খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১ আশ্বিন, ১৪৩২

দাম কম থাকায় ফরিদপুরে লোকসানের শঙ্কায় পেঁয়াজ চাষীরা

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০৭ পিএম
দাম কম থাকায় ফরিদপুরে লোকসানের শঙ্কায় পেঁয়াজ চাষীরা
পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। বর্তমানে চলছে বিভিন্ন উপজেলার বিস্তার্ন মাঠে পেঁয়াজ উঠানোর ধুম। খরচের তুলোনায় পেঁয়াজের দাম কম থাকায় চাষীদের চোখে মুখে মলিন হাসি। উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বাজারদরের তফাৎ থাকায় হতাশ তারা। গত বছরের তুলোনায় এ বছর পেঁয়াজ মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ফলনও কম হয়েছে। সেই সাথে পেঁয়াজের বাজার দরও কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষীদের। এ বছর ১১০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত দেশী পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে গত বছর পেঁয়াজ উঠানোর শুরুতেই ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। এ কারণে কৃষি কাজে আগ্রহ কমছে চাষীদের।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৮ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ ধরা হয়। তখন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় সাড়ে ৫ লাখ টনের বেশি। পরে আরো প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বেশি আবাদ হয়। সব মিলিয়ে জেলায় এবার পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে। এ থেকে প্রায় ৬ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে প্রত্যাশা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
জেলার সালথা, নগরকান্দা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা যায়, জেলায় সর্বত্রই এখন ক্ষেত থেকে চাষীরা পেঁয়াজ উত্তোলনে কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলার অধিকাংশ উপজেলা বিস্তীর্ণ মাঠের দিকে তাকালেই এমন দৃশ্য চোখে মেলে। কেউ ক্ষেত থেকে মাটি খুড়ে পেঁয়াজ তুলছে, কেউ পাত্রে তুলে বস্তায় ভরছে, কেউবা মাঠ থেকে বস্তা মাথায় করে সড়কে তুলছে। পেঁয়াজ চাষীরা কেউ ভ্যান বা নছিমন যোগে বাজারে নিচ্ছে বিক্রির উদ্দেশ্যে।
ফরিদপুরের ময়েনদিয়া, সালথা, নকুলহাটি, সাতৈর ও মধুখালী পেঁয়াজ বাজারগুলোতে পাইকারি পেঁয়াজের দর রয়েছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত মন। সেখানে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা চাষিরা বলছে এক মন পেঁয়াজ উৎপাদনের ব্যয় হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। তাছাড়া মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ফলনের দেখাও কাক্সিক্ষতভাবে মেলেনি।
চাষীরা জানান, গত বছরের পেঁয়াজের ভালো দর পাওয়ায় এবার তারা সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ৫ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ করেছে। বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করলেও এ বছর উৎপাদন কম হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বাজার দরের পার্থক্য অনেক। তাই জেলার পেঁয়াজ চাষীদের মুখে মলিন হাসি। ৩০ শতাংশ জমিতে (এক পাখি) পেঁয়াজ চাষাবাদ থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। সেখানে পেঁয়াজ পাখিতে উৎপাদন হয়েছে ৩০-৩৫ মন।
