খুঁজুন
বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৩ কার্তিক, ১৪৩২

‘কৌতূহলবশত সাইবার অপরাধে জড়াচ্ছে যুবসমাজ’

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪১ পিএম
‘কৌতূহলবশত সাইবার অপরাধে জড়াচ্ছে যুবসমাজ’

বন্ধুদের প্ররোচনায় বা কৌতুহলবশত যুবসমাজ সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। যা থেকে বের হতে না পেরে আত্মহত্যা বা নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে যুবসমাজ। সাইবার ক্রাইমের এমন ভয়াবহ দিক তুলে ধরে ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি এগুলো থেকে প্রতিকার ও সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন অতিথিবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে বাংলাদেশ ইয়াংস্টার সোস্যাল অর্গানাইজেশন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়৷ এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য, লিডারশীপ, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার, তরুণদের সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, বিশেষ অতিথি ছিলেন- সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আব্দুল হালিম ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আল আমিন সরোয়ার।

বক্তারা জানান, দিনদিন সাইবার অপরাধের পরিধি বিস্তৃতিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। স্ক্যামিং, বুলিং, ফিশিং, হ্যাকিং, ডিজিটাল প্রতারণা, অনলাইন জুয়া মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। এ ধরনের অপরাধের কেউ শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনশট বা পোস্টটি সেভ করে নিকটস্থ থানায় অবগত করতে হবে কিংবা বিশ্বস্ত কারো সাথে শেয়ার করতে হবে। এছাড়া অজানা লিংকে প্রবেশ করার বিষয়ে নিষেধ করা হয়। কারণ, এমন এসব লিংকের মাধ্যমে বা ফিশিংয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে হয় বলে সতর্কতা করা হয়। এছাড়া এআইয়ের নেতিবাচক দিক নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

আয়োজিত এ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন তরুণ প্রতিনিধি ও সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী রিয়াজ। তিনি বলেন- সাইবার অপরাধ সংশ্লিষ্ট যারা কার্যক্রম করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাথমিক দিক দিয়ে কৌতুহলবশত ঝুঁকে পড়ে। পরবর্তীতে যেখান থেকে আর বের হতে পারে না। সমাজে অনলাইন জুয়া একই পদ্ধতিতে গেঁথে যাচ্ছে। প্রথমে বন্ধুদের প্ররোচণা কিংবা নিজে কৌতুহল বশীভূত হয়ে অনলাইনে খুব দ্রুত টাকা ইনকামের নেশায় একবার জড়িয়ে পড়ে আর বের হতে না পেরে নিজে তো ধ্বংস হচ্ছে পাশাপাশি পরিবারকেও ধ্বংস করছে। এক পর্যায়ে কোনো না কোনোভাবে ট্রাপে পড়ে যায় সে, তখন পরিবারকে না জানিয়ে বা আইনের আশ্রয় না নিয়ে ট্র্যাপ থেকে বাঁচতে আরও ঘনিষ্ঠতায় চলে যায়। যার কারণে নেশায় জড়িয়ে পড়ে বা আত্মহত্যার করে থাকে।

এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। তিনি সাইবার অপরাধের প্রতিকারের দিক তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন- “সাইবার সুরক্ষার নতুন আদেশ হয়েছে, যেখানে অনলাইন জুয়ার জরিমানা এক কোটি টাকা ও দুই বছরের কারাদণ্ড। যদি কারো মোবাইলে জুয়ার অ্যাপ পাওয়া যায় তাহলে এই ধারা প্রযোজ্য। এছাড়া ফিশিংয়ের মাধ্যমে একজনের তথ্য ব্যবহার করে অন্যজন একজন অপরাধ করে যাচ্ছে বলে পুলিশ সুপার সতর্ক করেন। এক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের অনুরোধ জানান পুলিশ সুপার।

তিনি আরও বলেন- এসব অপরাধের কারণে একবার যদি মামলায় কারও নাম উঠে যায় তাহলে তাহলে নিষ্পত্তি হতে ১৪ থেকে ২০ বছর সময় লেগে যাবে। এই ২০ বছর সময়ের মধ্যে কেউ যদি সরকারি চাকরি পায় তাহলে ভেরিফেকেশনের ক্ষেত্রে সুপারিশ করা যাবে না বলে পুলিশ সুপার জানান।

এছাড়া কর্মশালায় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আল আমিন সরোয়ার। তিনি সকলকে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠার অনুরোধ জানান। এছাড়া লিডারশীপ, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার, তরুণদের সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন- সংস্থাটির সদস্য কাজী জেবা তাহসিন, উপদেষ্টা শামসুদ্দিন করিম ও রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মামুন রহমান।

সাহসের বাতিঘর সাংবাদিক আহম্মদ ফিরোজ

হারুন আনসারী রুদ্র, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০০ পিএম
সাহসের বাতিঘর সাংবাদিক আহম্মদ ফিরোজ

ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফরিদপুরের বারবার নির্বাচিত জননন্দিত এমপি ও মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে ফরিদপুরের রাজনীতিতে আবির্ভাব ঘটেছিল এক চরম ঔদ্ধত্য অপশক্তির।
সেই সময় এই জনপদের সাধারণ মানুষ যখন তটস্থ, ভয়ে কেউ সত্য বলার সাহস হারিয়েছিল, বিবেকের কন্ঠস্বরগুলো ক্রমেই স্তিমিত হয়ে এসেছিলো, সেই কঠিন দুঃসময়ে নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের ভরসার মধ্যমনি হয়ে যিনি হয়ে উঠেছিলেন সাহসের বাতিঘর- তিনিই আমাদের সম্মানিত অগ্রজ, প্রিয় সাংবাদিক আহম্মদ ফিরোজ।

