খুঁজুন
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ, ১৪৩২

আউটসোর্সিং কর্মীদের আলটিমেটাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
আউটসোর্সিং কর্মীদের আলটিমেটাম

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত আউটসোর্সিং কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও জলকামান নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সদস্যরা।

সেই সঙ্গে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বিনা কারণে পুলিশ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এ সময় দ্রুত সময়ে যাদের নেতৃত্বে সমাবেশে লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে, তাদের বিচারের দাবির পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে যদি দাবি বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তবে সারা দেশের সব সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর-পরিদপ্তরে কর্মরত সব আউটসোর্সিং কর্মচারী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এ সময় প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এর আগে শনিবার বেলা ৩টার পর চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীরা। এতে তোপখানা সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় প্রায় দুই ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে পুলিশ মাইকে বারবার আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।

পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর অ্যাকশনে যায় পুলিশ। ওই সময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান থেকে পানি ছোড়ার পাশাপাশি পাঁচ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

 

ফরিদপুরে ছোট ভাইয়ের বউয়ের বটির কোপে প্রাণ গেল ভাসুরের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
ফরিদপুরে ছোট ভাইয়ের বউয়ের বটির কোপে প্রাণ গেল ভাসুরের

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঘরে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের ধারালো বটির কোপে লুৎফর রহমান টুকু মোল্লা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপান্দি গ্রামে লুৎফর রহমান টুকু মোল্লার সাথে চাচাতো ভাই সোহাগ মোল্লার পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় লুৎফর রহমান টুকু মোল্লার হাঁস চাচাতো ভাই সোহাগ মোল্লার ঘরে যায়। এর জের ধরে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহাগ মোল্লার স্ত্রী সিমা আক্তারের (২৫) ধারালো বটির কোপে ভাসুর লুৎফর রহমান টুকু মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে টুকু মোল্লা নামক এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ও ঘরে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের কোপে লুৎফর রহমান টুকু মোল্লা নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ওসমান হাদীকে হত্যার প্রতিবাদে সালথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
ওসমান হাদীকে হত্যার প্রতিবাদে সালথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম সারির যোদ্ধা, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ-এর মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীকে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলায় হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরের সালথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ব্যানারে উপজেলা সদরের লাভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সালথা থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘শরীফ ওসমান হাদী ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার একজন সাহসী কণ্ঠস্বর। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। অবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।’

বিক্ষোভকারীরা হাদী হত্যার বিচার চাই, “সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও, “বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলবে না এমন নানা স্লোগান দেন। এ সময় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সালথা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সজিব আল ইসলাম, সদস্য সচিব সজিব মিয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, জেলা গণঅধিকার পরিষদের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ মিয়া, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ইমরান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই যোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল বাপ্পিসহ বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

ফরিদপুরে ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:৪৯ পিএম
ফরিদপুরে ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা

ফরিদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজ শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শরীফ ওসমান হাদীর এ গায়েবানা জানাজার নামাজে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে এক ‌সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শরীফ ওসমান হাদীর ‌জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় ওসমান হাদীর খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয় এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।