খুঁজুন
বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২০ কার্তিক, ১৪৩২

২০৩৪ বিশ্বকাপে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:০০ এএম
২০৩৪ বিশ্বকাপে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ

গত বিশ্বকাপে কাতারে অ্যালকোহল পান নিষিদ্ধ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। পরে আসর শুরুর দুদিন আগে নির্ধারিত কিছু জায়গায় অনুমতি দিয়েছিল তারা।

তবে সৌদি আরব হাঁটছে উল্টো পথে। ২০৩৪ বিশ্বকাপে অ্যালকোহল পানের সুযোগ থাকবে না দেশটিতে।

 

যুক্তরাজ্যে সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বান্দার আল সাউদ জানান দেশটির সংস্কৃতি ও রীতিকে সম্মান দেখাতে হবে দর্শক-সমর্থকদের। তাই অ্যালকোহল থাকবে না স্টেডিয়ামের আশেপাশে। এমনকি কোনো হোটেলেও বিক্রি করা হবে না। কারণ এই দেশটিতে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। যদিও গত বছর অমুসলিম কূটনীতিকদের জন্য মদের দোকান খোলা হয়। তবে স্থানীয়দের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে মেনে চলতে হয় এই নিষেধাজ্ঞা।

স্থানীয়দের মতো মুসলিপ্রধান এই দেশটিতে নিষেধাজ্ঞা মানতে হবে ২০৩৪ বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শকরাও। এলবিসিকে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের ভাবনা হলো, অ্যালকোহলের অনুমতি আমরা দেব না। অ্যালকোহল ছাড়াও অনেক মজা হতে পারে। অ্যালকোহল পান করা তো শতভাগ জরুরি নয়। চলে যাওয়ার পর যদি আপনি পান করতে চান, সেটা আপনার ব্যাপার। তবে আমরা এটার অনুমতি দেব না বলেই আপাতত ঠিক করেছি। ’

গত বছর চাপের মুখে কাতার কিছু জায়গায় অ্যালকোহলের অনুমতি দিলেও সৌদি সেটা করবে না বলে জানিয়েছেন বান্দার আল সাউদ। বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব দেশেরই নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। আমাদের সংস্কৃতির আওতার মধ্যে সবকিছুকে আমরা স্বাগত জানাব। তবে অন্যদের জন্য তো আমরা আমাদের সংস্কৃতি বদলাতে পারব না। ’

গত ডিসেম্বরে ঘোষণা করা হয় ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজক দেশের নাম। সৌদি আরব ছাড়া এই বিশ্বকাপ আয়োজনের লড়াইয়ে ছিল না কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী।

ফরিদপুরে ৩৬ বছর ধরে চলছে টিনের ঘরে পাঠদান, সরকারি হলেও জুটেনি ভবন

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
ফরিদপুরে ৩৬ বছর ধরে চলছে টিনের ঘরে পাঠদান, সরকারি হলেও জুটেনি ভবন

ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাজনডাঙ্গা এলাকায় ১৯৮৯ সালে ৮২টি ঘর বসতি নিয়ে গঠিত হয় গুচ্ছগ্রাম। যে গুচ্ছগ্রামটি ১৯৯০ সালে উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এই গুচ্ছগ্রামের অবহেলিত ও শিক্ষাবঞ্চিত কোমলমতি ছেলেমেয়েদের শিক্ষামুখী করতে ১৯৮৯ সালে গড়ে তোলা হয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যার নাম রাখা হয় ‘ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এরপর এ বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। তবুও বিদ্যালয়টিতে মিলেনি ভবন, টিনের জরাজীর্ণ ঘরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার মধ্যে গুচ্ছগ্রামের মানুষের জন্য একমাত্র বিদ্যাপীঠ ‘১১৯ নং ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।’ ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই টিনের ঘর দিয়ে শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম। এখনো ওই ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের ঘরগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন না থাকায় পূর্বের টিনের ঘরেই ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নেই, তাইতো কোমলমতি শিশুরা সবসময় আতঙ্ক আর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনগ্রসর গুচ্ছগ্রামের কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কথা মাথায় রেখে ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও টিনের জরাজীর্ণ ঘরে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে পাঠদান। বৃষ্টি আসলে চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। কখনো-বা ভাঙাচোরা জিনিসপত্র মাথায় এসে পড়ে শিক্ষার্থীদের। ভয়ে শিক্ষার্থীরা আসতে চায়না স্কুলে। তাইতো কমে গেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আশেপাশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত একমাত্র এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টিতে একসময় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করলেও জরাজীর্ণ টিনের ঘর আর সাথে ভবন না থাকায় বর্তমানে মাত্র শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। নানা কারণে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে নিয়মিত।

