খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ, ১৪৩২

শিক্ষার সঙ্গী হবে এআই, ফরিদপুর থেকে শুরু এআই প্রকৌশলের কর্মসূচি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৬ পিএম
শিক্ষার সঙ্গী হবে এআই, ফরিদপুর থেকে শুরু  এআই প্রকৌশলের কর্মসূচি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছে এআই প্রকৌশল নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আর প্রথমদিনেই কম্পিউটার কিংবা স্মার্ট ফোনে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে  তথ্যের সমুদ্র আবিস্কারের অবারিত সুযোগ সম্বলিত এই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে পেরে শিক্ষার্থীদের মাঝেও দারুণ আগ্রহ ও উৎসাহ সৃষ্টি হয়।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফরিদপুরের হালিমা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে এর উদ্বোধন করেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি ল্যাপটপ উপহার দেন। এসময় এআই প্রকৌশলের ফাউন্ডার হাসান আরিফ ও দেওয়ান আদনান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, আগামী প্রজন্ম যাতে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো ভালভাবে রপ্ত করতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এমনভাবে সকল স্কুল-কলেজে এটি শেখাতে পারলে তারা সকলেই উপকৃত হবে।
এআই প্রকৌশলের ফাউন্ডার দেওয়ান আদনান এআই ব্যবহারের কৌশল তথাচ্যাট জিপিটি কিংবা জেমিনির মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কিভাবে প্রশ্ন করলে ভালো উত্তর মিলবে, কি কি কাজে করা যাবে এর ব্যবহার আর এর উপকারি ও ক্ষতির দিকগুলোই বা কি সেসব নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেন।
এআই ব্যবহারের উপকারি দিকের পাশাপাশি নেতিবাচক দিকগুলোও স্মরণ করিয়ে দেওয়ান আদনান এসময় তাদের বলেন, এআই ব্যবহার করে যাই করা হবে, সবই রেকর্ড থাকবে। তাই এটি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি।
তিনি এসময় শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চান- এআই এর কাছে কি ধরনের প্রশ্ন করতে চাও তোমরা? শিক্ষার্থীদের একটি করে প্রশ্ন করতে বললে তাদের কেউ জানতে চায়, ‘পৃথিবীতে এতো দেশভাগ কেনো?’ আরেকজন প্রশ্ন করে, ‘নিউটন গাছ থেকে আপেল পড়তে দেখে কি আবিষ্কার করেছিলেন?’
শুধুমাত্র প্রশ্নোত্তরই নয়, এআই ব্যবহার করে কিভাবে ইংরেজি সহ ভিনদেশী ভাষা শেখা যায় সে বিষয়ও  তুলে ধরা হয় তাদের সামনে।
সুমাইয়া নামে এক ছাত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের শিক্ষা অর্জনের জন্য ব্যাপক সহায়ক একটি অনুষঙ্গ হয়ে উঠতে পারে যদি আমরা তাকে কিভাবে প্রশ্ন করলে ভালো উত্তর পেতে পারি তা রপ্ত করতে পারি।’
পরে দুপুরে ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুরুপ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এআই প্রকৌশলের ফাউন্ডার হাসান আরিফ বলেন, আগামীর বিশ্ব হবে প্রযুক্তি নির্ভর। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা জরুরি। সে উদ্দেশ্য থেকেই আমরা এই চ্যারিটেবল প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। ফরিদপুর থেকে এই কর্মসূচি শুরু হলো আজ।

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা

এহসানুল হক মিয়া, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১:০৮ পিএম
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা। বহিরাগত স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে চলছে জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সেবা। বিভিন্ন অনিয়মে জর্জরিত হাসপাতালে কোনভাবেই ফিরছে না শৃঙ্খলা। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, গর্ভবতী নারী শিশুসহ বিভিন্ন ধরনের মুমূর্ষু রোগী জরুরী সেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও মিলছে দায়সারা চিকিৎসা সেবা। এমনকি বহিরাগত লোক দিয়ে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

