খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

কোনো দল বা গোষ্ঠীর নয়, পুলিশ সব নাগরিকের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৪ পিএম
কোনো দল বা গোষ্ঠীর নয়, পুলিশ সব নাগরিকের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সব নাগরিকের, কোনো দলের নয়, কোনো গোষ্ঠীর নয়, কোনো সম্প্রদায়ের নয়। বাংলাদেশ পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, যারা সুনির্দিষ্ট আইন মেনে চলেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে সহকারী পুলিশ সুপারদের (শিক্ষানবিস) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাপনী কুচকাওয়াজে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের ৩ জন ও ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের ৫৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবে। তারা কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা তাদের অন্যায় নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে অপেশাদার আচরণ ও বেআইনি কাজ করবে না। আজকের এই সমাপনী অনুষ্ঠানে আপনারা এ শপথে বলীয়ান হবেন, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

তিনি আরও বলেন, আজ আপনাদের এক বছরব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণের শেষ দিন। আজ থেকে আপনারা সুপ্রশিক্ষিত এক ঝাঁক মেধাবী, চৌকস পুলিশ অফিসার হয়ে মাঠ পর্যায়ে সরাসরি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়, নাগরিকের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে যাচ্ছেন, আপনাদের এই নতুন কর্মজীবনে স্বাগত জানাচ্ছি। আজকের এই সমাপনী অনুষ্ঠানের মাহেন্দ্রক্ষণে সুনিপণ কুচকাওয়াজ উপহার দেওয়ায় আপনাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের এক বছরব্যাপী এই কঠোর মৌলিক প্রশিক্ষণে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন ও বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে অ্যাওয়ার্ড দেন। এ সময় মঞ্চে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি বাহারুল আলম, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (অ্যাডিশনাল আইজিপি) মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার ভাষণে নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কর্তব্য পালনের জন্য বলেন। থানায় এসে মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেই দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার নির্দেশনা দেন। জুলাই ও আগস্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে সেই চেতনাকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনীর গৌরবকে আরও সমুন্নত রাখার পরামর্শ দেন। নবীন কর্মকর্তাদের কাছে সমাজে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর হয়ে প্রজাতন্ত্রের নাগরিক হয়ে ধর্ম, বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে আইন অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য সেবা প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১:০২ পিএম
সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 
ফরিদপুরের সালথায় ঈদুল আজহার দিনে আকাশ মোল্লা (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় নামক একটি জিকা গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকাশ মোল্লা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত হারুন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকাশের মা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ফরিদপুর সদরের তালতলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গতকাল (৬ জুন) শুক্রবার  রাত ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হয় আকাশ। পরে শনিবার ঈদের দিন সালথা’র কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে একটি জিকা গাছের সাথে লাইলনের রশি পেঁচানো আকাশের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আকাশ মাদকাসক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ফরিদপুর রিহ্যাব সেন্টারে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিন মাস পূর্বে বের হয়। গতকাল রাতে ভাড়া বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হওয়ার পর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারুফ হাসান রাসেল বলেন, খবর পেয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১০:১১ এএম
ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুরের একটি মানবিক উদ্যোগে আবারও প্রমাণ হলো-একটি সামান্য সহায়তাও বদলে দিতে পারে একটি মানুষের জীবন। কুরবানির পবিত্র সময়কে সামনে রেখে ধলার মোড়ে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে এক স্বামীহারা নারীর জীবিকার একমাত্র উৎস ‘সকাল টি স্টোর’ নতুনভাবে নির্মাণ ও পূর্ণ মালপত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

দোকানটির টিনের চালা ছিল চৌচির আর ভেতরে ছিল না ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মালামাল। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ওই নারী। বিষয়টি জানতে পেরে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

উৎস-এর স্বেচ্ছাসেবীরা দোকানটি নতুনভাবে নির্মাণ করে, ছাউনির সমস্যা মেরামত করে এবং প্রয়োজনীয় চা-নাস্তার মালামাল সরবরাহ করে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার উপযোগী করে তোলে।
সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন,

“এই ঈদে আমরা শুধু পশু কোরবানি নয়, ত্যাগ ও ভালোবাসার কোরবানিকেই সবচেয়ে বড় করে দেখেছি। একজন মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারা-এটাই আমাদের ঈদের আনন্দ।”

‘সকাল টি স্টোর’ এখন শুধুই একটি দোকান নয়, বরং একজন নারীর আত্মমর্যাদায় ফিরে আসার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।