খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নগরকান্দায় থামছেই না মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, ফসলী জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়!

মিজান বাবু, নগরকান্দা:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৬ পিএম
নগরকান্দায় থামছেই না মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, ফসলী জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়!
ফরিদপুরের নগরকান্দায় থামছেই না মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দিন-রাত চলছে মাটি বহনকারী ট্রলিগাড়ি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রলি গাড়ির সাহায্যে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। জমির মালিকদের নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কিনে, এক শ্রেণীর অসাধু মাটি ব্যবসায়ী বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছে। এছাড়াও ফসলি জমিতে বাড়ি নির্মাণ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতেও কেনা হচ্ছে এসব মাটি।
মাটি ব্যবসায়ী নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের লস্করদিয়া গ্রামের মৃত সত্তার শেখের ছেলে কামরুল শেখ জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি কিনে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে লস্করদিয়া ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রাম ও আশেপাশের এলাকার ফসলী জমি ও হালট নষ্ট করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রলিগাড়ির সাহায্যে এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ কোনো অজ্ঞাত ক্ষমতায় দীর্ঘদিন ধরে কামরুল তার অবৈধ ব্যবসা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। নগরকান্দা -ফরিদপুর সড়কের কালীবাড়ি বাজার, লস্করদিয়া ইউনিয়নের ঝপরখালী মোড়, হাসনহাটি, নতুনবাজার, তালমা ইউনিয়নের শাকপালদিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানের সড়কে মাটি বোঝাই ট্রলি চলাচল করছে। প্রশাসনসহ সবার নাগের ডগায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাটি ব্যবসা চলছে তো চলছেই। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
মাটি ব্যবসায়ী কামরুল ছাড়াও, হান্নান মাতুব্বর, পাপ্পু, রিজাউল, রমজান, ওহিদ, ওলিউর, বসার, মারুফ, ফরহাদ সহ একাধিক ব্যক্তি  নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভেকু ও ট্রলি দিয়ে মাটি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, নগরকান্দা উপজেলার প্রায় সব জায়গাতেই অবাধে চলছে অবৈধ ভেকু ও ট্রলিগাড়ী। এতে এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতায়, অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় চলছে ভেকু ও ট্রলি গাড়ি। ট্রলির সাহায্যে মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ট্রলি গাড়ি চলাচলের সময় গ্রামের সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ট্রলির মাটি সড়কের উপর পড়ে থাকায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক পিচ্ছিল হয়ে ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।
 সারাদিন ভেকু ও ট্রলি চলতে থাকায় ধুলোবালি চার পাশে ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। ভেকু ও ট্রলি গাড়ির শব্দে এলাকায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে অভিযোগ করলেও, অদৃশ্য কোনো কারণে সমাধান পাচ্ছে না। তাইতো, থামছেই না মাটি ব্যসায়ীদের দৌরাত্ম্য!
নগরকান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

এহসানুল হক, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:১৪ পিএম
‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. লিয়াকত আলী খান বুলু।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  এসময় লিয়াকত আলী খান বুলু জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।

বুধবার (৪ জুন) নগরকান্দা পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান অনু, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ঝিলু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মহিদ বিল আল মাহিম প্রমুখ।

আলোচনাসভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন তাঁরা।

ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে লিয়াকত মোল্যা (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাদিরদী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাগুরা জেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সংকোচ খালী এলাকার তিন ব্যবসায়ী কয়েকটি গরু বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। তারা মহম্মদপুর-বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্ত ব্রীজ পার হয়ে ফরিদপুর জেলার কাদিরদী বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ থেকে গরু লাফ দিলে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা লিয়াকত মোল্যাসহ দুই ব্যবসায়ী আহত হয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকত মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অপর ব্যবসায়ী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ জানান, মাগুরা সদর থেকে গরু বোঝাইকৃত পিকআপটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিল। গরুর গাড়িটি কাদিরদী বাজারে আসলেই একটি গরু লাফ দিলে গাড়ীটি উল্টে ব্যবসায়ীরা চাপা পড়ে। সেখান থেকে আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পেরেছি লিয়াকত নামে ব্যবসায়ী মারা গেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অবগত নই। এমনকি ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।