খুঁজুন
রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৭ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে ব্যবসায়ী দুলু হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৬ পিএম
ফরিদপুরে ব্যবসায়ী দুলু হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দেলোয়ার হোসেন দুলু (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। এ সময় নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৫), মেয়ে মারিয়া (১০) ও ছেলে মোহাম্মদ আলী মোল্যাসহ (৮) কয়েকশ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে জেলার বোয়ালমারী পৌরসদরের ওয়াপদা মোড়ে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা। সড়ক অবরোধ করার সময় এলাকাবাসী সড়ক জুড়ে বসে পড়ে। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বোয়ালমারী থানার ওসি মো. মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে হত্যাকান্ডের সঠিক বিচারের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় তারা।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষকে অংশ নিতে দেখা যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ার হোসেন দুলু মোল্যা মারা যাওয়ায় আগের মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর ও আরো দুই আসামীকে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান অবরোধকারীরা।
মানবন্ধনে নিহতের দুই শিশু সন্তান চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া (১০) ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী মোল্যা, স্ত্রী খাদিজা বেগম, বড় বোন সাহিদা বেগম, রোকেয়া বেগম, ভাগ্নী রহিমা খানম, ভাই খোকন মোল্যা, রোকন মোল্যা, আমীর হোসেন মোল্যা, আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাইফুর রহমান, বাদশা মৃধা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।
থানা সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২১ মার্চ প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের ছুরির আঘাতে মারাত্মক আহত হন বোয়ালমারী পৌরসদরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বকামারগ্রামের বাসিন্দা মৃত নুরুল হক মোল্যার ছেলে স্যানেটারী ব্যবসায়ী দুলু মোল্যা। মারাত্বক আহত অবস্থায় নিহতের স্বজনরা স্থানীয় বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান দুলু মোল্যার অবস্থা আরো খারাপ হলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ দুলু মোল্যার সেজো ভাই আ. মান্নান মোল্যা বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। আহত ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর হত্যা চেষ্টা মামলাটি ধারা যোগ হয়ে হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৈত্রিক জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মো. কাশেম মোল্যা, সিদ্দিক মোল্যাদের সঙ্গে নিহত দেলোয়ার হোসেন দুলু মোল্যার পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২১ মার্চ ঘটনার দিন সকালে বিরোধ সৃষ্ট জমি থেকে দুলু মোল্যার ছোট ভাই মোহাম্মদ আমির হোসেন মোল্যা মাটি কাটতে গেলে বিবাদী কাশেম মোল্যা, সিদ্দিক মোল্যা, লুৎফার মোল্যা, নজরুল মোল্যা, তাহিদ মোল্যাসহ বেশ কয়েকজন বাঁধা প্রদান করেন। এ নিয়ে বাক-বিত-ার এক পর্যায়ে আসামিরা নিহতের ভাই আমির হোসেনকে মারধর শুরু করলে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন নিহত দুলু মোল্যা। এ সময় কাশেম মোল্যার ঘরে ভাড়াটিয়া টাইলস ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা মফিজুল কাদের খান মিল্টন দুলু মোল্যার জামা ধরে আটকিয়ে রাখে। এ সময় অভিযুক্তরা দুলু মোল্যাকে ধারালো অস্ত্র (ছুড়া) দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরিবারের সদস্যরা মারাত্মক আহত দুলু মোল্যাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ঘটনার ১৬দিন পর গত ৬ এপ্রিল মারা যান তিনি।
মানববন্ধনে নিহত দেলোয়ার হোসেনের শিশু কন্যা মারিয়া (১০) কাঁদতে কাঁদতে জানায়, ‘আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন, বাবাকে কয়েকদিন কেন দেখছি না’। ‘তা না হলে বাবার খুনিদের ফাসি দিন, আমরা দুই ভাই-বোন বাবাকে আর কোনদিন দেখবো না’।
নিহত দুলু মোল্যার বড় ভাই মামলার বাদী আব্দুল মান্নান মোল্যা বলেন, পরিকল্পিত ও নৃশংস ভাবে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। আমরা থানায় বারবার হত্যায় জড়িত আরো দুটি নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লিখিত দিলেও অজ্ঞাত কারনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। এমনকি মামলায় ১ নম্বর আসামি কাশেম মোল্যা ও ৬ নম্বর আসামী ফজলু তালুকদার গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে তারা জামিন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীকে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ^াস্ত করেন। এ সময় ওসি বলেন, হত্যা চেষ্টা মামলাটি ধারা যোগ হয়ে হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হয়েছে। নতুন করে এজাহার নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তদন্তের সময় নতুন কোন আসামীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হবেন। মামলার সব আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন ব্রিজ থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১৫ এএম
ফরিদপুরে নির্মাণাধীন ব্রিজ থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ থেকে পড়ে জহুরুল ইসলাম (৩২) নামে এক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর শহরতলীর ভাজনডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


