারা যেনো এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও ওই মেলা কারা মেলাচ্ছে, কিভাবে মেলাচ্ছে তার কিছুই জানিনা। শুধু এটুকু জেনেছি যে, সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দিয়ে ওই অনুষ্ঠানের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পোস্টারে একই পরিবারের দুই ভাইয়ের নাম আছে। ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে আমার নাম পোস্টারে থাকাতো দুরের কথা, দাওয়াতও পাই নাই। এটা খুবই দুঃখজনক। তারা শেখর ইউনিয়নে একটা রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করছে। আমিতো কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা দলের চেয়ারম্যান না। অথচ একজন চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এবিষয়ে অবগত না।

তিনি বলেন, গত বছরেও মেলায় অনেক অনিয়ম হয়েছে। সকলেই জানেন কিভাবে বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। তবে এসব নিয়ে বলার কোন জায়গা নেই।

এ বিষয়ে তেলজুড়ী নৌকা বাইচ ও মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি রইসুল ইসলাম পলাশ ১৯ বছর বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, এটা আমাদের দুইশো বছরের ঐতিহ্যবাহী মেলা। এর আগে যখন আওয়ামী লীগের আমলেও মেলা হয়েছে তখনো আমি সভাপতিত্ব করছি। আমরাই নেতৃত্ব দিয়েছি। এখন আমরা ক্ষমতায় আসতে পারলাম না, তার আগেই যদি এলাকার লোকজনকে বাদ দিয়ে মেলা করি সেটা কেমন দেখায়। এজন্যই আমরা এলাকার সকলকে সাথে নিয়ে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমনকি কোন রাজনীতিবিদকেও রাখিনি। তাছাড়া পোস্টারে আমাদের কারো রাজনৈতিক পরিচয় বা পদপদবিও উল্লেখ করা হয় নাই।

রইসুল ইসলাম পলাশ বলেন, আগামী শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর এ নৌকা বাইচের পাশাপাশি গ্রামীণ মেলায় ইলিশ মাছ, গ্যান্ডারি কুশর, আমিত্তি জাতীয় মিষ্টি সহ সাধারণ গ্রাম্য মেলার মতো নানান পণ্য ও শিশুদের মনোরঞ্জনের বিভিন্ন সমাহার হবে মেলায়। আমরা আশা করছি সবাইকে সাথে নিয়ে এলাকার ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই মেলা শেষ করতে পারবো।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আজিজুল আকিল ডেভিড শিকদারের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাঙ্গায় মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:৫৬ পিএম
ভাঙ্গায় মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত

ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার দুটি ইউনিয়ন আলগী ও হামিরদী পাশের নগরকান্দা-সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে জুড়ে দেয়ার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুটি মহাসড়ক ও দুটি রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছে আন্দোলনকারীরা।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভাঙ্গার দুটি ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহম্মদ কামরুল হাসান মোল্যার সঙ্গে আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী দুই-তিনজন নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন ভাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান। ইউএনও কয়েকজন নেতৃবৃন্দকে তার কার্যালয়ে আসতে বলেন। এক আন্দোলনকারী জানান, আমরা প্রথমে ইউএনওর প্রস্তাবে রাজি হইনি। কেননা আমাদের ঘারে একাধিক মামলা ঝুলছে। কাকে কোন মামলায় ঢুকিয়ে দেয় এ নিয়ে তাদের মধ্যে মধ্যে আতঙ্ক ছিল। এ ছাড়া ভাঙচুরের আগেই দ্রুত বিচার মামলা হয়েছে (১৪ সেপ্টেম্বর) , শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিককে। তাকে এখনও মুক্তি দেয়া হয়নি। আন্দোলকারীরা উপজেলায় গেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না এ মর্মে তারা তাদের শঙ্কার কথা ইউএনওকে জানান। এর প্রেক্ষিতে ইউএনও আন্দোলনকারীদের শতভাগ নিশ্চয়তা দেন তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না।

এ আশ্বাসের পর ১৮-২০ আন্দোলকারী সন্ধ্যার পর ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনার এক পর্যায়ে যোগ দেন ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। আলোচনার বিবরণ দিয়ে ওই সভায় উপস্থিত আন্দোলকারী হামিরদী ইউনিয়নের মাঝিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, ইউএনও আমাদের বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। হাইকোর্ট ১০ দিনের সময় দিয়ে নির্বাচন কমিশনারকে রুল জারি করেছেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এ রুলের জবাব দেয়ার কথা। ইউএনও তাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেহেতু বিষয়টি আদালতে চলে গেছে সে অবস্থায় আদালতের রায় পর্যন্ত মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান।

আন্দোলনকারীরা মামলার বিষয় তুলে ধরে ইউএনওর কাছে নিরীহ কাউকে হয়রানী না করার নিশ্চয়তা চান। পাশাপাশি তারা বলেন, তবে যারা ভাঙচুর সহিংসতায় অংশ নিয়েছে ভিডিও ফুটেজ ধরে সুনির্দিষ্টভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে তাদের কোন আপত্তি নেই। ইউএনও তাদের প্রস্তাবে সম্মত হন এবং এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দেখা করানোর প্রস্তাব দিলে আন্দোলনকারীরা সম্মত হন।

ইউএনও আন্দোলনকারীদের ফরিদপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসার জন্য গোল্ডেন লাইন পরিবহনের দুটি বাস বরাদ্দ দেন। সেই বাসে চড়ে শতাধিক আন্দোলনকারী রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যাী সঙ্গে আলোচনা করেন। দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ আলোচনা চলে।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুর জলিল ও এক সেনা কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনার পর এ সভার বিবরণ দিয়ে ভাঙ্গা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক রবীন সোহেল বলেন, জেলা প্রশাসক আমাদের বলেছেন আপনাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দেইনি। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতিকারী ঢুকে সহিংসতা ঘটিয়েছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তবে এ সংহিতায় যারা জড়িত নন তাদের কোন হয়রানী করা হবে না। বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন। রায় আমাদের পক্ষে আসবে বলে আশা করছি। রায় না হওয়া পর্যন্ত আপনরা আন্দোলন স্থগিত করুন এবং নির্বিঘ্নে জীবন-যাপন করুন।

রবীন সোহেল আরও বলেন, জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্টের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত চলমান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করছি।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক বলেন, ওই এলাকার জনগণের পালস আমি ধরতে পেরেছি। আমরা সেভাবেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছি। আন্দোলনকারীদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থোকে বিরত রাখতে। তিনি আরও বলেন, এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) যারা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, ভাঙ্গা থানা ও ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা আদেশ কেন অবৈধ হবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট এ রুলে জবাব দেয়ার জন্য ১০ দিন সময় বেধে দেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহবুবুর রহমানসহ পাঁচজন হাইকোর্টে এ আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

ভাঙ্গায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে তরুণের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:৫১ পিএম
ভাঙ্গায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে তরুণের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে পিয়াস (১৬) নামের এক তরুণের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধা’র করেছে পুলিশ।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে ভাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চন্ডিদাসদি গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত পিয়াস শেখ ওই গ্রামের ফেরদাউস শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি পিয়াস। রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে স্থানীয়রা পাশের একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সেখানে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

মরদেহের পাশে একটি বাঁশের ধর্ণায় গামছা ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পাশে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারও পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, চেয়ার ব্যবহার করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, পিয়াস মাদকে আসক্ত ছিল এবং মাঝে মাঝে ঘুমের ওষুধসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবন করত।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”