এক সংগ্রামী জীবনের অধিকারী মহৎ সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব। যিনি ছিলেন দুর্বিনীত অথচ স্পষ্ট আর প্রিয়ভাষী, জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্টের আতঙ্ক, সাহসী সাংবাদিকতার প্রেরণা, অনুজদের নিকট অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব; প্রাচীন জনপদ ফরিদপুর জেলার সাংবাদিকতা জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সকলের হৃদয়ের মনিকোঠায় আসীন শ্রদ্ধা-সম্মান ও ভালবাসার এক নাম- সকল রক্তচক্ষুর ভয়-ডর উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের জন্য যিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। দেশ ও দশের স্বার্থে, শান্তি, সাম্য ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় যিনি আমৃত্যু আপোষহীনভাবে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত থেকেছিলেন।

আজ বুধবার সেই অকুতোভয় সাংবাদিক আহম্মদ ফিরোজের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের এদিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে তিনি ডায়াবেটিক ফুটে আক্রান্ত হন। ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে পায়ের ফোড়ার অপারেশন করিয়েছিলেন। তবে ডায়বেটিক ফুট অপারেশনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ না করায় তিনি পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি।

সাংবাদিক আহম্মদ ফিরোজ ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী মহল্লার সাবেক সরকারী কর্মকতা মরহুম ফজলুল করিমের সেঝো সন্তান ছিলেন। তিনি অকৃতদার ছিলেন। পেশাগত জীবনে প্রথমে দৈনিক মিল্লাত ও দৈনিক দিনকালে কাজ করেন। পরবর্তীতে অনলাইন নিউজ এজেন্সি বাংলার চোখের প্রতিনিধি ও ফরিদপুর টাইমসের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন। তিনি জেলার শিশু সংগঠনের ফরিদপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব ছিলেন। এছাড়া তিনি ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও আজীবন সদস্য ছিলেন।

সাংবাদিকতার পাশপাশি তিনি শিল্প-সাহিত্যের প্রসার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধামনন বিকাশে উল্লেখযোগ্য কাজ করে গেছেন। একজন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্য উদ্ঘাটনে সাহস জোগানো এবং জেলা শহর ফরিদপুরের সাংবাদিক সমাজের পেশাগত ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে তুলতে প্রথম সারিতে থেকে বিশেষ অবদান রাখেন।

অকুতোভয় এই চারণ সাংবাদিক সকল দলমত ও পক্ষপাতিত্বের উর্ধ্বে দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজন অপোষহীন প্রতিবাদী চরিত্র হিসেবে চিরস্মরণীয় ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবেন।

আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। দয়াময় আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মর্যাদা দান করুন।

 

লেখক : হারুন আনসারী রুদ্র, সিনিয়র সাংবাদিক

ফরিদপুরে দুদকের মামলায় সাবেক হিসাব রক্ষকের ৬ বছরের কারাদন্ড

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৩০ পিএম
ফরিদপুরে দুদকের মামলায় সাবেক হিসাব রক্ষকের ৬ বছরের কারাদন্ড

ফরিদপুরে হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের সাবেক হিসাব রক্ষক আবুল ফজল মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে দুর্নীতি মামলায় পৃথক দুইটি ধারায় তিন বছর করে মোট ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে আরো দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল জজ মো. শরীফ উদ্দীন মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় সাবেক হিসাব রক্ষক আবুল ফজল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি মহল্লার আব্দুল করিম মিয়া সড়কের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তিনি জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের বাসিন্দা ও ফরিদপুর হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের সাবেক হিসাবরক্ষক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাকরিকালীন সময়ের ২০১৬-১৭ অর্থ বছর থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছরের মধ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৯২১ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে এ ব্যাপারে ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর দুদক ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম বাদী হয়ে তার নামে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। তদন্ত করেন দুদক ফরিদপুরের সহকারি পরিচালক সরদার আবুল বাসার।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ৪১ লাখ টাকার দুর্নীতির মামলায় তিনি মাত্র ১০ হাজার টাকার উৎস দেখাতে পারেন। বাকী টাকার উৎস দেখাতে না পারায় আদালত দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বাকী সমস্ত অর্থ (৪১ লাখ ১৫ হাজার ৯২১ টাকা) সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং একই আইনের ২৭(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক, ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক মো. শামীম হোসেন জানান, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।

ফরিদপুরে দুই কৃষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২:১২ পিএম
ফরিদপুরে দুই কৃষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফরিদপুরে সোয়েব শেখ (৪০) ও আইয়ূব শেখ (৪৫) নামের দুই কৃষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়ার আরশাদ মুন্সীর ডাঙ্গী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই কৃষক হলেন, আরশাদ মুন্সীর ডাঙ্গী এলাকার সোবহান শেখের ছেলে সোয়েব শেখ ও আইয়ূব শেখ। তারা পরস্পর দুই ভাই।

আহত কৃষকের পরিবার জানায়, বুধবার সকালে ফসলি জমিতে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করতে যান তারা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন রড, শাপোল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’