সালথার নকুলহাটি বাজারে কথা হয় উপজেলার জয়কালী গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলামের সাথে। তিনি ওই বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে এসেছিলেন। এ সময় তিনি জানান, আমি এক বিঘা (৫২ শতাংশ) জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। এ বছর বৃষ্টিপাত কম থাকা, সার-ওষুদের দাম বেশি ও কারেন্ট পোকায় আক্রমনের কারণে ফলন কম হয়েছে। যেখানে গত বছর এক বিঘা জমিতে ৮০-৯০ মন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। সেখানে এ বছর ৫০ মন হওয়ায় কষ্ট হয়েছে। আবার পেঁয়াজ তোলার সময় ৮শ থেকে ৯শ টাকায় জোন (কৃষাণ) নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ বছর আমার খরচ উঠায় কষ্ট হবে। তিনি বলেন, এক মন পেঁয়াজ এনেছিলাম, বিক্রি করলাম সাড়ে ১২শ টাকা।
বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের কওসার মজুমদার ১০-১২ কৃষাণ নিয়ে পেঁয়াজ তুলছিলেন দাদুড়িয়া বিল মাঠে। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভাই পেঁয়াজের দামের যে অবস্থা তাতে আমাদের সবদিক থেকে ঘাটতি। এ বছর এক পাখি (৩০ শতাংশ) এ বছর ৩৫-৪০ মনের বেশি হবে না। তাতে খরচ প্রতি পাখিতে ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কৃষকের ঘাটতি পূরণ করতে হলে কমপক্ষে ২২শ থেকে তিন হাজার টাকা মন পেঁয়াজ বিক্রি করা দরকার। সরকারের কাছে আমরা পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। এ কারণে কৃষি কাজে আগ্রহ কমে যাচ্ছে আমাদের।
একই উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামের কৃষক সদ্য বিলদাদুড়িয়া মাঠে পেঁয়াজ তোলার সময় জানান, আমি ১ একর ৮০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। এই মাঠের মধ্যে আমার উপরে কোন কৃষকের ফলন হয়নি। তাতে এক পাখি জমিতে ৩৫-৪০ মনের বেশি হবে না। এর মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখলে তারও ঘাটতি আছে। আমার পাখি প্রতি খরচ হয়ে যাচ্ছে ৩০ হাজারেরও বেশি। এজন্য পেঁয়াজ চাষ করেও আমাদের মুখে হাসি নাই। এ বছর পেঁয়াজ চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজ তুলতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ হাজার টাকা জোন প্রতি দেওয়া লাগছে। সর্বনি¤œ কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ মৌসুমের শুরুতেই দুই হাজার টাকা থাকা দরকার ছিল। এ বছর খরচের টাকা উঠছে না। গত বছর এই সময়ে ২২শ থেকে ২৫শ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শাহাদুজ্জামান বলেন, এটা ঠিক যে পেঁয়াজের দামে খুব একটা খুশি না চাষীরা। কারন বাজারে পেঁয়াজের যোগান বেড়েছে অনেক, সেই তুলনায় ক্রেতাদের চাহিদা কম থাকায় দরটি পড়ে গেছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও চাষাবাদ হয়েছে বেশি। তবে বৃষ্টিপাত কম থাকায় সেই পরিমান ফলন হয়নি। আমার পরামর্শ এই মুহূর্তে পেঁয়াজ বিক্রি না করে কয়েকটি মাস সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করলে কৃষকরা ভালো দর পাবেন বলে আশা করছি। তিনি বলেন, পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যাপারে সচিব মহোদয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে। সে ব্যাপারে কাজ চলছে। বর্তমান এ জেলায় পেঁয়াজের বাজার মূল্য রয়েছে সাড়ে ১২শ থেকে ১৪শ টাকা মন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তান্ডব : পুলিশের ৮ গাড়ি ও ১৯ মোটরসাইকেল ভাঙচুর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তান্ডব : পুলিশের ৮ গাড়ি ও ১৯ মোটরসাইকেল ভাঙচুর

ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ-আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানা, হাইওয়ে থানা ও উপজেলা পরিষদে আগুন-হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আন্দোলনকারীরা প্রথমে উপজেলা পরিষদের হল রুমে ঢুকে শতাধিক চেয়ার, ১০টি ফ্যান ও ৩৫ টির বেশি লাইট ভাঙচুর করে। এরপর তিনতলা বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ ভবনের প্রতিটি তলায় সাতটি করে মোট ২১টি কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষের কাচ ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। এসময় উপজেলা পরিষদ চত্বর ও অফিসার্স ক্লাবের গ্যারেজে থাকা সাতটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা অফিসার্স ক্লাবও ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে, ভাঙ্গা থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের তিনটি গাড়ি ও একটি বড় রিজার্ভ ভ্যান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। থানা চত্তরে থাকা অন্তত চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। থানার ব্যানার ও ভবনের কাচ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়।

অপরদিকে, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় আন্দোলনকারীরা ব্যাপক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। আন্দোলনকারীরা চারটি পিক-আপ, একটি রেকার, একটি জলকামান গাড়ী, আটটি মোটরসাইকেল, একটি এম্বুলেন্স ও দুইটি আলামতের গাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

ভাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, থানা, হাইওয়ে ও উপজেলায় ভাঙচুরের সময় লোকজন হঠাৎ করে রামদা-লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। ওইসব অস্ত্র দিয়ে তাণ্ডব চালায় এবং পেট্রল দিয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর এসব করতে আধা ঘণ্টার মতো সময় লাগে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, হামলা-ভাংচুরের সময় কয়েকজন কনস্টেবলকে কৌশলে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর আমরা কয়েকজন থানার রান্না ঘরের পাশে একটি বাথরুমে আশ্রয় নেই। হামলাকারীরা গাড়ী, মোটরসাইকেলসহ অফিসের ল্যাপটপ, টিভি থেকে শুরু করে এমন কোথাও নেই যে ভাংচুর করতে বাকি রেখেছে। তারপরও বিস্তারিত দেখে পরবর্তীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তথ্য জানানো যাবে।

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মিজানুর রহমান এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে আলগী ও হামিরদী নামে দুটি ইউনিয়ন কেটে নিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দায় সংযুক্ত করার প্রতিবাদে দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছেন স্থানীয় জনতা। তারা আসনগুলোর পূর্বের অবস্থায় বহাল চান। আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোববার থেকে টানা তিন দিন বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি চলছে। বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর ভাঙ্গা উপজেলা সদরে এসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়।

উপস্থিত ছিলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম / নরওয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
উপস্থিত ছিলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম / নরওয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

নরওয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিক এর সাথে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।
এসময় বিএনপি প্রতিনিধি দল নরওয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে এক দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর এক টার দিকে নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অসলোতে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্যতম নেতা, ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির প্রতিনিধি দল মন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৬ বছর ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। বিএনপি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় এবং আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষন করতে মন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিক সহ নরওয়ের সরকারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষন করতে আমন্ত্রন জানান এবং মন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিক বিএনপি প্রতিনিধি দল কে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের আমন্ত্রন গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, নরওয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র উপদেষ্টা ক্রিস্টিন লুন্ডেন, দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক সহকারী পরিচালক ট্রিম ওস্ট সোনস্টেড। বিএনপির প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং মিটিংয়ের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান লিংকন, নরওয়ে বিএনপির সভাপতি বাদল ভূঁইয়া প্রমুখ।

সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম

ফরিদপুরের সালথা প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন (২০২৫-২৬) অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম নাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন দৈনিক সমকালের সাইফুল ইসলাম।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি পদে নুরুল ইসলাম নাহিদ পেয়েছেন ১২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিক খোলা কাগজ ও ‘চ্যানেল এস’ টিভির প্রতিনিধি আবু নাসের হুসাইন পেয়েছেন ১১ ভোট।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী দৈনিক সমকালের সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭ ভোট।তার প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার প্রতিনিধি মনির মোল্যা পেয়েছেন ০৬ ভোট।

অন্যান্য পদের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বাংলানিউজ২৪.কম ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি হারুন-অর-রশীদ ১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে দৈনিক পল্লী বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি লিয়াকত হোসেন মিঞা, দৈনিক দিনকালের প্রতিনিধি মো. আজিজুর রহমান (আজিজ) ও দৈনিক নয়াদিগন্তের প্রতিনিধি মো. রেজাউল করিম নির্বাচিত হয়েছেন।

এ নির্বাচনে অর্থ-সম্পাদক পদে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন মাসুদ নির্বাচিত হন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক পদে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি মো. লাভলু মিয়া , সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার প্রতিনিধি মো. পারভেজ মিয়া, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক পদে দৈনিক সমাজের বাণীর নিজাম তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি আকাশ সাহা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।

অন্যদিকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দৈনিক যায়যায়দিন ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার প্রতিনিধি এম কিউ হোসাইন বুলবুল, দৈনিক মানবজমিনের শরিফুল হাসান ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।