উপজেলার শশা গ্রাম থেকে জাহিদ হাসান নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান , আমার ছেলে জুনায়েদ (৬ মাস) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হলে ২৩ জুলাই রাত ১০ টার দিকে আমার স্ত্রী নগরকান্দা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরী বিভাগে তখন কোন চিকিৎসক ছিলো না। একটা ছেলে বসা ছিলো সে চিকিৎসক নয় তারপরও ওষুধ লিখে দেয়েছে।

জানা গেছে, চিকিৎসক সংকটের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। সেই সুযোগে ঘোলাটে পরিবেশে দায়সারা চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকগণ। বহিরাগত দুই জন স্বাস্থ্য সহকারীই চালাচ্ছে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বহিরাগত দুই জন স্বাস্থ্য সহকারী জরুরী বিভাগে সব সময় ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে। তবে ফ্রি সার্ভিসের আড়ালে তারা জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এবিষয়ে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার অভিজিৎ সাহা জানান, সালাউদ্দিন নামে একটি ছেলে জরুরী বিভাগে ডিউটিতে থাকে , সে মূলত চিকিৎসকের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। কোন রোগী আসলে তার চিকিৎসা দেওয়ার কথা নয়, ডিউটিরত চিকিৎসককে ডেকে দেওয়ার কথা।

নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সরকার জানান, তারা (বহিরাগত স্বাস্থ্য সহকারী) চিকিৎসকদের সহযোগিতা করার জন্য থাকে, তবে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা নয়। তিনি আরোও বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে।

এদিকে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. দবির উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে এক ভুক্তভোগী আমার নিকট অভিযোগ করেছে। আমি হাসপাতাল প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‘মেঘলা আকাশের নিচে আমি’

মাহমুদুল হাসান
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম
‘মেঘলা আকাশের নিচে আমি’

এমন মেঘলা আকাশ আমি বহুবার দেখেছি। ছায়া ঘেরা, রঙহীন, নিঃশব্দ—যেন নিজের মধ্যে ডুবে থাকা কোনো বিষণ্ণ মানুষ। জানি না কেন, যখনই এমন আকাশ দেখি, মনে হয় ওটা আমারই প্রতিচ্ছবি। আমি যেমন হাসি লুকিয়ে রাখি মনের অন্ধকারে, তেমনি সে আকাশও সূর্যকে ঢেকে রাখে বুকের গোপন কষ্টে। যেন আমরা দুজন—আমি আর মেঘলা আকাশ—একই রকমের নিরবতা নিয়ে বেঁচে আছি।

ছোটবেলাতেই মেঘলাকে আপন করে নিয়েছিলাম। কারণ আমি কখনোই রঙিন সকাল কিংবা রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরের মানুষ ছিলাম না। আমার ভেতরেও বরাবরই একটা ঘন সাদা-কালো ভাব, যেটা বৃষ্টি নামার আগে আকাশে দেখা যায়। আশেপাশের মানুষজন যখন ঝলমলে দিনকে ভালোবেসে গান গায়, তখন আমি একা বসে থাকি জানালার ধারে—মেঘের দিকে তাকিয়ে। মেঘের মধ্যে কী আছে, জানি না। শুধু জানি, ওখানে কোথাও আমার মন লুকিয়ে আছে।

প্রতিবারই মনে হয়, আজ হয়তো আকাশ কেঁদে ফেলবে। আমিও তো কেঁদে ফেলতে চাই—অকারণে, অজুহাতহীন, শব্দহীন এক কান্না। কিন্তু পারি না। কারণ আমাকে শক্ত থাকতে হয়। আমার কান্না কেউ বোঝে না, কেউ দেখতে চায় না। তাই হয়তো আকাশও নিজেকে ধরে রাখে। তার বুকভরা জলের ভার, আর আমার বুকভরা হাহাকার—দুটোই যেন জমে থাকে এক জায়গায়, ফেটে না পড়ে কোনোদিন।