অভিভাবক হানিফ হোসেন জানান, ‘ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ঘরের কারণে আমাদের ছেলে মেয়েদের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে হচ্ছে। সরকার যদি নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও কমে যাবে।’

ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চঞ্চলা রানী সরকার বলেন, ‘ভবন সংকটের কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ব্যাহত হচ্ছে। ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কাজ হচ্ছে না। এ ছাড়া ২০২৪ সালে সরকার থেকে একটি ভবন বরাদ্দ হলেও অদৃশ্য কারণে সেটা বাতিল হয়ে গেছে। অতিশ্রীঘ্রই বিদ্যালয়টিতে ভবন নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে গেছে।’

ফরিদপুর সদর সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘ওই স্কুলের ভবন নিয়ে বারবার উপর মহলে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু, এখনও ভবন হয়নি। তবে, এর আগে গত বছর ওই স্কুলের জন্য একটি ভবন পাশ হলেও ঠিকাদার কাজ না করায় ভবনটি অন্য জায়গায় দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত এক মাস আগে ওই স্কুলের ভবনের জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’

ফরিদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘প্রচুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে, ওই স্কুলের ভবন এখনও না হওয়া দুঃখজনক। আমাদের পিডিপি-০৪ ফাইল আগামী ২০২৬ সালের জুলাইয়ে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। তখন আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই স্কুলের ভবন নির্মাণে ব্যবস্থা নিব।’

ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:২২ পিএম
ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে মিলি আক্তার (৩৩) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে মারা যান তিনি। মিলি আক্তার ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী আনোয়ার কাজীর স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও মেয়ের মা।

রেলওয়ে পুলিশের ভাঙ্গা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. সাকিব আকন্দ বলেন, ‘খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে।’

ফরিদপুরে ভীমরুলের কামড়ে মেয়ের মৃত্যু, মা হাসপাতালে

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:১৯ পিএম
ফরিদপুরে ভীমরুলের কামড়ে মেয়ের মৃত্যু, মা হাসপাতালে

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ভীমরুলের কামড়ে নুসরাত জাহান সাবিহা (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে এ ঘটনায় ভীমরুলের অন্তত ১৫ টি কামড়ে তার মা সুমনা বেগম আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

সোমবার (০৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দিনের এক তলা বাড়ির ছাদে কবুতরের বাসা ছিল। ওই কবুতরের বাসার সাথে ভীমরুল চাক বাঁধে। নুসরাত ছাদে উঠে একটি গাছের ডাল ধরে টান দিলে ভীমরুলের দল চাক থেকে বের হয়ে ৫০-৬০টি কামড় দেয়। শিশুটির চিৎকার শুনে নুসরাতের মা তাকে উদ্ধার করতে গেলে ভীমরুল নুসরাতের মা সুমনাকেও ১৫ টির মতো কামড় দেয়। পরে আহত দুই জনকে সাথে সাথে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নুসরাত মারা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভিমরুলের কামড়ে আহত চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিনগত রাত ১০টার দিকে নুসরাতের মৃত্যু হয়। ভিমরুলের কামড়ে নিহত নুসরাতের মা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নুসরাত তিন ভাইবোনের মধ্যে মেজো ছিল।