নিহত জহুরুল ইসলাম নওগাঁ জেলার ভীমপুর গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।


জানা যায়, ফরিদপুর শহরতলীর ভাজনডাঙ্গা এলাকায় পদ্মা নদীর ধারায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে একটি সেতু নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক জহুরুল ইসলাম। নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত তিনি নির্মাণাধীন সেতু থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।


এ সময় সেখানে থাকা অপর শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৫৩ এএম
ফরিদপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ফরিদপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত ও সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা বেলতলায় পৌরসভার ১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে এ মতবিনিময় সব অনুষ্ঠিত হয়।

১৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. মিরু খানের সভাপতিত্বে এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল।

এ সময় জেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক ফাত্তাউল ইসলাম ফাত্তাহ, মহানগর বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক শামসুল আরেফিন সাগর, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন খান মিঠু, ফরিদপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. হাসানুর রহমান মৃধা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রনি, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সৈয়দ এখলাছুর রহমান, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা খোকা, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কাদির রুবেল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. সাব্বির হোসেন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাহিদুল ইসলাম মহব্বত, বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন শাহীন সহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘রাজনীতিতে মতপার্থক্য ভেদাভেদ থাকলেও ধানের শীষের স্বার্থে ফরিদপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরে যারাই ধানের শীষ প্রতীক পাবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করব। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সম্পর্কে উপস্থিত স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীদেরকে তা বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা কামনা করা হয়। এবং আগামীতে একমাত্র দল বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই দেশের ও জাতির উন্নয়ন করা সম্ভব বলে ব্যক্ত করেন নেতাকর্মীরা।’

ভাঙ্গায় ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আব্দুল মান্নান মুন্নু, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৪৭ এএম
ভাঙ্গায় ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে প্রথম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পাশের বাড়ির এক বৃদ্ধ লম্পট দাদার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদী গ্রামের বৃদ্ধ লম্পট দাদা শাফি শিকদারের বিল্ডিংয়ের ভিতরে এঘটনা ঘটলেও শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

শিশুটি পূর্ব সদরদী গ্রামের বাবা বাদল শিকদার কন্যা ও পুর্ব সদরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ঘটনার পর লম্পট বৃদ্ধর লোকজন ভুক্তভোগীর বিচার আশ্বাসের নামে ভয় দেখিয়ে থানায় যেতে ও মামলা করতে এবং মুখ খুলতে নিষেধ করছেন।
বর্তমানে লম্পট বৃদ্ধ গা ঢাকা দিয়েছে।

এঘটনায় শিশুটির মা বিচার দাবি করে বলেন , আমার ছোট মেয়ের সাথে আমার চাচা শশুর শফি শিকদার যে খারাপ কাজ করেছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই এবং তার শাস্তি চাই। আমার স্বামী এক দিনমজুর ও গ্রামে গ্রামে হেঁটে প্লাস্টিকের মালামাল বিক্রি করে। আমরা খুবই গরীব মানুষ। তাই গরীব মানুষ হিসেবে আমরা কোন বিচার পাচ্ছি না। শাফি শিকদার একজন প্রভাবশালী টাকা ওয়ালা। তার লোকজন আমাদেরকে থানায় যেতেও নিষেধ করছেন। বিচার ও পাচ্ছি না এবং প্রভাবশালীদের ভয়ে থানায়ও যেতে পারছি না। আমরা কার নিকট বিচার দাবি করবো। আমি এঘটনার বিচার চাই।

স্থানীয়দের দাবি, পূর্ব সদরদী গ্রামের শাফি শিকদার একজন লম্পট ও খারাপ চরিত্রের মানুষ। সে অনেক মহিলার সাথে খারাপ কাজ করে ধরা পড়েছে। আজ দরিদ্র ঘরের সাড়ে ৬ বছরের এক শিশুর সাথে যতটুকু খারাপ কাজ করেছে আমরা গ্রামবাসী তার বিচার চাই এবং শাস্তি চাই ।

এঘটনায় চুমুরদী ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাল্যবিবাহ এবং নারী নির্যাতন কমিটির সদস্য মোসা. ঝর্না আক্তার বলেন, আমার বাড়ির পাশে পূর্ব সদরদী শিকদার বাড়ির একটা ঘটনা ঘটেছে। আমি শুনেছি এবং শুনে খুব খারাপ লেগেছে। তখন আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলতে বলতে কেঁদেও ফেলেছি। এঘটনা আমি একজন নারী হিসাবে কিভাবে বলি। যদি ভুক্তভোগীরা আমার নিকট আসে, আমি তাদের সাথে থেকে আইনগত সহযোগিতা করব।

এব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।