মেঘলা আকাশ এক রকমের প্রতারণাও করে। সে বলে, “আমি আসছি, তোমার মন ভালো করতে।” কিন্তু শেষে করে কী? আলো ঢেকে দেয়, বাতাস ভারি করে তোলে, চারপাশে এক ধরণের বিষণ্নতা ছড়িয়ে দেয়। ঠিক যেমন আমার জীবনের মানুষগুলো করেছে। তারা বলেছে—”ভালোবাসবো”, “সাথে থাকবো”, “তোমাকে বোঝার চেষ্টা করবো”—কিন্তু শেষে কি তা করেছে? করেছে ঠিক উল্টোটা। যেমন আকাশ, তেমনি তারাও।

আমি ভেবেছি, এই আকাশের নিচেই আমি হেঁটে যাবো অনেক দূর। একদিন কেউ বুঝবে আমার পথচলার ক্লান্তি। কেউ হয়তো ধরে ফেলবে, এই গাঢ় মেঘের ভেতর কতটা অসহ্য বিষণ্নতা জমে আছে। কিন্তু কেউ বোঝেনি। সবাই ব্যস্ত নিজের গল্পে, নিজের রোদে, নিজের সুখে। আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম একা, একদম একা, এক আকাশ-ভর্তি অনিশ্চয়তার সামনে।

আমার জীবনের প্রতিটি বড় মুহূর্তেই যেন এই মেঘলা আকাশ ছিল। পরীক্ষার খারাপ ফল, প্রথম প্রেমে ধোঁকা খাওয়া, বাবার অসুস্থতা, বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতা—সব কিছুর পেছনে ছিল এক ছায়াঘেরা আকাশ। যেন সৃষ্টিকর্তা আমায় বলেনি, “সব ঠিক হবে”—বরং বলেনি, “তোমার কষ্টটাই হবে তোমার পরিচয়।”

তবু আশ্চর্যের কথা, আমি এই আকাশকে ঘৃণা করতে পারিনি। বরং ভালোবেসেছি। কারণ আমি জানি, যেমন করে সে আলো ঢেকে রাখে, তেমনি আমিও হাসির আড়ালে কান্না ঢেকে রাখি। সে যেমন গর্জন করে—তেমনি আমিও গর্জন করতে চাই, কিন্তু পারি না। আমি তো মানুষ, আর মানুষ চুপ থাকে—বুকের সব আগুন নিয়েই।

একবার এক ভোরে, খুব তীব্র মেঘলা দিনে আমি রাস্তায় হাঁটছিলাম। চারপাশে লোকজন ছাতা হাতে ছুটছে, বৃষ্টি আসবে বলে। আমি দাঁড়িয়ে রইলাম, যেন বৃষ্টির অপেক্ষায় না—বরং সেই মুহূর্তের সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকতে চাইছিলাম। হঠাৎ মনে হলো, এই আকাশ আমাকে জানে, আমার কষ্ট চেনে। এমনকি সে আমায় বলতে চাইছে—”আমি আছি, তুই একা না।” অদ্ভুত এক শান্তি এসেছিল সেদিন। যেন কারো কোলে মাথা রাখা, কোনো উত্তরহীন প্রশ্নের ছোট্ট একটা সমাধান।

এই আকাশ মাঝে মাঝে আমায় শেখায়, ভেঙে যাওয়ারও এক ধরনের সৌন্দর্য আছে। তুমুল বৃষ্টির পর যেমন আকাশ পরিষ্কার হয়, তেমনি হৃদয়ের কষ্ট সাফ করতে কষ্টের প্রয়োজন হয়। আমি ভেঙেছি, গুঁড়িয়ে গেছি, বারবার। কিন্তু প্রতিবারই উঠে দাঁড়িয়েছি। হয়তো আকাশও তাই করে—বৃষ্টির পরে আবার সেজে ওঠে নতুন করে, রংধনু আঁকে, সূর্যকে ডাক দেয়।

তবে আমার মনে হয়, মেঘলা আকাশই আমার আসল রূপ। অন্যরা হয়তো একদিন রোদ চাইবে, আলো চাইবে, পরিষ্কার আকাশ চাইবে। কিন্তু আমি চাই একটানা এক মেঘলা বিকেল—যেখানে কোনো শব্দ নেই, মানুষ নেই, কেবল আমি আর আমার নিরবতা। এই নিরবতাই তো আমার আত্মা, আমার শেকড়, আমার সত্য।

