খুঁজুন
শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ, ১৪৩২

সালথায় ফুটবল খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০০ পিএম
সালথায় ফুটবল খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীবরদী গ্রামের একমাত্র ফুটবল খেলার মাঠটি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই মাঠটি এলাকার প্রায় দশটি গ্রামের শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলার একমাত্র স্থান। সম্প্রতি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মাঠটিতে বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি অধিগ্রহণের পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাজ শেষ হলে জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। প্রায় ১৭ বছর ধরে উত্তর চণ্ডীবরদী এবং আশপাশের গ্রামের ফুটবলপ্রেমীরা এটিকে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। জমির মূল মালিকরা সরকারের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ বুঝে পেয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল জলিল সরদারের ছেলে, পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাকি সরদার, তার ভাই মুকসুদপুর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির সরদার, বোন নিলুফা বেগম এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ সরদার এই মাঠ দখলের সঙ্গে জড়িত।

মাঠে খেলতে আসা খেলোয়াড় ও দর্শকরা খেলার মাঠটি দখলমুক্ত করাসহ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ আবুল ফজল বলেন, “স্থানীয়দের খেলাধুলার মাঠটি দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সালথা থানার ওসি ও ইউএনও-কে জানিয়েছি। অন্যথায়, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে দখলদারদের প্রতিহত করা হবে।”

স্থানীয় সাংবাদিক আর. টি. হাসান জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে এবং তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, “মাঠ দখলের বিষয়টি আমি শুনেছি। স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধান করা হবে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে দখলকৃত স্থানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

সালথায় ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৭ পিএম
সালথায় ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের সালথায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) আটককৃত উভয়কে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার রায়েরচর এলাকা থেকে সালথা থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই মাদক কারবারী হলেন- উপজেলার রায়ের চর গ্রামের মৃত হাতেম মাতুব্বরের ছেলে সোহেল রানা (৩১) ও গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম মোল্যার ছেলে আবু বক্কার হামীম মোল্যা (২৮)।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সালথার রায়ের চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ দুজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভাঙ্গায় বাঁশবাগানে পড়েছিল গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৩ পিএম
ভাঙ্গায় বাঁশবাগানে পড়েছিল গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নার্গিস বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 
বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের গঙ্গাধরদী গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় ।
সে ওই গ্রামের মোতালেব ওরফে মতি শেখের স্ত্রী। পরে মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের লোকজন কাজে যাওয়ার সময় বাঁশ বাগানের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, গঙ্গাদরদী গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে এক গৃহবধূর গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে পারে।

ফরিদপুরে মাদক সেবন করায় তিন যুবককে ৬ মাসের কারাদণ্ড 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৪৯ পিএম
ফরিদপুরে মাদক সেবন করায় তিন যুবককে ৬ মাসের কারাদণ্ড 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মাদক সেবনের অপরাধে তিন যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো অতিরিক্ত একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে অভিযান চালিয়ে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার বাঁকাইল গ্রাম থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে আদালত বসিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রায়হানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের রবি ঘোষের ছেলে রজত ঘোষ (২৫), বাকাইল গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে মো. জনি (২৮) ও গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হাসিবুল খান (৩৬)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত যুবকরা আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার বাঁকাইল গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে ইয়াবা সেবন করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রায়হানুর রহমান সেখানে উপস্থিত হন। পরে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে মাদকসেবন অবস্থায় আটক করেন। এরপর অভিযুক্তরা তাদের দোষ স্বীকার করেন ও ভবিষ্যতে মাদকসেবন করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন। দোষীদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো অতিরিক্ত একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রায়হানুর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসেবন করার অপরাধে তিনজনকে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। মাদকমুক্ত উপজেলা গড়তে এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে।’