খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৭ পিএম
ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির অভিযোগ
ফরিদপুরের নগরকান্দায় সরকারের দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প-১ এর ঘর বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মো. ইউনুছ মুন্সি নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের বনগ্রামের ওদুত মুন্সীর ছেলে মো. ইউনুছ মুন্সী স্বাবলম্বী থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আশ্রয়ণ প্রকল্প-১ এর একটি টিনের ঘর বাগিয়ে নেন তিনি। তার বাড়িতে ইটের পাকা ঘর থাকা সত্যেও, তিনি সরকারি ঘরটি হাতিয়ে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, সরকার এলাকার হতদরিদ্র অসহায় গৃহহীনদের বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। তবে সরকারি এই ঘর বিক্রি করার কোনো নিয়ম নেই। সরকারের আইন অমান্য করে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি করার বিষয়টি তদন্ত করে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা তৈয়াবুর রহমান জানান, ইউনুস মুন্সী কোনভাবেই সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য না। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি ঘর হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর তিনি ঘরটি বিক্রি করে দিয়ে সেই জায়গাতে পাকা ঘর তৈরি করেছেন। আমরা এর বিচার চাই।
আরেক বাসিন্দা এনামুল হক জানান, দুর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা খাটিয়ে ইউনুছ মুন্সি ঘরটি হাতিয়ে নিয়েছেন। অথচ একই এলাকায় অনেক ঘর পাওয়ার যোগ্য লোক রয়েছে। হতদরিদ্র পরিবারকে ঘর না দিয়ে, ইউনুছ মুন্সীর ঘর নেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা চাই সরকারি ঘর বিক্রির দায়ে ইউনুস মুন্সির কঠোর বিচার হোক।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনুছ মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী হাফেজা বেগমের দাবি, তারা ঘরটি বিক্রি করেন নি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরটি ভেঙে, বাড়ির এক পাশে নতুন করে আরেকটি টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি করা, এমনকি ভাড়া দেওয়ার কোন বিধান নেই। যদি কেউ এমনটা করে থাকে, আমি খোঁজ নিয়ে যথাযত ব্যবস্থা নিব।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হেলেনা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগকৃত কর্মচারী না হয়েও রোগীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন হেলেনা আক্তার। হাসপাতালের আইডি কার্ড ব্যবহার করে রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা হেলেনা আক্তারকে হাতে নাতে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ কান্তি বিশ্বাস জানান, হাসপাতালের কর্মচারী না হয়েও দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিল হেলেনা আক্তার। এমন অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ওই নারীকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হেলেনা আক্তারের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও
ফরিদপুরের সদরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে ৫টি দোকান ঘর ভাঙ্গা ছাড়াও সদর বাজারের একটি শেড ঘর দখলমুক্ত করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও জাকিয়া সুলতানা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধবাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছিল কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে দোকানঘর সরিয়ে নিতে বার বার নোটিশ দেওয়া হলেও ওই ব্যবসায়ীরা তা কর্নপাত করেনি। এ সময় ৫টি দোকানঘর উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করে আসছিল কতিপয় ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে এর আগে দোকান সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা ভেঙ্গে না নেওয়ায় অভিযান চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাজারের একটি শেড ঘরও দখলমুক্ত করা হয়। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বদিউজ্জামান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ এলাকায় ঘারুয়া টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। বদিউজ্জামান আব্দুল হক ব্যপারীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া বাজার টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কের শরীবাদ স্কুল মোড় ব্রিজের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশ দখল করে বাড়ির ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বড় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনা, ব্যঘাত সৃষ্টিসহ ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণেও নানা ব্যাঘাত পোহাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি রাস্তা ঘেঁষে বিশাল দেয়াল নির্মাণ করার কারণে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। রাস্তা প্রশস্ত করার পথও বন্ধ করে দিচ্ছে বদিউজ্জামান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিষয়ে বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের প্রশ্নই আসে না। আমার জায়গায় রাস্তা। আমি জায়গা না দিলে রাস্তা হতো না। আমার জায়গায় আমি বাড়ির দেয়াল নির্মাণ করছি। আমাকে আপনাদের চেয়ে বড় এসিল্যান্ড ইউএনও জায়গা বুঝিয়ে দিছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।