আমার জীবন কখনো সহজ ছিল না। ছোট ছোট ভালোবাসা পেয়েছি, বড় বড় ভুল করেছি, গভীর গভীর শূন্যতায় ডুবে গেছি। সেই শূন্যতা অনেকটা মেঘের মতো—দেখতে ভারি, কিন্তু ধরতে গেলে ফাঁকা। মানুষ যেমন আমার মনের ভেতরটা বুঝতে পারেনি, তেমনি তারা মেঘের ওজনও বোঝে না। কেবল দেখে, “আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি আসবে”, কিন্তু বোঝে না, সেই মেঘে কতটা না বলা কথা জমে আছে।

আমার ভিতরে যে কষ্ট, তা আমি কাউকে দেখাই না। কারণ জানি, সবাই শুধু নিজের গল্প বোঝে। কেউ আমার আকাশের দিকে তাকায় না, কেউ আমার মেঘের ওজন মাপতে চায় না। তাই আমি চুপচাপ হাঁটি, মাথার উপর এক বিস্তীর্ণ মেঘলা আকাশ নিয়ে। সে আকাশই আমার সঙ্গী, আমার প্রতিচ্ছবি।

জীবনে কিছু কিছু মানুষ এসেছে, যারা বলেছে, “তুই খুব গভীর”। আমি হেসেছি। তারা জানে না, এই গভীরতা কোনো গৌরব নয়, একটা অভিশাপ। গভীরতা মানে একা হয়ে যাওয়া। গভীরতা মানে, কিছুই আর হালকা করে বলা যায় না, সব কিছুই বোঝানোর জন্য সময় লাগে, শব্দ লাগে, হৃদয় লাগে। তাই হয়তো আকাশও কিছু বলে না—সে শুধু থাকে, তার নিজের ছায়া নিয়ে।

আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় সময়গুলো ছিল তখনই, যখন বৃষ্টি নামছিল, কেউ ছিল না আশেপাশে, আর আমি একা দাঁড়িয়ে ছিলাম জানালার ধারে। সেই সময়গুলোতে মনে হতো, আমি নিজের কাছে ফিরে এসেছি। কেউ নেই আমাকে বদলাতে, কেউ নেই আমায় বোঝাতে—আমি কেবল আমি, একা, নিঃশব্দ, মেঘলা।

জানি না, এই আকাশ আর কতবার এমন করে ফিরে আসবে। জানি না, আমি আর কতবার নিজের ছায়া খুঁজে পাব মেঘের ভেতর। তবে এটুকু জানি—আকাশ যেমন তার রঙ বদলায়, আমিও একদিন বদলে যাব। হয়তো পুরোপুরি ভেঙে গিয়ে আবার নতুন করে গড়ে উঠব। হয়তো একদিন সূর্য উঠবে, কিন্তু আমি তবু তাকিয়ে থাকব মেঘের দিকে—কারণ সেখানে লুকানো আমার হৃদয়, আমার যন্ত্রণা, আমার আমি।

শেষে শুধু এটুকু বলি- যখনই কেউ বলবে, “আজ আকাশটা অনেক বিষণ্ন”—তখন আমি মনে মনে বলব, “না, আজ আকাশটা আমার মতো হয়েছে।”

ফরিদপুরে বাসচাপায় গৃহবধূ নিহত, বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ এএম
ফরিদপুরে বাসচাপায় গৃহবধূ নিহত, বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুর

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বাসচাপায় রনি বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর-মুকসুদপুর আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার কোদালিয়া শহীদ নগর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদপুর থেকে মুকসুদপুরগামী জেইন ট্রাভেলস নামে একটি যাত্রীবাহী বাস কোদালিয়া এলাকায় পৌঁছালে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আবু শেখের স্ত্রী রনি বেগমকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।


খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিকে ধাওয়া করে ঈশ্বরদী বটতলা এলাকায় আটকায় এবং ভাঙচুর করে। এ সময় চালক বাসটি ফেলে পালিয়ে যান।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।