খুঁজুন
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ, ১৪৩২

“মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মাদক আমাদেরকে ধ্বংস করছে”

মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৪:২৪ পিএম
“মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মাদক আমাদেরকে ধ্বংস করছে”

ফরিদপুরে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসে বক্তারা বলেন, মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মাদক আমাদেরকে ধ্বংস করছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ফরিদপুরে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল ‌সাড়ে দশটার দিকে ফরিদপুর ‌ জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

ফরিদপুরের ‌ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ‌ বক্তব্য রাখেন, ‌মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মো. হাশেম আলী, জেলা শিক্ষা অফিসার বিষ্ণুপদ ঘোষাল, রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হালিম, ফরিদপুর টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ( টিটিসির) অধ্যক্ষ মো. আখতারুজ্জামান।

এ সময় ‌ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ‌ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

আলোচনা সভায় বক্তারা ‌ বলেন, আমাদের সন্তানদেরকে মাদক থেকে দূরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কেননা মাদক একটি পরিবার, সমাজ ও দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। এক্ষেত্রে যে যার যার জায়গা থেকে মাদকের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, আগামী বাংলাদেশ হবে একটি মাদক মুক্ত বাংলাদেশ। মানুষের মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মাদক আমাদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মাদক গ্রহণকারীরা অনেক সময় অসামাজিক কার্যকলাপ ও আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

মাদকদ্রব্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের দূরারোগ্য ব্যাধি সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে। সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে মাদককে নির্মূল করতে হলে আমাদের সকলকে সচেতন থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জন্মনিবন্ধন সনদ পেল ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা, কাটল স্কুলে ভর্তির জটিলতা 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৬:০৪ পিএম
জন্মনিবন্ধন সনদ পেল ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা, কাটল স্কুলে ভর্তির জটিলতা 

এক সময় তারা পরিচয় দিতে পারতো না, স্কুলে ভর্তি হতে পারতো না! সেই অবহেলিত ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। এসব শিশুদের মাঝে দেওয়া শুরু হয়েছে জন্মনিবন্ধন সনদ। বঞ্চিত এসব শিশুরা এখন থেকে যেতে পারবে স্কুলে, পড়ালেখার পাশাপাশি কাজকর্মে পড়তে হবে না কোনো জটিলতায়।

গত শনিবার (০৯ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার হলরুমে শাপলা মহিলা সংস্থার আয়োজনে প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটের দুইটি যৌনপল্লীর ৩৫ জন শিশু ও যৌনকর্মীকে জন্মসনদ দেওয়া হয়েছে।

সনদ বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, এই জন্মসনদের মাধ্যমে সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে যৌনপল্লীর বঞ্চিত শিশুরা। এসব শিশুদেরকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি বক্তব্যকালে উল্লেখ করেন।

শাপলা মহিলা সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলা সদরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটের দুইটি যৌনপল্লীতে ৩৮৯ জন যৌনকর্মী রয়েছে। এসব যৌনকর্মীদের শিশু সন্তান রয়েছে ২৯৬ জন। এদের মধ্যে অনেকেরই জন্ম নিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি জটিলতায় ভুগছিল। বিষয়টি নিয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘জন্মনিবন্ধন জটিলতায় স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না যৌনপল্লীর শিশুরা’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যৌনকর্মীর সন্তানদের আবাসিকের পাশাপাশি পড়ালেখার সুবিধা দিয়ে আসছে ‘শাপলা মহিলা’ নামে একটি বেসরকারী সংস্থা। এসব শিশুদের আবাসনের জন্য শহরতলীর গেরদায় গড়ে তোলা হয়েছে ভবন। বর্তমানে সেখানে ৫০ জন মেয়ে ও ৩৫ জন ছেলে রয়েছে। দি ফ্রিডম ফান্ডে’র সহযোগিতায় এসব শিশু ও যৌনকর্মীদের জন্মসনদ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। সেই ধারাবাহিকতায় বাবার নাম পরিচয় ছাড়াই বিশেষভাবে এই জন্মসনদ তৈরি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যা ফরিদপুর পৌরসভার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।

জন্মসনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পৌর প্রশাসক মো. সোহরাব হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, দ্যা ফ্রিডম ফান্ডে’র বাংলাদেশের প্রতিনিধি খালেদা আক্তার ও শাপলা মহিলা সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী প্রমূখ।

ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামী রয়েল মণ্ডলকে (৪৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় দেন।

রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।

পরে পুলিশ পাহারায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুই লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মলিনা বেগম (২৫) নামের ওই গৃহবধূকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করেন রয়েল মণ্ডল।

মলিনা একই উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। ঘটনার একদিন পর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন তার বাবা।

সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবীতে চরভদ্রাসনে মানববন্ধন

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৫২ পিএম
সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবীতে চরভদ্রাসনে মানববন্ধন

গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচারের দাবীতে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা।

সোমবার (১১আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধনে অংশ নেন চরভদ্রাসন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

এ সময় তুহিন হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক মো. মেজবাহ উদ্দিন, আবদুস সবুর কাজল ও আবুল কালাম প্রমুখ।

অর্ধঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, মো. লিয়াকত আলী লাভলু, মো. উজ্জল হোসেন, মো. আসলাম হোসেন, আহাম্মেদ আল ইভান ও মো. সাজ্জাদ হোসেন সাজু।

গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে বক্তারা বলেন- দেশে তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা দিন দিন সংকুচিত হয়ে পড়েছে যা অত্যান্ত দুঃখজনক। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সংবাদমাধ্যমে ভয়ভীতি ও ‘মব’ সংস্কৃতি দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন।গণঅভ্যুত্থ্যানের পর দেশের মানুষ যে অবাধ নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল, তা আজও পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

উল্ল্যেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়।